۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

হাওজা / বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পথিকৃৎ শিল্পোন্নত জাপানের ভয়ঙ্কর সর্বনাশা পদক্ষেপ যা বাস্তবায়িত হলে মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে !!

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আধুনিক ( সমসাময়িক ) শিল্প কলকারখানা ভিত্তিক যান্ত্রিক সভ্যতা অর্থাৎ শিল্প কলকারখানা ভিত্তিক পণ্য সামগ্রীর লাগাম ও বল্গাহীন উৎপাদনমুখী ও ভোগবাদী সংস্কৃতি ( culture ) সত্যি মানব জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে যার প্রমাণ হচ্ছে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  তেজস্ক্রিয় দূষিত পানি যাতে রয়েছে ১.২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেজস্ক্রিয় কার্বন - ১ এবং অন্যান্য বিপজ্জনক রেডিয়োনোক্লাইডের স্তর যা প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা হলে মানব সম্প্রদায়ের এবং বৈশ্বিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি হবে ।

গ্রীন পিস জার্মানির সিনিয়র পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ শন বার্নির মতে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যাংক গুলোয় জমা করে রাখা তেজস্ক্রিয় দূষিত পানি তে মোট কার্বনের পরিমাণ ৬৩.৬ গিগা বেকেরেলস যা মানব দেহে জিন ( ডিএনএ ) গত নানা রকম পরিবর্তন ঘটাতে পারে যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের ব্যাপক মারাত্মক প্রাদুর্ভাব ও প্রসার সহ নানা ধরণের দুরারোগ্য কঠিন রোগ ব্যাধিতে মানব জাতি জর্জরিত হয়ে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে । প্রয়াত বিজ্ঞানী হকিংসের মতে মানুষ  বল্গাহীন শিল্পোৎপাদন ও নানা ধরণের প্রকৃতি পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপের কারণে আগামী ১০০০ বছরের মধ্যে নাকি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে !!! গ্রীন পিসের অভিযোগ : জাপান

সরকার এই তেজস্ক্রিয় পানির ঝুঁকি কম দেখানোর চেষ্টা করছে । তাই দেখা যাচ্ছে যে হয়তো জাপান সরকারের প্ররোচনায় ও প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে বিজ্ঞানীদেরও অনেকেই বলছেন : " এই পানির ঝুঁকি নাকি কম !! " অথবা যদি ধরেও নেই যে বিজ্ঞানীদের মাঝে এই তেজস্ক্রিয় দূষিত পানির ঝুঁকি কম বেশি হওয়ার ব্যাপারে পদ্ধতিগত ও তাত্ত্বিক মতপার্থক্য রয়েছে তাহলে এটাও কম বিপজ্জনক ও ভয়াবহ হবে না নি: সন্দেহে । কারণ এটা কোনো ছেলে খেলা , ফান , কৌতুহল বশত ল্যাবরেটরী পরীক্ষা নিরীক্ষা ( টেস্ট এক্সপেরিমেন্ট ) বা অ্যাডভেঞ্চারিজম নয় । বিষয়টা মানব জাতির অস্তিত্ব , ভাগ্য ও ভবিষ্যতের সাথে জড়িত । তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্কতা ও প্রযুক্তি - বিজ্ঞান কেন্দ্রিক গর্ব ও অহংকার থেকে উদ্ভূত বস্তুবাদ ও জড়বাদ পরিবেশ প্রকৃতির বিপর্যয় ও দূষণ ঘটিয়ে মানব জাতির জন্য পৃথিবীকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলবে এবং এ ভাবে মানব জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাবে । ২০১১ সালে ৯ রিখটার স্কেল ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপর্যয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া এবং ঐ মহা দুর্ঘটনার ৯ বছর পরে তথাকথিত ' সভ্য আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক প্রযুক্তিবাদী প্রগতিশীল ' জাপান সরকার কর্তৃক ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় দূষিত পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছেড়ে দেওয়া কি মানব জাতিকে বিলুপ্ত করার পূর্ব পদক্ষেপ হতে পারে ?!!!

যে প্রযুক্তি ও শিল্প মানব জাতিকে ধ্বংস ও বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় তার কি কোনো মূল্য আছে ?!!

তাই বিচক্ষণ ও বিবেকবান সুধী গণ গভীর ভাবে ভাবুন ও চিন্তা করুন ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .