۱ خرداد ۱۴۰۳ |۱۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 21, 2024
আহলে বাইতঃ
মহানবী(সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইতঃ

হাওজা / ভুমিকাঃ ইসলাম হলো আনুগত্য, প্রেম ও ভালবাসার ধর্ম। ইবাদতের মূলে রয়েছে ভালবাসা। আল্লাহ্ নিজে ভালবেসে হযরত মুহামদ (সাঃ)-কে তাঁর বন্ধু বানিয়েছেন। তাঁকে সর্ব শ্রেষ্ঠ নবীরূপে মানবতার মুর্ত রহমত স্বরূপ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁকে শেষ নবী বানিয়ে নবুয়্যতের মিশনকে পরিপূর্ণতা দেয়া হয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৪- অতঃপর জিবরাইল (আঃ) বললেন, " হে প্রভু! আমাকে অনুমতি দেবেন কি যাতে আমিও পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে ৬ষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তাঁদের সাথে অবস্থান করতে পারি"? আল্লাহ্ তায়ালা বললেন, "হ্যাঁ, তোমাকে অনুমতি দিলাম"।

অতঃপর জিবরাইল (আঃ) পৃথিবীতে নেমে আসলেন এবং বললেন, " হে আল্লাহর নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। মহান প্রভু সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্ আপনার প্রতি সালাম প্রেরণ করেছেন এবং আপনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমার শান শওকতের কসম! আমি এই সুদৃঢ় নভেমন্ডল, সুপ্রসস্ত পৃথিবী, আলোকিত চাঁদ, প্রজ্জলিত সূর্য, ঘুর্নায়মান গ্রহমন্ডলী, উত্তাল মহা সাগরসমূহ, ভাসমান তরণীসমূহ এবং অন্য সকল বস্তু একমাত্র তোমাদের এবং তোমাদের ভালবাসার খাতিরেই সৃষ্টি করেছি। অতঃপর মহান প্রভু আবার নিচে আপনাদের সাথে যোগদান করার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে অনুমতি দেবেন কি?"মহানবী (সাঃ) জবাবে বললেন, "হে ওহী বহনকারী বিশ্বস্ত ফেরেস্তা! আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক৷ হ্যাঁ, আপনাকে অনুমতি দেয়া হলো"। তখন হযরত জিবরাইল (আঃ)-ও আবার মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের সাথে মিলিত হলেন।

এরপর তিনি আমার আব্বাজানকে সম্বোধন করে বললেন, " আল্লাহ আপনাদের প্রতি তাঁর বাণী পাঠিয়েছেন এবং বলেছেনঃ" নিশ্চয়ই আল্লাহ্ চাচ্ছেন তোমার আহলে বাইত হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে"

তখন আলী (আঃ) আব্বাজানকে বললেন, "হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে বলুন, আবার নিচে একত্রে থাকাতে আল্লাহর কাছে আমাদের কি মর্যাদা রয়েছে"?

মহানবী (সাঃ) জবাবে বললেন, " সেই মহান সত্তার কসম যিনি আমাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন এবং যিনি মানব জাতির মুক্তির জন্য আমাকে নবুয়্যতের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন৷ যখন আমাদের সমর্থকদের কেউ এই পৃথিবীর বাশিন্দাদের সমাবেশগুলোর কোন একটি সমাবেশে হাজির হয়ে এই হাদীস বর্ণনা করবে তাহলে তার বা তাদের উপর আল্লাহর অশেষ দয়া ও করুণা বর্ষিত হবে। ফেরেস্তারা তাঁদের চারপাশে অবস্থান করবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই মজলিশ থাকবে ততক্ষন পর্যন্ত ফেরেস্তারা তাদের গুনাহ্ মাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে।"।

এ কথা শুনে হযরত আলী (আঃ) বললেন, " আল্লাহর কসম! আমরা সফলকাম হলাম। এবং ক্বাবাবার প্রভুর কসম, আমাদের অনুসারীরাও (আমাদের শিয়ারাও) এখন সফলকাম হয়ে গেল"।

অতঃপর আমার আব্বা মহানবী (সাঃ) বললেন, "হে আলী! আমাকে যিনি সত্য নবী বানিয়েছেন এবং মানুষের মুক্তির জন্য নবুয়্যতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন সেই মহান সত্তার কসম খেয়ে বলছি, যদি এই পৃথিবীর সমাবেশগুলোর মধ্য হতে কোন একটি সমাবেশে আমাদের অনুসারী (শিয়া) ও বন্ধুরা সমবেত হয়ে আমাদের এই হাদীস বর্ণনা করে এবং যদি তাদের কেউ চিন্তাক্লিষ্ট থাকে তাহলে আল্লাহ্ তাঁর চিন্তা-ভাবনা লাঘব করবেন, কেউ যদি দুঃখিত থাকে আল্লাহ্ তার দুঃখ মোচন করবেন, কেউ যদি কোন কিছুর প্রয়োজন অনুভব করে আল্লাহ্ তা পূরণ করবেন। "

তখন হযরত আলী (আঃ) বললেন, " আল্লাহর কসম! এই মুহুর্তে সাফল্য আর আশির্বাদের মুকুটে আমরা সম্মানিত হলাম। কাবার প্রভুর কসম, একই ভাবে আমাদের অনুসারীরাও (শিয়ারাও) সফলকাম হলো এবং ইহকাল ও পরকালেও তারা সৌভাগ্য বান হলো"।

আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।

তথ্যসূত্রঃ শিয়া মাজহাবের অনুসৃত গ্রন্থসমূহঃ

১) আল- ইহতিজাজঃআল্লামা তাবরাসী;

২) আমালীঃইবনুস্ শায়েখ;

৩) বিহারুল আনওয়ার ঃ আল্লামা মজলিসী;

৪) ফাজাইলঃ ইবনে শা'বান;

৫) কাশফুল হক্ঃ আল্লামা আল হিল্লি;

৬) কানজ্ জামিউল ফারাইদ;

৭) লুহুফঃ সাইয়েদ ইবনে তাউস?

৮) আল মাজলিস(আল আমালী)ঃ শেখ মুফিদ;

৯) আল মাজলিস ( আল আমালী)ঃ শেখ সাদুক;

১০) তাফসির ফুরাতঃ আলী ইবনে ইবরাহীম আল কুমি

১১) তাফসির মাজমাউল বায়ানঃ আল্লামা তাবরাসী;

১২) আল উমদাঃ ইবনে বাতরিক।

আহলে সুন্নতের গ্রন্থ সমূহঃ

১) ইসাবা ৫ম খন্ড, পৃঃ৪৮৯;

২) ইবনে আসাকিরঃ৫/১/১৬;

৩) আল ইসতিয়াবঃ ৫ম খন্ড পৃঃ৫৯৭;

৪) জামেউল উসুলঃ ১০ম খন্ড, পৃঃ১০১;

৫) কানজুল উম্মালঃ৭ম খন্ড পৃঃ১০৩;

৬) খাসাইসে নাসায়ীঃপৃঃ৪;

৭) মাজমাউল যওয়ায়িদ-৯ম খন্ড, পৃঃ১৬৭;

৮) মাকতালুল খাওয়ারেজমী-২য় খন্ড পৃঃ৬১;

৯) মুসকিলুল আসার-১ম খন্ড পৃঃ৩৩৫;

১০) মুসনদে আহমদ ইবনে হাম্বল, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ১৭;

১১) মুসনদে তাইয়ালাসী -৮ম খন্ড পৃঃ২৭৪;

১২) মুসতারাক আস্ সহিহাইন-২য় খন্ড, পৃঃ৪১৬;

১৩) মুসতারাকুল হাকীম- ৩য় খন্ড পৃঃ১৪৭;

১৪) রিয়াজুন্ নুদরা-২য় খন্ড, পৃঃ২৪৮;

১৫) সহি মুসলিম ৭ম খন্ড পৃঃ১৩;

১৬) সুনানে বায়হাকী-২য় খন্ড, পৃঃ১৪৯;

১৭) সহি তিরমিজি-১২তম খন্ড, পৃঃ৮৫;

১৮) তাফসিরে দুররে মনসুর-৫ম খন্ড পৃঃ১৯৮;

১৯) তাফসিরে ইবনে কাসির-৩য় খন্ড, পৃঃ৪৮৫;

২০) তাফসিরে তাবারী-২২তম খন্ড, পৃঃ৭;

২১) তাফসিরে সালাবী-৩য় খন্ড, পৃঃ২২৮;

২২) তাহ্জিবুত তাহজিব-২য় খন্ড, পৃঃ২৯৭;

২৩) তারিখে বাগদাদ-৯ম খন্ড, পৃঃ১২৬;

২৪) তারিখে তাবারী-৫ম খন্ড৷ পৃঃ৩১;

২৫) তরজমাই ইসতিয়াব-পৃঃ৬৩৭;

২৬) তায়সিরুল উসুল-৩য় খন্ড, পৃঃ২২৯৭;

২৭) উসদুল গ্বাবাহ্-৫ম খন্ড, পৃঃ৫২১;

২৮) জাখায়েরুল উকবা-পৃঃ ২৪।

নিবেদক- মোহাম্মদ হোসাইন, বাংলাদেশ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .