۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
মুসলিমবিরোধী সহিংসতা বন্ধ করুন
মুসলিমবিরোধী সহিংসতা বন্ধ করুন

হাওজা / ভারতের বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় মুসলিমবিরোধী সহিংসতা বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় মুসলিমবিরোধী সহিংসতা বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। গত (শুক্রবার) জমিয়তের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দলকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রতিনিধি দলটি গত তিন দিনে ত্রিপুরায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ও মসজিদে আক্রমণের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে।

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এ ব্যাপারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং ত্রিপুরা পুলিশের মহাপরিচালক ভিএস যাদবের হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে।    

হিন্দি গণমাধ্যম ‘দি রিপোর্ট’-এ প্রকাশ, ত্রিপুরা জমিয়তের সভাপতি মুফতি তৈয়েবুর রহমান বলেছেন, তিনি মনে করেন, দুর্বৃত্তদের একটি গোষ্ঠী ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং রাজ্য সরকারকে বদনাম করছে। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় গেদু মিয়া মসজিদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জমিয়ত নেতা বলেন,  "ত্রিপুরার ছয়/সাতটি এলাকায় মসজিদ, আবাসিক এলাকা, বিশেষ করে গোমতি, উত্তর ত্রিপুরা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা দাঙ্গাকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।" মুফতি রহমান বলেন, "ত্রিপুরার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউই বাংলাদেশের জঘন্য ঘটনাকে সমর্থন করেনি। আমরা বাংলাদেশ ভিসা অফিসের সামনেও এর প্রতিবাদ জানিয়েছি কিন্তু কিছু ‘অশান্ত, সাম্প্রদায়িক লোক’ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে ত্রিপুরায় গোলযোগ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।"

 তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিমরা তাদের বাসা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা, অবিলম্বে অবাঞ্ছিত কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নিন্দাসহ পাঁচটি দাবি তুলে ধরেছে। 

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যকলাপ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বত্র কড়া নজর রাখছেন আমাদের দলীয় কর্মীরা। বিশেষকরে সংখ্যালঘু সেলের সদস্যরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন।’

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, তিনি মিডিয়া রিপোর্ট থেকে এমন কিছু ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, তিনি আশা করেন সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা বন্ধ করতে রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।   

এ দিকে, হিন্দি গণমাধ্যম ‘দি রিপোর্ট’-এ প্রকাশ, ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সভাপতি মুহাম্মাদ আরিফ খান এক বিবৃতিতে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় মুসলিমদের মসজিদ ও ঘরবাড়িতে হিন্দুত্ববাদীদের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের মতো ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের নিপীড়নের জন্য কুখ্যাত। এবার তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুবিরোধী সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে এটা করছে বলেও ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র নেতা আরিফ খান মন্তব্য করেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .