শেখ আলী ইবনে ইব্রাহিম কুম্মী (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি ইবনে আবি উমায়ের থেকে আর তিনি জামীল থেকে এবং তিনি ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন :
دِرْهَمُ رِبَا اَعْظَمُ عِنْدَاللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ سَبْعِیْنَ زَانِیَّةٍ کُلُّهَا بِذَاتِ مَحْرِمٍ فِیْ بَیْتِ اللّٰهِ الْحَرَامِ
"আল্লাহর কাছে সুদের এক দিরহাম, কাবাঘরে মাহরাম মহিলার সাথে সত্তর বার ব্যভিচার করার চেয়েও নিকৃষ্ট।"
শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেন, বহু আয়াত ও রেওয়ায়েত সুদের নিন্দা এবং এর ভয়ানক গুনাহ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। আর উক্ত বিষয়ে শেখ সূদুক্ব (রহঃ) কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।
মহানবী (সাঃ) আমীরুল মুমিনীন ইমাম আলী (আঃ)-কে নিম্নলিখিত অসিয়ত করেনঃ
"হে আলী! সুদের সত্তরটি ভাগ, যার মধ্যে সবচেয়ে নুন্যতম হল, একজন ব্যক্তির পবিত্র কাবাঘরে তার মায়ের সাথে বিয়ে (ব্যভিচার) করা।"
এছাড়াও নবী করীম (সাঃ) থেকে আরও হাদীস বর্ণিত হয়েছে :
তিনি (সাঃ) বলেন :
"যে ব্যক্তি সুদ খাবে, আল্লাহ তায়ালা তার পেটকে জাহান্নামের ওই পরিমাণ থেকে পূর্ণ করে দেবেন যতটা সে সুদ খেয়েছে। সুতরাং সে যদি সুদের মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করে থাকে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে এক ক্যারেট সুদের ন্যায় অর্থ অবশিষ্ট থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তার কোন আমল গৃহীত করবেন না। আর সে সর্বদা আল্লাহ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতাদের অভিসম্পাতের অধীনে থাকবে।"
এবং তিনি (সাঃ) বলেন :
"জীবিকা উপার্জনের সবচেয়ে নিকৃষ্ট উপায় হল সুদের মাধ্যমে উপার্জন করা।"
নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে :
"যে কেউ অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করবে, ওই উপার্জন তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করার কারণ হবে।"
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।
অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)