۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

হাওজা / যৌনপেশা যে ধর্মীয় , নৈতিক - চারিত্রিক - সহজাত মানবীয় প্রকৃতিগত - বুদ্ধিবৃত্তিক - আর্থ - সামাজিক রাজনৈতিক দিক থেকে এবং জগতের বিবেকবান ও বুদ্ধিমান সুধী সুশীল ব্যক্তি বর্গের দৃষ্টি ও অভিমত ( উকালাউল আলম ) অনুযায়ী যে এক মহানিন্দনীয় পেশা।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী,  যৌনপেশা যে ধর্মীয় , নৈতিক - চারিত্রিক - সহজাত মানবীয় প্রকৃতিগত - বুদ্ধিবৃত্তিক - আর্থ - সামাজিক রাজনৈতিক দিক থেকে এবং জগতের বিবেকবান ও বুদ্ধিমান সুধী সুশীল ব্যক্তি বর্গের দৃষ্টি ও অভিমত  ( উকালাউল আলম ) অনুযায়ী  যে এক মহানিন্দনীয় পেশা এবং তা যে হারাম ( অবৈধ ) ও নিষিদ্ধ ( মামনূ ' ) হওয়া বাঞ্ছনীয়  তা স্পেনের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এ পেশা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ থেকে কার্যত: স্পষ্ট হয়ে যায় ।

আর বাস্তবে তিনি যে কতটা সফল হবেন তা ভিন্ন কথা । যেহেতু ঘৃণ্য জঘন্য এ পেশায় পুরুষের চাইতে নারী অনেক বেশি নিয়োজিত সেহেতু তাঁর ও তাঁর সমমনাদের দৃষ্টিতে এ পেশায় দারিদ্র্যের নারীত্বকরণ হয়ে থাকে যা হয়তো স্পেনীয় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল কারণ হয়ে থাকবে ।  (স্পেন)

 তবে এ পেশায় যদি কোনো সময় বা কোনো কালে নিয়োজিত পুরুষ যৌনকর্মীদের সংখ্যা নারী যৌনকর্মীদের সংখ্যার সমান বা বেশি হয়ে যায় তখন তারা কী বলবেন ? তখন কি বলা হবে যে যেহেতু পুরুষ ও নারী যৌনকর্মীর সংখ্যা সমান হয়ে গেছে তখন এ পেশাকে যেমন দারিদ্র্যের পুরুষত্ব করণ বলা যাবে না ঠিক তেমনি দারিদ্র্যের নারীত্ব করণ বলাও ঠিক হবে না ?! আর পুরুষ যৌনকর্মীর সংখ্যা নারী যৌনকর্মীর সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়ে গেলে তখন কি প্রধান মন্ত্রী পেদ্রো ও তার সরকার বলবেন যে এটা দারিদ্র্যের পুরুষত্বকরণ ?!!

 আসলে পেদ্রো ও তার মতো ব্যক্তিদের তথা প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের বস্তু বাদীদের সমস্যাটাই হলো যে অবাধ অবৈধ যৌনাচার সহ সকল পাপ , অপরাধ ও দুর্নীতি কে কেবল আর্থ বস্তুবাদী ফ্রেম ও কাঠামোর মধ্যেই বিবেচনা করেন । এ ক্ষেত্রে তারা এ সব বিষয় আখলাক ( নীতিনৈতিকতা ও চরিত্র ) ন্যায় - অন্যায় , বিবেক ও বুদ্ধিবৃত্তি , সহজাত মানব প্রকৃতি , মনস্তত্ত্ব ও ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে মোটেও বিচার ও মূল্যায়ন করতে চান না ।

 আসলে সার্বিক ভাবে মূল্যায়ন না করে শুধু একপেশী ভাবে অর্থাৎ আর্থ- সামাজিক দৃষ্টি কোণ থেকে বিচার ও অধ্যয়ন করেন । আর যদি তারা একটু অগ্রসর হন তাহলে এ বিষয় বা সমস্যাটা হয়তো কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক  দিক থেকে বিশ্লেষণ করে থাকেন মাত্র । আসলে  প্রাচ্য পাশ্চাত্যের এই বস্তুবাদীরা এ ঘৃণ্য জঘন্য কাজের কদর্যতা দূরীকরণের জন্য এ পেশাটি যা আগে বেশ্যাবৃত্তি ,  পতিতাবৃত্তি ও গণিকাবৃত্তি বলে প্রসিদ্ধ ও অভিহিত হত এবং গালি তুল্য ছিল তা যৌন পেশা ( sex profession ) এবং বেশ্যা , পতিতা ও গণিকাদেরকে যৌনকর্মী ( sex worker / sex professional ) ইত্যাদি আকর্ষণীয় চটকদার নাম ও শিরোনামে সমাজ ও জনগণের কাছে সহনীয় , গ্রহণীয় , আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করার চেষ্টা চালিয়েছে এবং তা এখনও তারা অব্যাহত রেখেছে । যেমনভাবে এ পেশা মানুষের চারিত্রিক নৈতিক অবক্ষয় ও অধ:পতন সূচিত করে ঠিক তেমনি তা জুলুম , অন্যায় , আর্থ সামাজিক বৈষম্যেরও প্রতীক এবং তা আসলে বিশেষ করে এ জঘন্য পেশায় নিয়োজিত নারীদেরকে রীতিমত যৌন দাসত্বের শিকলেই আবদ্ধ করে ।

  জঘন্য এ পেশার কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্ব জুড়ে অগণিত অসহায় নারী ও শিশু কেনাবেচা ও পাচার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডের মতো নানা ধরণের লোমহর্ষক অন্যায় , অপরাধ ও দুর্নীতিও সংঘটিত হয় ।

 আসলে ইসলামের মতো সঠিক সত্য ধর্মের বিধিবিধান , ন্যায়নীতি , আদালত ( ন্যায়পরায়ণতা ) , চরিত্র ও আখলাক উপেক্ষা ও অগ্রাহ্য করার কারণে লাম্পট্য ( ফাহশা , ফিসক ও ফুজূর ) , দুর্নীতি ও অবাধ অবৈধ বিকৃত যৌনতার বিস্তার ও প্রসারের মধ্য দিয়েই জঘন্য ঘৃণ্য পতিতা বৃত্তি ও বেশ্যা বৃত্তির উৎপত্তি ও প্রসার হয়েছে এবং চরম ভোগবাদ , লোভলালসা , যৌন বিকৃতি ও অবাধ অবৈধ যৌনতার তুঙ্গে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য থাকার কারণে এ পেশা এখনও টিকে আছে ।

 যৌন অনাচার ও বিকৃতির কারণেই বস্তুবাদী নাস্তিক্যবাদী পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের জনসংখ্যার এক বিরাট উল্লেখযোগ্য অংশ বিবাহ বহির্ভূত পন্থায় জন্ম নেয়া সন্তান ( জারজ অবৈধ সন্তান  অর্থাৎ হারাম জাদা )। স্পেনে প্রতি বছর প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ইউরো এ পেশা থেকে উপার্জন ও দেশটির প্রতি তিন জন পুরুষের একজন ( প্রায় ৩৯% ) কর্তৃক যৌনকর্মীর ( বেশ্যা )

পিছনে অর্থাৎ অবৈধ যৌনকর্মে অর্থ ব্যয় করা এবং প্রায় ৩০০,০০০ নারীর এ পেশায় নিয়োজিত থাকা সত্ত্বেও ( অর্থাৎ বস্তুবাদীদের কাছে জঘন্য এ পেশার বিরাট অর্থনৈতিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও ) স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রোকে সাধুবাদ জানাতে হয় জঘন্য এ পেশা নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। আশা করি তিনি যেন জঘন্য ঘৃণ্য এ পেশা নিষিদ্ধ করতে সক্ষম হন ।

 পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের আরো অন্যান্য দেশের উচিত স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এ জঘন্য পেশা নিষিদ্ধ করে লাখ লাখ অসহায় নারী ও শিশুকে  ভয়ঙ্কর যৌন দাসত্ব ও নির্যাতন থেকে মুক্তি দেওয়া । আর সেই সাথে একটা কথা স্মরণে রাখা উচিত যে বিকৃত যৌনতা ও যৌন দাসত্ব আসলে ধর্ম বিবেকবুদ্ধি ও নীতি নৈতিকতার বিরোধিতা ও খোদাদ্রোহী চরম ভোগবাদী প্রবৃত্তির দাসত্ব ছাড়া আর কিছুই নয় ।

এই পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা , ব্রিটেন , ফ্রান্স ইত্যাদি তথাকথিত মানবতা ও সভ্যতার ধ্বজাধারী দেশগুলো ব্রোথেল ( পতিতালয় ) না থাকা এবং পতিতা - বেশ্যাবৃত্তি , সমকামিতা ও অবাধ অবৈধ যৌনতা আইনত: ও ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে মানবাধিকার লংঘন কারী ও অনগ্রসর দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ দেশটির জন্য বিভিন্ন ধরণের সীমাবদ্ধতা আরোপ ও অসুবিধার সৃষ্টি করে । এখন তারা স্পেন ও সে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে কী বলবে ও কী পদক্ষেপ নেবে ?!!

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

১৩ রবীউল আওওয়াল , ১৪৪৩ হি.

 

দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .