۲۲ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 11, 2024
ইমাম হোসায়েন (আঃ)
ইমাম হোসায়েন (আঃ)

হাওজা / (আয়াতুল্লাহ শহীদ মুহাম্মদ বাক্বির আল-সদর রহঃ) ইমাম হোসায়েন (আঃ) উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মোকাবেলার জন্য রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, রেওয়ায়েত অনুসারে, ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর কাছে বনী উমাইয়াকে উৎখাত করার করে সাফল্যে অর্জন করা সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু এটি কেবল একটি সম্ভাবনা ছিল। যদিও সাধারণত রেওয়ায়েত তাঁর শাহাদাতের খবর দিচ্ছিল। আর সময়ের পরিস্থিতি তাঁকে স্পষ্ট করে দিচ্ছিল যে, তাঁকে হত্যা করা হবে।

এটা কিভাবে সম্ভব ছিল যে, তিনি (আঃ) বনী উমাইয়াদের রাজনৈতিক সাম্রাজ্যের উপর আধিপত্য বিস্তার করতেন। যখন তিনি একটি মৃত জাতির মধ্যে বসবাস করছিলেন ?!

প্রয়োজন এটাই ছিল যে, মানুষের মধ্যে ওই ব্যক্তি নিপীড়িতদের প্রতিশোধ নিত, যে ব্যক্তিগতভাবে সামান্য নির্যাতন এবং ব্যক্তিগত লাভের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন অসুবিধার শিকার ছিল, যাতে নিপীড়িতরা এটা বুঝতে পারে যে, ওই সীমিত আকারের লক্ষ্যের মোকাবেলার মধ্যে বড় লক্ষ্যেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইমাম হোসায়েন (আঃ) ওই ব্যক্তিগত নির্যাতনের শিকার হননি, যা সেই যুগে প্রত্যেক মুসলিম নর -নারী সহ্য করছিল। কারণ ইমাম হোসায়েন (আঃ) মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং কেউ তাঁকে স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি।

তিনি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ধনী এবং শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন। দুনিয়ার সকল নেয়ামত তাঁর জন্য প্রস্তুত ছিল।  সব মুসলমানই ইমাম (আঃ)-এর সাথে অত্যন্ত সম্মানের সাথে সাক্ষাত করতেন।

ধন সম্পদ, পদ এবং সম্মান তাঁর কোনও প্রয়োজন ছিল না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বনী উমাইয়াদের দ্বারা নির্যাতিত হননি। বনী উমাইয়াদের খলিফারা তাঁর সাথে ভদ্রতা ও ক্ষমাশীল আচরণ করতেন, তারা তাঁকে ভয় করতেন।

তবে এত কিছুর পরেও ইমাম হোসায়েন (আঃ) উঠে দাঁড়ালেন, কিন্তু ওই চাবুক খাওয়া কেউ, যাদের পিঠ চাবুকের ঘাতে লাল হয়ে গিয়েছিল, কেউই দাঁড়াল না। ইমাম হোসায়েন (আঃ) উঠে দাঁড়ালেন যাতে যাদের পিঠ চাবুকের ফলে লাল হয়ে গিয়েছিল তারা বুঝতে পারে যে, তাদেরকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

অনুবাদ: মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .