۱۶ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۶ شوال ۱۴۴۵ | May 5, 2024
আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের ( আঃ )
আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের ( আঃ )

হাওজা / হযরত ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন ( আঃ ) ৩৮ হিজরীর ৫ শাবান মতান্তরে ৩৬ হিজরীর ১৫ জুমাদাল উলা জন্ম গ্রহণ করেন ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ২-  ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) কারবালায় বনী উমাইয়ার সেনাবাহিনীর হাতে পিতা ইমাম হুসাইনকে ( আঃ ) , চাচাদেরকে , ভ্রাতৃদেরকে , চাচাত ভাইদেরকে , নিকটাত্মীয়দেরকে এবং পিতার একনিষ্ঠ বিশ্বস্থ অনুসারী সংগী – সাথীদেরকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে নিহত হতে ও শাহাদত বরণ করতে দেথেছেন এবং তিনি সহ তাঁর ফুফু ভগ্নী এবং আহলুল বাইত ও হাশিমী বংশীয় নারী ও শিশুরা বন্দী হয়েছেন ইয়াযীদী সেনাবাহিনীর হাতে এবং তাঁদের সাথে অত্যন্ত রূঢ় ও খারাপ আচরণ এবং তাঁদেরকে মারধর ও প্রহার করা হয়েছে ।

তাঁদের তাঁবু সমুহ লুন্ঠন করে আগুণ লাগিয়ে দেয় কমজাত ইয়ায়ীদী বদমায়েশরা । বর্শার আগায় কারবালার শহীদদের কর্তিত মাথা গেঁথে এবং নবী পরিবারের বন্দীদের পায়ে বেড়ী পরিয়ে এবং শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁদেরকে কূফা , দামেশক সহ ইরাক ও শামের বিভিন্ন শহর ও জনপদে ঘোরানো হয়েছিল এবং পিতা ইমাম হুসাইনের ( আ.) লাশ এবং কারবালার সকল শহীদের লাশ অশ্বের পদতলে পিষ্ঠ করেছিল ঐ সব ইয়াযীদী কাফির বেঈমানেরা । এমন ভাবে ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আ.)এবং আহলুল বাইতের নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে জনগণ তাঁদেরকে খ্বারিজী বিধর্মী যুদ্ধ বন্দী বিবেচনা করতঃ কটাক্ষ্য করে আনন্দ উল্লাস করেছে এবং তাঁদেরকে কটূ কথাও শুনিয়েছে ।

 আসলে এহেন চরম কঠিন সংকটজনক পরিস্থিতিতে ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) এবং তাঁর ফুফু হযরত যাইনাব ( আঃ ) ছিলেন মহানবীর আহলুল বাইতের ( আঃ ) বন্দী নারী ও শিশুদের আশ্রয়স্থল এবং তাঁদের সান্ত্বনা দানকারী । বরং তিনি এবং ফুফু যাইনাব ( আঃ ) অত্যন্ত সাহসের সাথে ও নির্ভীক ভাবে শত্রুর মুকাবেলা করেছেন যার প্রমাণ হচ্ছে কূফা ও শামে তাঁদের প্রদত্ত বক্তৃতা ও ভাষণসমূহ ।

 কূফায় ইবনে যিয়াদের দরবারে বন্দীদের আনার পর ইবনে যিয়াদ এবং তাঁর মাঝে উত্তপ্ত কথা ও বাক্য বিনিময় হওয়ার কারণে পাপিষ্ঠ নরাধম উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ ক্রুদ্ধ হয়ে ইমামকে হত্যা করার আদেশ দিলে তিনি ( ইমাম ) বলেছিলেনঃ আমাকে কতল করার ভয় দেখাচ্ছিস তুই ? তুই কি জানিস না যে নিহত ও শহীদ হওয়া আমাদের কাছে অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার এবং শাহাদত হচ্ছে আমাদের জন্য কারামত ও ফযীলত ( মর্য্যাদা ও গৌরব ) ? ( দ্রঃ আখতাব্ খাওয়ারিযমী প্রণীত মাকতালুল হুসাইন , পৃঃ ৪৩ )

   ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) , তাঁর ফুফু হযরত যাইনাবের ( আঃ ) এবং আহলুল বাইতের ( আঃ ) অন্য সকল সদস্য ইমাম হুসাইনের ( আঃ ) শাহাদতের পর মুসলিম উম্মাহর কাছে শহীদ মযলূম ইমামের বিপ্লব ও কিয়ামের বাণী পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তাঁরা বক্তৃতা প্রদান এবং শত্রুর সাথে মুনাযারা ( যুক্তিপূর্ণ বিতর্ক ) করে উমাভী খিলাফত ও প্রশাসনের কালো কুৎসিত চেহারা ও স্বরূপ উম্মোচন এবং জনগণকে সচেতন করায় আত্মনিয়োগ করেন ।

 সমগ্র মুসলিম বিশ্ব বিশেষ করে শাম অঞ্চলে মহানবীর ( সা. ) আহলুল বাইতের ( আ. ) বিরুদ্ধে মুয়াবিয়ার শালনামল থেকে চলে আসা উমাইয়া সরকার ও প্রশাসনের ব্যাপক  অপপ্রচারের বিষয়টি বিবেচনা করে যদি ইমাম হুসাইনের আত্মীয় স্বজন বিশেষ করে ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) বনী উমাইয়া ও ইয়াযীদের প্রকৃত চেহারা ও স্বরূপ উম্মোচন এবং কারবালার হত্যাযজ্ঞোর নৃসংশতা ফাঁস না করতেন তাহলে ইসলামের শত্রুরা এবং তাদের চরেরা সুমহান হুসাইনী আন্দোলন ও বিপ্লবকে চিরতরে বিকৃত করে দিত ।

 কিন্তু ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) এবং আহলুল বাইতের সদস্যগণ শত্রু কর্তৃক এই বিকৃতি সাধনের সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন বাণী ও বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে বরং ইয়াযীদকেই দুর্নাম ও নিন্দার পাত্রে পরিণত করেন ।…চলবে…

লেখা: মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .