۱۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۳ شوال ۱۴۴۵ | May 2, 2024
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু অস্ত্র তুলে দিয়েছে তালেবানের হাতে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু অস্ত্র তুলে দিয়েছে তালেবানের হাতে

হাওজা / তালেবানের হস্তগত হয়েছে বা আমেরিকানরা সেগুলো ছেড়ে চলে গিয়েছে এমন ভাবে যে সেগুলো তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

হাওজা নিউজ বাংলা এজেন্সির মতে, কয়েকশো কম্ব্যাট ও সামরিক অত্যাধুনিক মার্কিন হেলিকপ্টার ও দুশো মার্কিন জঙ্গী বিমান , হাজার হাজার ট্যাংক , সাঁজোয়া যান ও অগণিত বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘ , মাঝারী ও স্বল্প পাল্লার কামান সহ ৮৫ বিলিয়ন ( ৮৫,০০০ কোটি ) ডলারের মার্কিন ও ন্যাটোর অস্ত্র

তালেবানের হস্তগত হয়েছে বা আমেরিকানরা সেগুলো ছেড়ে চলে গিয়েছে এমন ভাবে যে সেগুলো তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর আফগানিস্তানের দায়েশের ( আইএসআইকে ISIK ) হাতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু অস্ত্র তুলে দিয়েছে ।

 আর এরফলে গোটা আফগানিস্তানে ভয়ঙ্কর জটিল ধরণের গৃহযুদ্ধ লাগানোর পায়তারা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ন্যাটো বিশেষ করে ব্রিটেন , ইসরাইল ও ফ্রান্স । আর সৌদি - আমিরাতি অর্থাৎ প্রতিক্রিয়াশীল আরব চক্রও এ গৃহযুদ্ধে অর্থায়নে সদা প্রস্তুত তো আছেই । তবে তালেবানের বেশির ভাগ ( ৮০./. - ৯০./. ) হানাফী দেওবন্দী যাদের মধ্যে এক বিরাট অংশ সোকল্ড মডারেট তালেবান যারা ইরান সহ আফগানিস্তানের সকল প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং ১০./.- ২০./. হচ্ছে উগ্র সালাফী ওয়াহহাবী তাকফীরী  যারা খুবই ফেরোশাস এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের চার মাযহাব , আশ আরী মাতুরিদী ,  মুতাযিলী ও সূফী তরীকাগুলোকেও তাকফীর অর্থাৎ কাফির আখ্যায়িত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের এই গোষ্ঠী ও আইএস আই কে দিয়ে আফগানিস্তানে গণ্ডগোল ও গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর তালে আছে যার প্রকৃষ্ট নমুনা হচ্ছে গত বৃহস্পতিবারের কাবুল বিমানবন্দরে আইসিসের বোমা হামলা ও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আইএসের ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ড্রোন হামলা ।

 আফগানিস্তানে বিভিন্ন গ্রুপের হাতে শত শত বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রয়েছে যারফলে মধ্য এশিয়া ককেশাস সহ অত্র অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে ।

এজন্য ইরান খুব সতর্কতার সাথে আফগান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং আফগানিস্তানে তালেবানসহ সকল রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায় , দল ও জাতিসত্ত্বার ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণে ব্রডবেজ আফগান সরকার ও প্রশাসন গঠন করে স্থায়ী শান্তি , নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এ ধরণের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সর্বাত্মক বাঁধা ও অন্তরায় সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ।

ভবিষ্যতের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট বোঝা যাবে ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .