۱۶ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۶ شوال ۱۴۴۵ | May 5, 2024
মওলা আলী (আঃ)
মওলা আলী (আঃ)

হাওজা / আজ চারিদদিকে সুধু আলী আলী !! আজান আলী, একামতে আলী, ইমামে আলী, জ্ঞানে আলী, চেতনায় আলী, মস্তিষ্কে আলী, কিতাবে আলী, সমাজে আলী, রাস্ট্রে আলী, বাস্তবে আলী, তো নামে আলী ৷

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ চারিদদিকে সুধু আলী আলী !! আজান আলী, একামতে আলী, ইমামে আলী, জ্ঞানে আলী, চেতনায় আলী, মস্তিষ্কে আলী, কিতাবে আলী, সমাজে আলী, রাস্ট্রে আলী, বাস্তবে আলী, তো নামে আলী ৷

আসুন আজ দুটি "আলীর" সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই, যে দুই "আলী" আজকের কঠিন মুহুর্তে বাতিল এজিদিয়াতের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে জীবন্ত করে দিয়েছেন, ....ফলে বাতিল এজিদিয়াত "আলী" নামটি শুনতে ভয় পাচ্ছে, তাই আজান থেকে আলী নামটি তুলে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ৷

(১) আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী সিস্তানী ৷ ইরাকের সিস্তান শহরে তাঁর জন্ম, তাই তার নামের শেষে সিস্তানী জুড়ে আছে, অর্থাৎ তাঁর নাম কিন্তু 'আলী'

(২) আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খামেনাঈ, ইরানের খামেনাঈ শহরের তার জন্ম তাই তাঁর নামের শেষে খামেনাঈ জুড়ে আছে, অর্থাৎ তাঁর নামও কিন্তু 'আলী'

......এই  আলীই কারবালায় মওজুদ ছিলেন, একজন ছোট আলী আসগার, একজন বড় আলী আকবার, আর অপরজন আর এক আলী, যিনি 'আলী ইবনে হুসেন অর্থাৎ জয়নুল আবেদিন (আঃ)

তাহলে কারবালা কার দখলে ছিলো ??

তাহলে কারবালা আলী'র দখলে ছিলো ৷ আর যেখানে আলী থাকে সেখানে জয় থাকে, সেখানে সম্মান থাকে, সেখানে বাস্তবতা থাকে, সেখানে জ্ঞান থাকে, সেখানে মুক্তি থাকে, সেখানে চেতনা থাকে, সেখানে সভ্যতা থাকে, সেখানে ঐক্য থাকে, সেখানে নাজাত থাকে৷

এজন্য আমাদের মাসুম ইমামসহ অনেকেই বলেছেনঃ "কুল্লু ইয়াউমিন আশুরা, কুল্লু আরদীন কারবালা" তার সন ৬১ হিজরীর পর থেকে ইমামে জামানা জহুর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আশুরা, আর গোটা দুনিয়া কারবালা ৷

যদি প্রতিটি জমিন কারবালা হয়, তাহলে আমাদেরকে আলী দরকার হতে হবে ৷ তবে এজিদিয়াত নাস্তানাবুদ হবে ৷ আজ তাই দুই আলী ইরাক ও ইরান থেকে বাতিলকে পরাজিত করেছেন ৷

পৃথিবীর ভৌগলিক দিক দিয়ে 'ইরাক' 'ইরান' আমাদের জন্য মূল্যবান নমুনা ৷ মধ্যপ্রাচ্যে বাতিল এজিদিয়াত যখন ওহাবীয়াতের মাধ্যমে রাজ করছিল, তখন দুই আলী দুই দিক থেকে এজিদিয়াতকে মোটামুটি নাস্তানাবুদ করতে পেরছেন ৷ সেই দুই আলীর এক আলী হলেন সিস্তানের আলী, আর ইরানের খোমেনীর আলী ৷ দুজনের উপরে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক ৷

আর এ দিকে এখন কুফার মত পরিচিত হলোঃ বর্তমান পাকিস্তান ৷ এখান থেকে তাই আলী নামটি আর হজম করতে পারছে না ৷ এজন্য তাই বাতিল এজিদিয়াত আজন থেকে আলী নামটি তুলে দিবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ এমন কি আলীর নামে আলাইহিস সালাম যাতে আমরা না বলতে পারি, তার জন্য আইন কারবাঈ করছে ৷

কুফাতে যেমন বেশ কিছু মুনাফেক ছিলো, তেমন পাকিস্তানেও সেই মুনাফেকরা বাতিল এজিদিয়াতকে হাওয়া দিচ্ছে ৷ তারা হাওয়া দিচ্ছে আলীওয়াদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটিয়ে এজিদিয়াত রাজ বজায় রাখতে চাইছে ৷

 তাই তারা চায়ছে আজন থেকে আলীর নাম উঠে যাক ৷ তারা আলীর নামে এতটাই জ্বলছে ও আলীর পেরশানে আছে যে, তাদের বক্তব্য, চালচলন ও মাথার চুল ছেড়াছেড়ি দেখলে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা আলীর নামে কতটা পেরেশানে আছে !!

ইমাম হুসাইন আঃ কেন তাঁর সন্তানদের নাম আলী রেখেছিলেন ?

 কারন, আলী আঃ হলেন কুল্লে ঈমান, আর আলী নামের প্রতি যাদের ঘৃণা আছে, তারা বৈমান, তারা মুনাফেক ৷

.....তাই আসুন আমাদের সবকিছুতে আলী উচ্চারণ আনি, যেমন আজানে আলী আছে থাকবে ও চলবে ৷  আজান থেকে আলীর নাম তোলা তো দূরের কথা বরং আসুন বাতিলের বিরুদ্ধে সবাই জোর আওয়াজ তুলি ৷

এবং আমাদের আশে পাশে বেশকিছুর নাম আলী রাখি ৷

 যেমনঃ মসজিদে আলী, আলী ইমামবাড়া, ব্যাবসাও শুরু করুন আলীর নামে, আপনার দোকানের নাম রাখুন আলী ৷ আপনার সন্তানদের নাম রাখুন আলী, আপনি যদি স্কুল তৈরী করেন, তাহলে সেই স্কুলের নাম দিন আলী, আপনি যদি গাড়ী কেনেন তাহলে গাড়ীর নাম দিন আলি ৷

সুধু কি নাম ?? না বরং নামের আলীর সাথে সাথে হযরত আলির ফজিলত, হযরত আলীর সুজায়াত, হযরত আলীর মারেফত, হযরত আলির বিচক্ষণতা, হযরত আলির বীরত্ব, হযরত আলির জ্ঞান, হযরত আলির আমানত, হযরত আলির নবীভক্তি, হযরত আলির নবীপ্রেম, হযরত খোদাপ্রেম, হযরত আলির দানশীলতা, হযরত আলির সিরত, হযরত আলির হিকমত, হযরত আলির দ্বীনদারী, হযরত আলির ন্যায় নিষ্টা, হযরত আলীর বেলায়ত, হযরত আলীর এলাহী পজিশান, ইত্যাদিও তুলে ধরা ৷

বক্তব্যে তুলে ধরা, কলম দ্বারা তুলে ধরা, লিখিত তুলে ধরা, নিজেদের চরিত্র দ্বারা তুল ধরা ৷

 

রচনাঃ .....মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .