۳۱ فروردین ۱۴۰۳ |۱۰ شوال ۱۴۴۵ | Apr 19, 2024
শিয়া
শিয়া

হাওজা / "শিয়া" একটি আরবি শব্দ যার অর্থ অনুসারী। وَإِنَّ مِنْ شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ নিঃসন্দেহে ইব্রাহিম ছিলেন নূহের অনুসারীদের অন্যতম।” (সুরা সাফফাত আয়াত-৮৩)


হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, শিয়া একটি খুব পরিচিত নাম,শিয়া অর্থ কি?? চলুন আজ জেনেনি.....

"শিয়া" একটি আরবি শব্দ যার অর্থ অনুসারী।

وَإِنَّ مِنْ شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ
নিঃসন্দেহে ইব্রাহিম ছিলেন নূহের অনুসারীদের অন্যতম।” (সুরা সাফফাত আয়াত-৮৩)

উপরোক্ত আয়াত ও এর অনুবাদে এটা পরিষ্কার যে শিয়া শব্দের অর্থ অনুসারী, এর অর্থ কোন দল নয়।

যদি কেউ বলে আমি রাসুল (সাঃ) এর শিয়া-
তারমানে সে রাসুলের অনুসারী।

যদি কেউ বলে আমি আলী (আঃ) এর শিয়া-
তারমানে সে আলীর অনুসারী।

যদি কেউ বলে আমি উসমান এর শিয়া-
তারমানে সে উসমানের অনুসারী।

যদি কেউ বলে আমি আবু জেহেল এর শিয়া-
তারমানে সে আবু জেহেলের অনুসারী।

শুধুমাত্র শিয়া শব্দ মাপকাঠির জন্য যথেষ্ট নয়, কার শিয়া অর্থাৎ কার অনুসারী এটা জানা অত্যন্ত জরুরি। আবার কেউ যদি ইবলিসের অনুসারী হয় তাকে ইবলিসের শিয়া অর্থাৎ ইবলিসের অনুসারী বলা হয়।

এবার মূল বিষয়ে যাওয়া যাক-
"শিয়ারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহকে ধোকা দিয়েছে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে হত্যা করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি..!
এরকম অনেক অপবাদ দেওয়া ও মিথ্যাচার করা হয়।"

আহলে সুন্নাহর ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থের কিছু অংশ দিয়ে মিথ্যুক ও অপবাদকারীদের মুখে কালি মেখে দেয়া যাক

এ বিষয় প্রমানের জন্য সরাসরি কারবালার যুদ্ধ থেকে তুলে ধরি-

*// আহলে সুন্নাহর ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থ
তারিখে তাবারী, খন্ড ১৯ পাতা ১৩৬, ১৩৭ ---
- যখন কারবালায় যুদ্ধ শুরু হয় এবং এক এক পক্ষ থেকে একজন একজন এর মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছিল তখন ইমাম হুসাইন (আঃ) এর দল থেকে নাফি বিন হিলাল বের হয়ে এসে বললেনঃ

“আমি জামালি, আমি আলীর ধর্মে বিশ্বাস করি"

অপর পক্ষ হতে মুজাহিম আল হুরাইস নামে একজন বের হয়ে  হুংকার করে বললঃ

"আমি উসমানের ধর্ম অনুসরণ করি"

নাফি বিন হিলাল উত্তরে বলেন ‘বরং তুই শয়তানের ধর্ম অনুসরণ করিস’। তারপর নাফি বিন হিলাল তাকে আক্রমণ করলেন ও হত্যা করলেন’।

*// আহলে সুন্নাহর ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থ
তারিখে তাবারি খন্ড ১৯ পাতা ১০৭ ---
- ইবনে যিয়াদ কুফার গভর্নর ছিল সে উসমানের অনুসারী ছিল এবং উসমান হত্যার প্রতিশোধ হিসাবে নির্দেশ দেয়ঃ 

“হুসাইনের জন্য পানি বন্ধ করে দাও ঠিক সেই ভাবে যেভাবে আমিরুল মোমিনিন উসমানের জন্য করা হয়েছিল”।

*// আহলে সুন্নাহর ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থ
আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া খন্ড ৮ পাতা ৩২৮ (ইঃফাঃ) ---
- “হুসাইন আর পানির মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াও এবং তাদের সাথে সেই রকম ব্যবহার কর যে রকম ব্যবহার নিরপরাধ, আল্লাহভীরু মজলুম আমিরুল মোমিনিন উসমানের সাথে করা হয়েছিল”।

*// আহলে সুন্নাহর ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থ
আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া খন্ড ৮ পাতা ৩৬৫ (ইঃফাঃ) ---
- “ইবনে যিয়াদ আল হারমাযুনের গভর্নর আমর ইবনে সায়ীদের কাছে হুসাইনের নিহত হওয়ার সুসংবাদ দিয়ে পত্র প্রেরণ করলো সে একজন ঘোষকে ডেকে এই খবর ঘোষনা দিল। বনূ হাসিমের মেয়েরা যখন এই সংবাদ শুনল তারা উচ্চস্বরে কান্না বিপাল করতে লাগলো। তখন আমর বিন সায়ীদ বলতে লাগলো এই হল উসমান বিন আফফানের শোকে বিলাপকারীণিদের বদলা”।

ইতিহাসের পাতা থেকে আরো একটি প্রমাণ দিয়ে শেষ করি

*// আহলে সুন্নাহর ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থ
তারিখে তাবারী, খন্ড ৫, পৃষ্ঠাঃ ৪১৭ ---
- ইমাম হুসাইন (আঃ) এর সেনাবাহিনীর সাথে যুহাইর বিন কাইনকে দেখে আয'রা (ইয়াজিদের সৈন্য) বলে-

হে যুহাইর, তুমি তো আহলেবাইত (আঃ) এর শিয়া নয়, তুমি তো উসমানের শিয়া!

যুহাইর বিন কাইন তার জবাবে বললেনঃ
"এখন আমি এদিকে আছি, তোমার জানা উচিত আমি কার শিয়া"

--- সুতরাং ইমাম হুসাইন (আঃ) এর হত্যাকে উসমানের হত্যার বদলা নেওয়া হিসেবেও দেখা হয় এবং উসমানের শিয়া বা অনুসারীদের অংশগ্রহণ আহলে সুন্নাহর গ্রন্থ হতে প্রমাণিত ।

নিজেদের কুকর্ম আড়াল করার জন্যই রাসুল (সাঃ) ও আলী (আঃ) এর শিয়াদের বিরুদ্ধে উসমানের শিয়ারা মিথ্যাচার ও অপবাদ দিয়ে বেড়ায়। আর সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই না করেই কিছু সংখ্যক আবু জেহেলের শিয়ারা আলী (আঃ) এর শিয়াদের বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজি করে প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে নিরেট মূর্খ হিসেবে প্রমাণ করতে থাকে।

#আহলে_সুন্নাহর_ইতিহাসের_বিখ্যাত_গ্রন্থ হতে সব কিছু পরিষ্কার দেখিয়ে দেওয়ার পরও যারা মানতে নারাজ তারা মূলত ইবলিসের শিয়া। আর ইবলিসের শিয়াদের বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে বলেছেনঃ

لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنكَ وَمِمَّن تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ
তোর (ইবলিশ) দ্বারা আর তাদের মধ্যে যারা তোর (ইবলিশ) অনুসরণ করবে তাদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব। (সূরা সোয়াদ আয়াত ৮৫)

"শুধুমাত্র শিয়া শব্দ মাপকাঠির জন্য যথেষ্ট নয়, কার শিয়া অর্থাৎ কার অনুসারী এটা জানা অত্যন্ত জরুরি।"

হে আল্লাহ! আমাকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ও তাঁর পবিত্র বংশধারা আলে মোহাম্মদ (আ:) গণের প্রকৃত  শীয়া (অনুসারী)  হওয়ার তৌফিক দিন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আর্জিল ফারাজাহুম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার শান্তি বর্ষণ করুন মোহাম্মদ ও তার পবিত্র বংশধরদের উপর এবং যামানার ইমাম (আ:) এর আগমন ত্বরান্বিত করুন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .