হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, কারবালার ময়দানে হযরত ইমাম হুসাইন (আ:) এবং তাঁর একনিষ্ঠ সঙ্গীদের শাহাদাতের প্রায় ১৪০০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে,কিন্তু কারবালার শহীদদের স্মৃতি আজও বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সাথে মানুষের অন্তরে জাগ্রত আছে। শুধু ইসলাম ধর্মের অনুসারীই নয় বরং হিন্দু ধর্মের অনুসারী যারা ইমাম হুসাইনের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও স্নেহ প্রদর্শন করেন,তারই মধ্যে একজন হলেন সুনিতা ঝাংরান।
সুনিতা ঝাংরান বলেন যে ইমাম হুসাইন (আ:) - এর প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ, একটি পরিবারে সাতটি সন্তান ছিল যারা পরবর্তীতে পুরো গোত্রে পরিণত হয়েছিল।
লখনউয়ের চক এলাকা থেকে উত্তরসূরি বেগম আখতার সুনিতা ঝাংরান এবং তার পরিবার ইমাম হোসায়েন (আ:) - এর প্রতি চরম ভালোবাসা প্রকাশ করে আসছেন।
সুনিতা ঝাংরানের মতে,হিন্দু সেনাবাহিনীও ইমাম হুসাইন (আ:) - কে সাহায্য করার জন্য ইয়াজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল।
এদেরক বলা হয় 'হোসাইনী ব্রাহ্মণ!'
ভারতে প্রায় ৩০ লক্ষ 'হোসাইনী ব্রাহ্মণ' আছেন! কথিত আছে- তাদের কোন এক পূর্ব পুরুষ ইমাম হোসাইনের (আ:) শির মোবারকের সম্মান রক্ষার্থে মলঊন ইয়াজিদ বাহিনীর কাছ থেকে ইমামের শির মোবারকটি ছিনিয়ে নিতে তার নিজের সন্তানদের নির্দেশ দেন। পিতার নির্দেশ পেয়ে তারা ইয়াযিদ বাহিনীর সাথে মরনপণ যুদ্ধ করে সবাই নিহত হন। পরবর্তীতে সেই পূর্বপুরুষের বংশধরেরা ইরান ও আফগানিস্তান হয়ে ভারতে এসে বসবাস শুরু করেন। আর তাদেরই অধঃস্তন প্রজন্ম আজকের এই 'হোসাইনী ব্রাহ্মণ'।
তবে, নিজেকে 'হোসাইনী ব্রাহ্মণ' দাবিদার এই মহিলার কবিতার ছন্দের ভাষাগুলো একেবারে অন্তর ছুঁয়ে যায়!