হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের গুরুগ্রামের ঘটনা। সেখানে মুসলমানদের জনপরিসরে জুমার নামাজ আদায় করতে দিতে চায় না কট্টরপন্থী হিন্দুরা। এ পরিস্থিতির মধ্যে মুসলমানদের জুমার নামাজ পড়ার জন্য নিজের দোকানে জায়গা দিতে চান একজন হিন্দু। তার সেই উদ্যোগের পর এবার সেখানকার একটি গুরুদুয়ারা মুসলমানদের নামাজের জন্য জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোনা চক গুরুদুয়ারার সভাপতি শেরদিল সিং সিধু বলেছেন, মুসলমানদের সঙ্গে যা ঘটছে, তা দেখে আমরা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি না।
জানা গেছে, গুরুদুয়ারাটি ১৯৩৪ সালে নির্মিত। তবে হরিয়ানায় শিখদের সেটি সবচেয়ে পুরনো ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত তিন মাসের ইতিহাস টেনে শেরদিল সিং সিধু বলেন, জনপরিসরে মুসলমানদের জুমার নামাজেে বাধা দিচ্ছে কট্টরপন্থী হিন্দুরা। স্থানীয় প্রশাসন অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের বাধা দিচ্ছিল কট্টরপন্থীরা।
দিনেশ ভারতীর নেতৃত্বে কট্টরপন্থী হিন্দুরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। মূলত এই নেতার নেতৃত্বে ভারত মাতা বাহিনী মুসলমানদের বাধা দেয় জুমার নামাজ পড়ার ব্যাপারে। সেক্টর ৪৭ এ মুসলমানরা জুমার নামাজ পড়তে গেলে তাদের বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেক্টর ১২ এবং আরো এলাকায় এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ২৬ অক্টোবর ২২টি ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর একটি কনসোর্টিয়াম সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সদস্যরা গুরুগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন জমা দেয়। তাতে প্রশাসনকে জনপরিসরে সব ধরনের নামাজ পড়া বন্ধ করতে বলা হয়।
এক সপ্তাহ পর ১২ নম্বর সেক্টরে পূজা করে হিন্দুরা। যে স্থানে মুসলমানরা জুমার নামাজ পড়তো, সেখানে পূজা করা হয় ওইদিন। তারপর ১২ নভেম্বর তারা আবারও একই জায়গায় ভলিবল খেলার জন্য যায়। অথচ ওইদিন জুমার নামাজ পড়তে সেখানে মুসলমানরা জমায়েত হওয়ার কথা। ওইদিন সেখানে গরুর গোবর ছড়িয়ে যায় কট্টরপন্থীরা।
এসব দেখে বিরক্ত হয়ে মুক্তমনা হিন্দু ব্যবসায়ী এবং পরে গুরুদুয়ারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মুসলমানদের নামাজের জন্য জায়গা করে দেবে।