۲۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۴ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 12, 2024
News ID: 375068
8 دسمبر 2021 - 13:24
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসরের শিক্ষা

হাওজা / (১) সময়ের কসম ! সময়ের কসম ! অর্থাৎ বেলায়তের কসম খাচ্ছেন আল্লাহ ৷ অর্থাৎ আল্লাহপাক আমাদের কোরআনের মাধ্যমে গাদীরে খুমের ঘোষিত বেলায়তের সময়ের আমাদের সামনে কসম খাচ্ছেন ৷

'بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

وَٱلْعَصْرِ إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ لَفِى خُسْرٍ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلْحَقِّ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلصَّبْرِ

(১) সময়ের কসম ! সময়ের কসম ! অর্থাৎ বেলায়তের কসম খাচ্ছেন আল্লাহ ৷ অর্থাৎ আল্লাহপাক আমাদের কোরআনের মাধ্যমে গাদীরে খুমের ঘোষিত বেলায়তের সময়ের আমাদের সামনে কসম খাচ্ছেন ৷

তারমানে আমরা বেলায়তের সময়ে অবস্থান করছি৷ দশম হিজরীর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত এই সময়ের নাম বেলায়তের সময় ৷ শয়তান বেলায়তকে আড়াল করতে শত দিকদিয়ে চেষ্টা চালাবে ...তাই আল্লাহপাক বেলায়তের সময়ের কসম খেয়ে বেলায়তকে জীবন্ত করে রেখেছেন ৷

(২) বেশীর ভাগ মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে !

বেশীর ভাগ মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে ! অর্থাৎ বেলায়ত ছেড়ে দিয়ে মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে ৷ বেলায়ত তো বেশীরভাগ লোক ছেড়ে দিয়েছে, ...তাই আল্লাহ বলছেনঃ বেশীর ভাগ লোক ক্ষতির মধ্যে আছে ৷

(৩) তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে !

তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ! অর্থাৎ যারা গাদীরে খুমের ঘোষিত বেলায়তের উপরে ঈমান আস্থা ও আত্মনিবেদন করেছে, ...তারা ক্ষতিগ্রস্থ থেকে রক্ষা পেয়েছে ৷

তারা দুনিয়াতে লাভবান হয়েছে এবং আখেরাতেও সকল মঞ্জিলে লাভবান হয়েছে ৷ আল্লাহপাক ও নবী সঃএর করুণাপাত্র হয়েছে ৷ আল্লাহকে রহমত ও রহমান হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছে ৷

(৪) যারা সৎ আমল করেছে !

যারা সৎ আমল করেছে ! অর্থাৎ যারা বেলায়তের মাধ্যমে তৌহিদ ও রিসালতকে গ্রহন করে আমলে সলেহান আঞ্জাম দিচ্ছে, অর্থাৎ নবীপাকের আহলে বাইতের নিকট হতে দ্বীনকে গ্রহন করেছে ৷

তবে এটা জ্ঞাত হওয়া বাধ্যতামূলক যে, এই দ্বীনকে রক্ষা করেছেন ইমাম হুসাইন আঃ ৷ তাই কারবালার পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত দ্বীন প্রাপ্তির মাধ্যম রেখেছেন আযাদারীকে আঞ্জাম দেবার মাধ্যমে,

এজন্য তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে আযাদারীকে প্রতিষ্টা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ৷

আর এই আযাদারী উপহার দিয়েছে বেলায়তে ফোকি'র বাস্তবতা৷

আযাদারীর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কায়েম হয়েছে বেলায়তে ফোকি'র বাস্তবতা ৷ এটি প্রতিষ্টিত হয়েছে ৷ এই বেলায়তে ফোকির প্রতিষ্টার অপর নাম সালাতকে কায়েম করা ৷

পবিত্র কোরআনের 'আকিমুস সালাত' এর আর এক নাম বেলায়তে ফোকির বাস্তবতাকে প্রতিষ্টা করা এবং এর মাধ্যমে শত্রুকে নাস্তানাবুদ করা ৷ .এটি সম্ভব হয়েছে আযাদারীকে ধারাবাহিক ভাবে আঞ্জাম দিতে থাকার জন্য ৷ আর যারা আযাদারী পালন করেছে এবং বেলায়তে ফোকিকে প্রতিষ্টা করেছে ...তাই তারা লাভবান হয়েছে ৷

.......তাই আল্লাহ এই সুরার মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেনঃ যারা সৎ আমল করেছে, তারা ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে ৷

(৫) একে অপরকে হকের উপদেশ দিয়েছে !

একে অপরকে হকের উপদেশ দিয়েছে ! অর্থাৎ একজন আর একজনকে বেলায়তের হকটির দিকে দাওয়াত দিচ্ছে ...এমন লোক বা এমন গোষ্টি ৷

আযাদারী কি ? আযাদারী কাকে বলে ? আযাদারী কেন পালন করতে হবে ? ....এমন আলোচনাটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ৷

এবং এর সাথে সাথে বেলায়ত কি ! বেলায়ত কাকে বলে ! কেন বেলায়ত গ্রহন করতে হবে ! বেলায়ত গ্রহন না করলে কি ক্ষতি হবে ! বেলায়তের মাধ্যমে কিভাবে দ্বীন রক্ষিত হচ্ছে !!.....এমন শিক্ষার প্রচার প্রসার করছে ৷ এটিই হকের উপদেশ ৷ আর এই হকের উপদেশ দেনেওয়ালারা ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে ৷

(৬) একে অপরকে সবরের উপদেশ দিয়েছে !

একে অপরকে সবরের উপদেশ দিয়েছে ! অর্থাৎ বেলায়তের জন্য আযাদারী পালন করলে শত্রুরা ধেয়ে আসবে হত্যা করতে ৷

অপরদিকেও আযাদারীর মাধ্যমে বেলায়তে ফোকি'কে বরণ করলেই বিশ্বের শত্রুদের পক্ষ হতে যে জুলুম নির্যাতন পর্যায়ক্রমে ধেয়ে আসবে, সে ব্যাপারেও একে অপরকে সবর করার উপদেশ দিতে হবে, যাতে মানুষ ধৈর্য হারিয়ে না ফেলে ৷ বেলায়তের উপরে ঈমান রেখে দুনিয়াতে চলতে গেলেই বিপদ আপদ ধেয়ে আসবে, তার জন্য ধৈর্য (সবর) এক্তিয়ার করে 'কোরআন ও আহলে বাআতকে সমভাবে দৃড়তার সহিত ধারন করতে হবে ৷

একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, যাতে বেলায়তের পথে মানুষ মনকে দঢ় করতে পারে ও বিপদের মোকাবেলা করতে পারে ৷ তাহলে ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ৷

ইমাম হুসাইন আঃএর আযাদারী পালন করে কাতিলে হুসাইনের মুখোশ উন্মোচন হয়েগেছে ৷ এবার ফাতিমা আঃএর শোকের আযাদারী করে কাতিলে ফাতিমার মুখোশ উন্মোচন হবে, অর এভাবে বেলায়তের স্বরূপের সৌন্দর্য পূর্ণরূপে প্রকাশিত হবে ইনশাল্লাহ

ব্যাখ্যা ও আলোচনা ও গবেষণায়ঃ মুস্তাক আহমদ (সত্যের পথে)

08 / 12 / 2021

تبصرہ ارسال

You are replying to: .