হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ)। দ্বাদশ অমীয় বাণী। বিষয় : ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ)-এর অছিয়াত।
শেখ আবুল ফতুহ রাযী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আমিরুল মুমিনীন রসূল নন্দিনী সিদ্দিক্বা তাহিরা হযরত ফতেমা যাহরা (সাঃআঃ)-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পর কবরস্থানের দিকে গিয়ে বললেন :
اَلسّلامُ عَلَیْکُمْ یَا اَهْلَ الْقُبُوْرِ اَنْتُمْ لَنَا سَلَفٌ وَ نَحْنُ لَکُمْ خَلَفٌ وَاِنَّا إن شَآءَ اللّٰهِ بِکُمْ لاٰحِقُوْنَ اَمَّا الْمَسَاکِنُ فَقَدْ سُکِنَتْ وَاَمَّا الْاَزْوَاجُ فَنُکِحَتْ وَاَمَّا الْاَمْوَالُ فَقُسِمَتْ هٰذَا خَبَرٌ مَا عِنْدَنَا فَلَیْتَ شِعْرِیْ مَا خَبَرٌ مَا عِنْدَکُمْ؟ ثُمَّ قَالَ اَمَّا اِنَّهُمْ اِنْ نَطَقُوْا لَقَالُوْا وَجَدْنَا التَّقْوٰی خَیْرَ زَادٍ"
"গোরস্থানে বসবাস কারীগণ! তোমাদের উপর সালাম হোক, তোমরা আমাদের পূর্বে প্রস্থান করেছো এবং আমরা তোমাদের পরে আসব। আর ইন শা আল্লাহ আমরা শীঘ্রই তোমাদের সাথে যোগ দেব। তোমাদের বাড়িতে অন্যরা বসতি স্থাপন করেছে। তোমাদের স্ত্রীদের অন্যদের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়েছে। তোমাদের সম্পদ বন্টন করা হয়েছে। এগুলো ওই সংবাদ যা আমার কাছে ছিল। তোমাদের কাছে কি খবর আছে? কেউ (উত্তরে) বলল : যা কিছু আমি খেয়েছি তা আমার উপকারে এসেছে এবং যা কিছু আমি আগে পাঠিয়েছিলাম তা আমি পেয়েছি আর যা কিছু আমি ছেড়ে এসেছি তাতে ক্ষতি হয়েছে।"
সূত্র, মিযানুল হিকমত খন্ড ৯ পৃষ্ঠা ২৫৩..
(উল্লেখিত হাদীসটি আমি আরবি পাঠ্য মিযানুল হিকমত গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করেছি। শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) এটি আবুল ফতুহ রাযীর গ্রন্থ থেকে নিয়েছেন, তাই বাক্যাংশের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তবে যতটুকু চল্লিশটি অমীয় বাণীর মধ্যে ছিল তা আমি অনুবাদ করে দিয়েছি - অনুবাদক)
মোহাদ্দেস কুম্মী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) এমন ব্যক্তি যিনি অছিয়াতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাকে বলেন :
"আখেরাতের যাত্রার জন্য রাস্তার সম্রাজ্ঞী (নেক আমল) সংগ্রহ কর এবং যাওয়ার আগে তা পাঠিয়ে দাও, যাতে মৃত্যুবরণ করার সময়ে তোমাকে অন্যদের কাছে নিবেদন এবং অছিয়াত করার প্রয়োজন না হয় যে, তারা পরে এটি তোমার কাছে পাঠিয়ে দেবে।"
(এই হাদীসটি বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্ন পাঠ্যে বর্ণিত হয়েছে। প্রয়াত শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) এই হাদীসটি আরবি ভাষায় নয় বরং ফারসি ভাষায় বর্ণনা করেছেন। আমি শুধু ফার্সি লেখা অনুবাদ করেছি-অনুবাদক)
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।
অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)