۳۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۲ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 20, 2024
করোনা ভাইরাস টিকা
করোনা ভাইরাস টিকা

হাওজা / ৮০ শতাংশ টিকা নিয়েও ধুঁকছে ইউরোপ ১৩ Nov, ২০২১ মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রকোপ যেন কোনোভাবেই কাটছে না।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ টিকা নিয়েও ধুঁকছে ইউরোপ ১৩ Nov, ২০২১ মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রকোপ যেন কোনোভাবেই কাটছে না।

সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেও অনেক দেশে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। করোনার নতুন ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইউরোপ। প্রায় ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরও ধুঁকছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গোটা ইউরোপকেই ভুগতে হবে এই শীতে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ মৃত্যু হতে পারে এই মহাদেশে। সবচেয়ে ভয়ের, সমস্ত পূর্বাভাসই মিলে যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে গোটা বিশ্বের মোট সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি ঘটেছে ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, রোমানিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। হু জানিয়েছে, ইউরোপে করোনায় মৃত্যু গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঘটছে নেদারল্যান্ডসে। অথচ এ দেশে ৮৫ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নেদারল্যান্ডসে ১৬ হাজার ৩৬৪ জন্য সংক্রমিত হয়েছেন। যা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডস সরকার তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছে। অতি-প্রয়োজনীয় নয়, এমন সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছে, যাদের টিকাকরণ হয়নি, তাদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। অস্ট্রিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নয়া করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না-থাকলে পানশালা, রেস্তরাঁ বা কোনো বদ্ধ জায়গায় ঢোকা যাবে না।

নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু করছে নরওয়ে। যারা টিকা নেননি এখনো, তাদের সপ্তাহে দুই বার করোনা-পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নরওয়েতে ৮৭ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি শনাক্ত হতে থাকে দেশে। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে।

৮০%টিকাকরণের পর কেন ধুঁকছে ইউরোপ ? কেন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার কেন বেড়ে গেছে ? কেন বুস্টার ডোয্ নিতে হচ্ছে ? কেন নেদারল্যান্ডসে ৮৫% টিকাকরণের পর সে দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি ঘটছে ? তাহলে টিকা কি কার্যকারিতা দেখাতে পারছে না ? আর আগামী ফেব্রুয়ারির অনেক আগেই ইউরোপে প্রায় ১০০% টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন হু ( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ) ভাবিষ্যদ্বাণী করেছে যে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউরোপে আরো ৫০০,০০০ লোক মারা যেতে পারে ?!!

তাহলে কি অ্যাস্ট্রোযেনেকা , ফাইযার , মডার্ণা , জনসন এ্যান্ড জনসন , সিনোফার্ম , সিনোভ্যাক্স ও স্পুটনিকের টিকা ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্যাপ্ত ইমিউনিটি ( করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা ) ঠিক মতো গড়ে তুলতে পারছে না ? কেন এ সব টিকা তা পারছে না ?

এই যদি টিকাকরণের অবস্থা ইউরোপে হয় তাহলে এশিয়া , আফ্রিকা , লাতিন আমেরিকায় টিকাকরণের অবস্থা ও ভাগ্য কেমন হবে ?

এ সব প্রশ্নের সদুত্তর দেবে কি দেশসমূহের সরকারসমূহ এবং হুর ( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ) মতো সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ?!!

না কি গোঁজামিল চলতেই থাকবে ?

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .