۶ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۶ شوال ۱۴۴۵ | Apr 25, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী

হাওজা / চল্লিশটি অমীয় বাণী।(সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ)। দশম অমীয় বাণী। বিষয় : শিক্ষা ও আলেমদের ফযিলত।

ইমাম মুহাম্মাদ বাক্বির (আঃ) বলেছেন :

عَالِمٌ یَنْتَفِعُ بِعِلْمِه اَفْضَلٌ مِنْ سَبْعِیْنَ اَلْفَ عَابِدٍ

 "একজন আলেম যিঁনি তাঁর জ্ঞান থেকে উপকৃত হন তিনি সত্তর হাজার আবেদের চেয়েও উত্তম।"

সংকলক মুহাদ্দিস শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেছেন, জ্ঞান ও আলেমদের গুণাবলী সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি হাদীস হল :

" একজন আলেম এক হাজার আবেদ ও এক হাজার পরহেযগারের থেকেও উত্তম। আর আবেদের উপর আলেমের ফযিলত হল এমনই, যেমন সূর্যের ফযিলত নক্ষত্রের উপর। আলেম ও ফক্বীহ এর এক রেকআত নামায আবেদের সত্তর হাজার রেকআত এর চেয়েও উত্তম এবং শিক্ষিত অবস্থায় ঘুমানো মূর্খ অবস্থায় নামায কায়েম করার থেকেও উত্তম। যখন একজন মোমিন মৃত্যুবরণ করেন এবং একটি কাগজের টুকরো রেখে যান যার উপর জ্ঞানের কথা লেখা থাকে তাহলে ওই কাগজের টুকরো কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি এবং জাহান্নামের ভয়ানক আগুনের মাঝে ঢাল হয়ে থাকবে। আর মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিটি শব্দের (যা কাগজের ওই টুকরোতে লেখা থাকবে) পরিবর্তে তাঁকে একটি শহর উপহার হিসেবে প্রদান করবেন যা দুনিয়ার চেয়েও সাতগুণ বড় হবে। যখন কোন আলেম মৃত্যুবরণ করেন, তখন তাঁর উপরে ফেরেশতারা রোদন করেন। আর সেই সাথে ঐ জমিনও রোদন করে যেখানে যেখানে ওই আলেম আল্লাহর এবাদত করেছিলেন। আসমানের ওই দরজাও রোদন করে যার মধ্য দিয়ে তাঁর আমল উপরে যেত এবং ইসলামের মধ্যে একটি ফাঁক এবং ফাটল তৈরী হয়ে যায়, যা কেউ মেরামত ও ভরাট করতে পারে না। কারণ ঈমানদার আলেমগণ ইসলামের ওই দুর্গের মত যা শহরকে ঘিরে থাকে। আর আলেম থাকার একটি সুবিধা হল, তাঁদের পিছনে নামায পড়ার সওয়াব বহুগুণ বেশি। এভাবেই, আলেমদের দান করাও বহুগুণ বেশি সওয়াবের কাজ।

অতএব, শেখ সা'দী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন :

"জা'মে মসজিদ ছাড়া অন্য কোন স্থানে আলেমের পিছনে নামায পড়লে, আপনি দুই হাজার রেকআতের সওয়াব পাবেন তবে আপনি যদি জা'মে মসজিদে নামায পড়েন, তাহলে এক লক্ষ রেকআতের সওয়াব পাবেন।"

নবী করিম (সাঃ) বলেছেন :

"আলেমদেরকে একটাকা দান করা সাত হাজার টাকার সমান এবং আলেমদের সাথে বসাও এবাদত।"

হযরত আলী (আঃ) বলেছেন :

"আল্লাহর নিকটে আলেমদের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করা হাজার বছরের এবাদতের চেয়েও প্রিয়। আর আলেমের দরজার দিকে দেখাও এবাদত।"

ইমাম আলী (আঃ) আরও বলেছেন :

"কাবা শরীফে এ'তেকাফ এর চেয়েও আলেমের দিকে তাকানো আল্লাহর কাছে বেশি আনন্দদায়ক।"

সংকলক শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেছেন : এটা গোপন করা উচিত নয় যে, জ্ঞানের ফযিলত ওই সময় যখন তার সাথে আমলও অত্যাবশ্যক হবে এবং যখন এই দুটি মূল্যবান মুক্তা একসঙ্গে থাকবে।

قَالَ عِیْسَی ابْنُ مَرْیَمَ "اَشْقَی النَّاسَ مَنْ هُوَ مَعْرُوْفٌ عِنْدَ النَّاسِ مَجْهُوْلٌ بِعَمَلِه

হযরত ঈসা (আঃ) বলেছেন : "মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্টু এবং দুর্ভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যে মানুষের দৃষ্টিতে জ্ঞান ও শিক্ষায় তো বিখ্যাত তবে আমলের ক্ষেত্রে অপরিচিত।"

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .