۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
কোরআন মাজীদের তাফসীরের প্রয়োজন কেন?
কোরআন মাজীদের তাফসীরের প্রয়োজন কেন?

হাওজা / কোরআন মাজীদকে ঠিক যেভাবে গ্রহণ করা উচিত সেভাবে গ্রহণ না করার বিষয়টি সামান্য চিন্তা করলেই বুঝা যায়।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে একটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, কোরআন  মাজীদের আদৌ কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বা তাফসীরের প্রয়োজন আছে কিনা?

এটা একটা যুক্তিসঙ্গত মৌলিক প্রশ্ন। আর যে কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রশ্নই যুক্তিসঙ্গত জবাব দাবী করে। বিশেষ করে কোরআনিস্টদের মতে, কোরআন মজীদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বা তাফসীরের প্রয়োজন নেই; এর সপক্ষে দলীল আছে। বস্তুতঃ কোরআন মাজীদ কোনো কঠিন গ্রন্থ নয়, বরং খুবই সহজ একটি গ্রন্থ যা সহজবোধ্য প্রাঞ্জল ভাষায় নাযিল হয়েছে। এরশাদ হয়েছে-

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ.

“আমি কোরআনকে উপদেশের জন্য সহজ করে দিয়েছি; অতঃপর উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?” (সূরাহ্ আল্-ক্বামার্: ১৭, ২২, ৩২, ৪০)

সুতরাং কোরআন মজীদ থেকে হেদায়াত্ লাভের জন্য মূলতঃ কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বা তাফসীরের প্রয়োজন নেই। আরো বিশেষভাবে তা এ কারণ যে, আল্লাহ্ তা‘আলা কোরআন মজীদে মানুষের অপরিহার্য জ্ঞাতব্য বিষয়গুলোকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন-

وَهَذَا صِرَاطُ رَبِّكَ مُسْتَقِيمًا قَدْ فَصَّلْنَا الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَذَّكَّرُونَ.

“আর (হে রাসূল!) এটি হচ্ছে আপনার রবের পথ, যা সরল-সোজা-সুদৃঢ়। বস্তুতঃ আমি উপদেশগ্রহণকারী লোকদের জন্য আয়াতসমূহ বিস্তারিতরূপে বিবৃত করেছি। ” (সূরাহ্ আল্-আন্‘আাম্ : ১২৬)

একই বিষয়ে আল্লাহ্ তা‘আলা আরো এরশাদ করেন :

وَكَذَلِكَ نُفَصِّلُ الآيَاتِ وَلَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ.

“আর এভাবেই আমি আয়াত সমূহ বিস্তারিতরূপে বিবৃত করি এবং (তা এ কারণে যে,) হয়তো তারা প্রত্যাবর্তন করবে।” (সূরাহ্ আল্-আ‘রাফ্ : ১৭৪)

আল্লাহ্ তা‘আলা আরো এরশাদ করেন-

كِتَابٌ أُحْكِمَتْ آيَاتُهُ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَدُنْ حَكِيمٍ خَبِيرٍ.

“(এ হচ্ছে এমন) কিতাব্ যার আয়াতসমূহকে পরম জ্ঞানময় সর্বজ্ঞ-র (আল্লাহ্ তা‘আলার) সন্নিধান থেকে সুদৃঢ় করা হয়েছে এবং এরপর বিস্তারিত করে দেয়া হয়েছে।” (সূরাহ্ হূদ্: ১)

আর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্বয়ং আল্লাহ্ তা‘আলাই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ (তাফসীর্) উপস্থাপন করেছেন; এরশাদ হয়েছে-

وَلا يَأْتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلا جِئْنَاكَ بِالْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيرًا

“আর তারা আপনার নিকট এমন কোনো উপমা নিয়ে আসে না যে সম্পর্কে আমি আপনার নিকট সত্যতা ও সর্বোত্তম ব্যাখ্যা (তাফসীর্) সহকারে (আয়াত নিয়ে) না আসি।” (সূরাহ্ আল্-ফুরক্বান্: ৩৩)

কিন্তু এতদসত্তেও আমরা কোরআন মাজীদ অধ্যয়ন করতে গিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বা তাফসীরের প্রয়োজন অনুভব করি। অবশ্য খাবারে ওয়াহেদ হাদীছ ভিত্তিক প্রচলিত বিশালায়তন তাফসীর সমূহের অনেক কিছুই ভুলে ভরা বাহুল্য ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়, কিন্তু তা সত্তেও বিভিন্ন কারণে আমরা কোরআন মাজীদ অধ্যয়নে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বা তাফসীর থেকে পুরোপুরি বেনিয়ায নই। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন বেনিয়ায নই এবং আমরা তাফসীরের কতখানি মুখাপেক্ষী?

এখানে “আমরা” বলতে যারা কোরআন মাজীদের ভাষার সাথে পরিচিত নয়, কেবল বর্ণমালার সাথে পরিচিত এবং দেখে বা না দেখে পড়তে পারে, অর্থ বুঝে না, তাদেরকে বুঝাচ্ছি না, বরং যারা কোরআন মজীদের ভাষার সাথে পরিচিত এবং পড়ে অর্থ বুঝতে পারেন তাঁদেরকে বুঝাচ্ছি। এ ধরনের লোকদেরও সকলেই কি কেবল পড়েই পুরো কোরআন মজীদের সঠিক তাৎপর্য বুঝতে পারেন? অনারবদের কথা না হয় বাদই দিলাম; আরবদের মধ্যে ক’জন বুঝতে পারেন? আরবদের মধ্যেও তো লক্ষ লক্ষ লোক আছেন কোরআন যাদের মুখস্ত (হাফেযে কোরআন?!); তাঁরা কি পুরো কোরআন মাজীদের সঠিক তাৎপর্য অবগত?

তাহলে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা দু’টি: কোরআন মাজীদ ও আমাদের মাঝে দূরত্ব এবং কোরআন মাজীদকে ঠিক যেভাবে গ্রহণ করা উচিত সেভাবে গ্রহণ না করা।

কোরআন মাজীদ ও আমাদের মধ্যকার দূরত্ব হচ্ছে কালগত ও ভাষাগত দূরত্ব। কালগত দূরত্বের বিষয়টি সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ও সহজবোধগম্য, কিন্তু ভাষাগত দূরত্বের বিষয়টি আরবদের ব্যাপারে মেনে নেয়া অনেকের কাছেই কঠিন বলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু তা সত্তেও আরবদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কারণ, কোরআন মাজীদ নাযিল-কালীন আরবদের ভাষা ও পরবর্তীকালীন আরবদের ভাষার মধ্যে পার্থক্য অনেক। শুধু তা-ই নয়, কোরআন মাজীদে বিভিন্ন শব্দ ও পরিভাষা যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে পরবর্তীকালে সেগুলোর মধ্য থেকে কতক শব্দ ও পরিভাষা ভিন্ন অর্থে প্রচলিত হয়ে গিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোরআন মাজীদে “সুন্নাত্” শব্দটি ‘নীতি’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে এবং তা কেবল আল্লাহ্ তা‘আলার নীতি ও প্রথম যুগের লোকদের নীতি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীকালে শব্দটি রীতি, ঐতিহ্য ও অভ্যাসগত আচরণ অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) প্রতি সম্পৃক্ত করা হয়েছে এমন নফল/ মুস্তাহাব নামায, টুপি, পাগড়ী, দাড়ি, পোশাক, মেস্ওয়াক্, ইত্যাদির ধরন ও এ জাতীয় আরো অনেক কিছুর জন্য ব্যবহার ও প্রচলন করা হয়। এ ধরনের দৃষ্টান্ত আরো অনেক আছে।

কোরআন মাজীদ থেকে সরাসরি অর্থ বুঝার জন্য এ ভাষাগত ব্যবধান দূর করা প্রথম শর্ত। এ জন্য কোরআন নাযিল-কালীন ভাষা এবং তার ব্যাকরণ ও ফাছাহাত্-বালাগাতের সাথে পরিচিত হওয়া অপরিহার্য। সেই সাথে যুক্তিবিজ্ঞান (মানত্বেক্ব), জ্ঞানতত্তও তাৎপর্যবিজ্ঞানের ওপরে দক্ষতাও অপরিহার্য। এছাড়া অন্যান্য মানবিক ও বস্তুবিজ্ঞানসমূহের সাথেও মোটামুটি পরিচিতির প্রয়োজন আছে।

কোরআন মাজীদকে ঠিক যেভাবে গ্রহণ করা উচিত সেভাবে গ্রহণ না করার বিষয়টি সামান্য চিন্তা করলেই বুঝা যায়।

আল্লাহ্ তা‘আলা কোরআন মাজীদে বার বার “হে ঈমানদারগণ!” বলে সম্বোধন করেছেন। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সরাসরি আরবী কোরআন থেকে এর তাৎপর্য অবগত হওয়া ফরয/ ওয়াজিব; এটা অস্বীকার করতে হলে কোরআন মজীদের দলীল চাই। কিন্তু কার্যতঃ মুসলমানরা কোরআন মজীদের সাথে ব্যবহারযোগ্য জিনিসকে ঘরের এক কোণে অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার ন্যায় আচরণ করছে (সূরাহ্ আল্-ফুরক্বান্: ৩০)। আর যারা অন্যদের কৃত ভুল মিশ্রিত অনুবাদ ও তাফসীরের ভিত্তিতে কোরআন চর্চা করছে তাদের কথাও বাদ দিচ্ছি; যারা সরাসরি আরবী কোরআন থেকে এর তাৎপর্য অবগত হওয়ার জন্য কোরআন চর্চা করছেন তাঁরা এ কাজে কতোটুকু সময় ব্যয় করছেন? নিশ্চয়ই যা করছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ফলে তাঁদেরও অনেকেই কোনো প্রশ্নের জবাব পাওয়ার বা কোরআন মাজীদের কোনো আয়াতের ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভব করলে ভেবে পান না তা অন্য কোন্ আয়াতে পাওয়া যাবে।

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সরাসরি আরবী কোরআন থেকে এর তাৎপর্য অবগত হওয়া ফরয/ওয়াজিব তো বটেই, অধিকন্তু স্বয়ং আল্লাহ্ তা‘আলাই বলেছেন যে, মুসলমানদের মধ্যে এমন কিছু লোক থাকা অপরিহার্য যারা দ্বীনের ব্যাপারে গভীর সমঝের অধিকারী হবে (সূরাহ্ আত্-তাওবাহ্: ১২২)। আর যারা তা হবেন তাঁদের সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য হবে এই যে, তাঁরা তাঁদের সময়ের সিংহভাগই সরাসরি কোরআন-চর্চায় ব্যয় করবেন। ফলে যে কোনো আয়াতের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে বা কোনো নবজাগ্রত প্রশ্নের মুখোমুখি হলে সাথে সাথেই তাঁদের মস্তিষ্কে ধরা পড়বে যে, তার ব্যাখ্যা বা জবাব কোন্ আয়াতে আছে। উদাহরণস্বরূপ, হযরত ইবরাহীম (‘আঃ)-এর জন্মদাতা পিতা মুশরিক্ ছিলেন কিনা, নারীর বংশধর হয় কিনা এবং এ ধরনের আরো অনেক প্রশ্ন। এ ধরনের প্রশ্নাবলী নিয়ে বিতর্ক ও দিশাহারা হওয়া এবং জাল হাদীছ ভিত্তিক তাফসীরের দ্বারস্থ হওয়ার কারণ, সরাসরি আরবী কোরআন চর্চার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট সময় না দেয়া বা অন্য কথায়, যেখানে জীবন হওয়া উচিত কোরআনময় বাস্তবে তা না হওয়া।

এ ক্ষেত্রে একজন কোরআন-চর্চাকারীর যা করা উচিত তা হচ্ছে তাদাব্বুর্ সহকারে কোরআন অধ্যয়ন করতে হবে এবং তা করতে গিয়ে কোথাও ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভূত হলে তা নোট করে রাখবেন এবং অন্যত্র তার জবাব পাওয়ার সাথে সাথে তা ঐ নোটে যোগ করবেন। এটাই হবে কোরআনের সাহায্যে কোরআনের তাফসীর্  যা বিতর্কের উর্ধে। এভাবে অধ্যয়ন করলে কদাচিৎ কোনো প্রশ্ন জবাববিহীন থাকতে পারে।

কিন্তু ক’জন এভাবে কোরআন-চর্চা করেন? কোরআনিস্ট্ হবার দাবীদাররাও কি এভাবে কোরআন-চর্চা করেন?

তবে আমি যে বলেছি, কদাচিৎ কোনো প্রশ্ন জবাববিহীন থাকতে পারে, তার কারণ, আসলেই কিছু প্রশ্ন এমন আছে যার জবাব সরাসরি কোরআন মাজীদে দেয়া হয়নি এবং তা না দেয়ার পিছনে আল্লাহ্ তা‘আলার মহাজ্ঞানময়তা নিহিত আছে। তবে কোরআন মাজীদে সে সব প্রশ্নের জবাব উদ্ঘাটনের দিকনির্দেশ আছে। উদাহরণস্বরূপ, কোরআন মাজীদে রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) স্থলাভিষিক্ততা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু বলা হয়নি; তাঁর ঘনিষ্ঠতম স্বজনদেরকে ভালোবাসতে বলা হয়েছে, কিন্তু তাঁদের নাম বলা হয়নি; তাঁর আহলে বাইতের (‘আঃ) পবিত্রতার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তাঁদের নাম বলা হয়নি; তাঁকে আহলে কিতাবের সাথে মুবাহালাহ্ করতে বলা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা কীভাবে করেছেন তা বলা হয়নি। কোরআন মাজীদে ছালাত্ ক্বাএম্ রাখার ওপর বার বার তাকীদ্ করা হয়েছে, কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) কীভাবে ছালাত্ আদায় করতেন তথা তাঁর আদায়কৃত ছালাতের পুরো কাঠামো কোরআন মাজীদের কোথাও উল্লিখিত নেই।

তাছাড়া আল্লাহ্ তা‘আলা রাসূলুল্লাহকে (ছাঃ) হালাল-হারাম সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রায়োগিক উপবিধি প্রণয়নের দায়িত্ব প্রদান করেন (সূরাহ্ আল্-আ‘রাফ্: ১৫৭) যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাঁকে যে কোনো বিষয়ে প্রয়োজনীয় উপবিধি প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এ সব উপবিধি কোরআন মাজীদে উল্লেখ করা হয়নি।

তেমনি মদীনায় হুকূমাত্ প্রতিষ্ঠার পর রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) অন্যতম দায়িত্ব ছিলো লোকদের মধ্যে বিচার-ফয়ছালাহ্ করা। আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন :

إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ

“(হে রাসূল!) নিঃসন্দেহে আমি আপনার নিকট সত্যতা সহকারে এ কিতাব নাযিল করেছি যাতে আল্লাহ্ আপনাকে যেভাবে দেখিয়েছেন সেভাবে আপনি লোকদের মধ্যে বিচার-ফয়ছালাহ্ করেন। ” (সূরাহ্ আন্-নিসা’: ১০৫)

কিন্তু তিনি কীভাবে বিচার-ফয়ছালাহ্ করেছেন, উদাহরণস্বরূপ, হত্যাপরাধ প্রমাণের জন্য ক’জন সাক্ষীর সাক্ষ্যকে যথেষ্ট গণ্য করেছেন, তা কোরআন মাজীদে উল্লেখ নেই।

কোরআন মাজীদে বার বার ‘আক্বল্ ব্যবহারের জন্য তাকীদ করা হয়েছে এবং ‘আক্বল্ মুতাওয়াতির্ বর্ণনা ও ইজমা‘এ্ উম্মাহ্ গ্রহণ করে; সুতরাং এগুলোও ইসলামের অন্যতম অকাট্য জ্ঞানসূত্র; এ সব সূত্রের সমন্বয়ে এ ধরনের প্রায় সকল প্রশ্নেরই জবাব পাওয়া যায় । অতঃপর কদাচিৎ কোনো প্রশ্নের জবাবের জন্য খাবারে ওয়াহেদ হাদীছের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে সে সব হাদীছ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য যেগুলো কোনো অকাট্য সূত্রের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

লেখাঃ নূর হোসাইন মাজিদি, বিশিষ্ট ইসলামিক লেখক ও গভেষক

تبصرہ ارسال

You are replying to: .