۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
মহানবী (সা:)
মহানবী (সা:)

হাওজা / ১৭ রবীউল আওওয়াল আহলুল বাইতের (আঃ) প্রসিদ্ধ অভিমত অনুসারে মহানবী (সা:) এবং তাঁর বংশধর পবিত্র আহলুল বাইতের বারো ইমামের ষষ্ঠ মাসূম ইমাম হযরত জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক (আঃ)-এর শুভ জন্মদিন ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী,  পর্ব ৪- ৭. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

তোমরা নিজেদের মু'মিন ভাইদের সংখ্যা বৃদ্ধি করো ; কারণ কিয়ামত দিবসে প্রত্যেক মু'মিনের শাফায়াত করার অধিকার থাকবে । ( দ্র: কানযুল উম্মাল , হাদীস নং : ২৪৬৪২)

৮. মহানবী ( সা: )বলেছেন:

তোমরা জেনে রাখ যে ঈমানের এক অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে মু'মিনকে ভালোবাসা । ( বিহারুল আনোয়ার , খ:৭, পৃ:২৮১)

৯. মহানবী (সা:)বলেছেন:

যে দ্বীনী ভাইকে তুমি আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে ভলোবাস তার দিকে তাকানো হচ্ছে ইবাদৎ । ( বিহারুল আনোয়ার , খ:৩৫, পৃ: ৩৩৪)

১০. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

সর্বোত্তম (দ্বীনী) ভাই হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে আখেরাতের ( পারলৌকিক) আমল ও কর্মের ক্ষেত্রে তার নিজ দ্বীনী ভাইকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে । ( দ্র: তান্বীহুল খাওয়াতির , খ:২, পৃ: ১২৩)

১১. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

তোমাদের সর্বোত্তম দ্বীনী ভাই হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে তোমাদের দোষক্রটি তোমাদের কাছে ব্যক্ত করে ( অর্থাৎ স়ংশোধনের জন্য তোমাদেরকে তোমাদের দোষ ক্রটি দেখিয়ে দেয় এবং সে সম্পর্কে তোমাদেরকে সরাসরি অবহিত করে এবং অন্যদের কাছে তা প্রচার করে না ও বলে বেড়ায় না । ) । ( তান্বীহুল খাওয়াতির , খ:২, পৃ:১২৩)

১২. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

    তুমি তোমার যে দ্বীনী ভাই-এর মধ্যে এ তিনটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণ প্রত্যক্ষ করবে ( খুঁজে পাবে )  তাকে তুমি কামনা করবে ও চাইবে । আর উক্ত তিন গুণ হচ্ছে : ১. লজ্জা ( হায়া ও শালীনতা বোধ) , ২. বিশ্বস্ততা (আমানতকারী) এবং ৩. সত্যবাদিতা । আর এই তিন গুণ যদি তার মধ্যে না পাও তাহলে তাকে কামনা করবে না ও চাইবে না । ( কানযুল উম্মাল , হাদীস নং : ২৪৭৫৫)

১৩. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

স্বীয় দ্বীনী ভাইএর  সাথে সহাস্যবদনে দেখা - সাক্ষাৎ করবে ও মিলিত হবে । ( বিহারুল আনোয়ার , খ:৭৪, পৃ: ৩১৬, হাদীস নং ৭৩)

১৪. মহানবী (সা:) বলেছেন :

তোমার সর্বোত্তম ভাই হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে  মহান আল্লাহর আনুগত্য করার ব্যাপারে তোমাকে সহায়তা করে , মহান আল্লাহর নাফরমানি করা থেকে তোমাকে বিরত রাখে এবং তোমাকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের  আদেশ দেয় । ( তান্বীহুল খাওয়াতির , খ:২, পৃ: ১২৩ )

১৫. মহানবী ( সা:) বলেছেন :

তোমরা জেনে রাখ যে যখন দুই মু'মিন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অপরকে ভালোবাসবে এবং পরস্পর মুসাফা ( করমর্দন ) করবে  তখন তারা দুজন এক দেহ সত্ত্বায় পরিণত হবে ; যদি তাদের একজন তার দেহের যে অঙ্গে ব্যাথা অনুভব করবে তাহলে অপর জনও তার দেহের ঠিক সেই অঙ্গেই  ব্যাথা অনুভব করবে ( মুমিন অপর মুমিন ভাইয়ের দু:খকষ্টকে নিজের দু:খকষ্ট বলে মনে করবে ) । ( দ্র: বিহারুল আনোয়ার : ৭৪/২৮১/৭)

১৬. মহানবী (সা:) বলেছেন:

তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিরা হচ্ছে তারাই যারা তোমাদের মধ্যে  সবচেয়ে সুন্দর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী  যারা ( মানুষকে) ভালোবাসে এবং ( মানুষের) ভালোবাসাও পায়। ( দ্র: তুহাফুল উকূল , পৃ:৪৫)

১৭. মহানবী (সা:) বলেছেন:

    সর্বোত্তম মু'মিন হচ্ছে সে ব্যক্তি মু'মিনদের সাথে যার সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং ঐ ব্যক্তির মাঝে কোনো কল্যাণ নেই  যে মু'মিনদেরকে ভালোবাসা , সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারে না এবং সে নিজেও মু'মিনদের ভালোবাসা পায় না ।

( দ্র: বিহারুল আনোয়ার , খ:৭৫ , পৃ: ২৬৫, হাদীস নং ৯)...চলবে...

( মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .