۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
আমরা অশ্রু বর্ষণের কোন সিঁড়িতে উপনীত আছি?
আমরা অশ্রু বর্ষণের কোন সিঁড়িতে উপনীত আছি?

হওজা / আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহঃ) বলতেন : "অশ্রু স্বর্গ থেকে আনা হয় এবং চোখের শ্লেষ্মায় বিতরণ করা হয়।"

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, শহীদ সম্রাট ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর উপর অশ্রু ঝরানো একটি আসমানী রিজিক।

এটা এক ধরনের রিজিক যা আকাশ থেকে বিতরণ করা হয়, তাও উম্মুল আয়েম্মা হযরত ফতেমা যাহরা (সাঃআঃ)-এর পবিত্র হাত দিয়েই বিতরণ করা হয়।

হযরত সাইয়্যেদুশ শুহাদা (আঃ)-এর উপর অশ্রু বর্ষণের যে ফযিলত উল্লেখ করা হয়েছে তা এখানে বর্ণনা করা হবে। সাধারণত আমরা ষষ্ঠ ধাপে পৌঁছেছি এবং সপ্তম ধাপে পৌঁছতে পারিনি বা যা ধারণা করেন...... ।

ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর উপর যে অশ্রু বর্ষণ করা হয় তার হিসাব আছে।

ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর প্রতি আমাদের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য শেখ জাফর শুশ্তারী (রহঃ) কয়েকটি ধাপ উল্লেখ করেছেন তা এখানে বিশ্লেষণ ও গবেষণা করা হচ্ছে।

আর

দেখা যাক যে, আমরা কোন ক্লাসে আছি এবং কোন সিঁড়ি পর্যন্ত উপরে উঠতে পেরেছি..। ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ)-এর সাহায্যে আরেকটি সিঁড়ি আরোহণ করুন।

প্রথম সিঁড়ি :

যখন একজন ব্যক্তি ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর লোমহর্ষক মসিবতের কথা শোনে, তখন তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

তিনি বলেছেন :

نفس‏ المهموم‏ لظلمنا تسبیح

"আমাদের উপর অর্পিত অত্যাচারের প্রতিটা দীর্ঘশ্বাস এবাদত গণ্য করা হবে।

মানুষ কাঁদতে পারে না কিন্তু তার হৃদয় জ্বলে, তার শ্বাসকষ্ট হয় এবং সে ব্যথা অনুভব করে।

দ্বিতীয় সিঁড়ি :

একজন ব্যক্তি দীর্ঘশ্বাসের উপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তার হৃদয় ব্যথাতুর, সে কাঁদতে পারে না কিন্তু অনবরত চিৎকার করতে থাকে। সে দুঃখিত যে, কেন কাঁদতে পারছি না, কেন চিৎকার করতে পারছি না, যার ফলে তার হৃদয় জ্বলতে থাকে।

তৃতীয় সিঁড়ি :

মানুষের চোখে অশ্রুর এক ঢেলা জমে আছে, কিন্তু যতই চেষ্টা করুন না কেন, অশ্রু বার হয় না এবং তারপর সেগুলো সেখানেই শুকিয়ে যায়।

ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন :

"যখনই তুমি এই অবস্থায় থাকবে, দ্রুত আকাশের দিকে হাত তুলে কিছু প্রার্থনা কর।

যে মুহুর্তে তোমার চোখে শহীদ সম্রাটের জন্য অশ্রুর এক ঢেলা তৈরী হয়ে যায়, তখন মহান আল্লাহ্ তায়ালা তোমার প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখতে থাকেন যাতে তুমি যা চাইবে তা তিনি তোমাকে দান করবেন।"

চতুর্থ সিঁড়ি :

মানুষের হৃদয় ভেঙে যায় এবং মশার পালকের মতো অশ্রু প্রবাহিত হয়।

ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : "যে ব্যক্তি আমার মজলুম পূর্বপুরুষ ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর জন্য মশার পালকের মত অশ্রু ঝরায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সকল পাপ ক্ষমা করে দেন এবং তার উপর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।

পঞ্চম সিঁড়ি :

 যদি কারও মুখ থেকে ঝরা একফোঁটা অশ্রু জাহান্নামের আগুনে পড়ে, তবে জাহান্নামের আগুন নিভে যাবে।"

ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর জন্য ক্রন্দন কারী ব্যক্তির এক ফোঁটা অশ্রুজল সমস্ত জাহান্নামীকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করতে পারে।

বন্ধুগণ! আপনাদের মুখে যে অশ্রুজল আসে তা একটু আপনার বুকে লাগিয়ে নিন, কারণ মৃত্যুর সময় বুকে বোঝা পড়ে, সেগুলো আপনার গলার নিচে ঘষুন।

ষষ্ঠ সিঁড়ি :

যদি আপনার চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে মুখ এবং বুকে পড়ে।

ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেন :

"যে কেউ এইভাবেই ক্রন্দন করে সে আমার প্রতিচ্ছবি।"

যে কেউ ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ)-এর মতো হতে চায় তাকে এমনভাবে কাঁদতে হবে যে, তার মুখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে তার বুকে টপকাতে থাকে।

ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ ) বলেছেন :

 لِكُلّ شَيْئٍ ثَوابٌ اِلا الدَمْعَةٌ فينا ..

"ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন :

সব কিছুর জন্য একটি পুরস্কার রয়েছে কিন্তু যে অশ্রু আমাদের জন্য ঝরানো হয় তা ছাড়া (কোন কিছুই এর সমান নয় এবং এর অগণিত পুরস্কার আছে ..)।

জামেআহাদিসআল-শিয়া, খন্ড ১২ পৃষ্ঠা ৫৪৮...

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

  السلام علیك یاقتیل العبرة

লেখা: মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .