۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
ফাতেমা
ফাতেমা জাহরা (সা:)

হাওজা / শত্রুর মুখোশ খোলার জন্য শহীদ হতেও পিছোপা হন না, বরং ইসলামের শত্রুর সালামের জবাব না দিয়ে প্রমান করেন তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ৷

রচনাঃ মুস্তাক আহমদ (সত্যের পথে)

মওলা আলী (আঃ) বদর, ওহুদ, খায়বার, খন্দককে ইসলামের শত্রু বড় বড় কাফের মুসরেক'কে যিনি জব্দ করে ইসলামকে সম্মানিত করেও … এমন এক সময় যিনি খামোশ খেয়ে চুপ হয়ে যান, ঠিক সেই সময় ইসলামের শত্রুকে চিহ্নিন্ত করে তাকে জব্দ করে তাকে লানতি করে দেন সেই কন্যাকে ফাতিমা (আঃ) বলে ৷

এই সেই ফাতিমা (আঃ) তিনি এমন এক নারী, যিনি হযরত আলীর মত বীরে যখন কিছু করতে পারেন না, তখন তিনি ইসলামের শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে যান ৷

সেই শত্রুর মুখোশ খোলার জন্য শহীদ হতেও পিছোপা হন না, বরং ইসলামের শত্রুর সালামের জবাব না দিয়ে প্রমান করেন তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ৷

আর নবীপাক বলেছেনঃ "ফাতিমা যাতে অসন্তুষ্ট, আমিও তাতে অসন্তুষ্ট ৷"

........ফাতিমা (আঃ) হলেন সেই ব্যক্তিত্বা যিনি 'সাহাবী' সংজ্ঞা পৃথিবীতে রেখে গেছেন ৷ অথচ কেউ সাহাবীর সংজ্ঞা কেউ দিতে পারেন নি ৷

যাহরা আঃ এমন এক ব্যক্তিত্বা যিনি জীবনে শেষ রক্তবিন্দু দ্বারা সাহাবীর পরিচয় দিয়েছেন ৷ অর্থাৎ বিবি যাহরা আঃ যাদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন তাদের প্রতি....প্রতি বৃহস্পতিবার সারা রাত্রী দোয়া করতেন ৷

আর তিনি আঃ যাদের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন, তাদের সালামের জবাব পর্যন্ত দেন নি, সুধু এতটুকু নয়, বরং সেইসব মুনাফেকদের নিজের দাফন কাফনে অংশগ্রহন করতে নিষেধ করে গেছেন ৷

.......ফাতিমা আঃ এমন এক ব্যক্তিত্বা, যিনি আল্লাহর সৃষ্টিকে রক্ষার জন্য বা ধ্বংসের হাত বাঁচাবার জন্য 'কাউসার' অর্থাৎ এমন বংশ রেখে গেছেন, যারা জান্নাতের সর্দ্দার ৷

এজন্য প্রত্যেক মাসুম ইমাম বলেছেনঃ "আমরা হলাম মানবজাতির জন্য হুজ্জাত, আর আমাদের দাদী ফাতিমা আঃ হলেন আমাদের জন্য হুজ্জাত ৷"

অপরদিকে ইমামে জামানা হযরত ইমাম মাহদী আঃ বলেছেনঃ "আমার যত শিক্ষা সবক আমার দাদী হযরত ফাতিমা আঃএর মধ্যে লুকিয়ে আছে ৷"

দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .