۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ شوال ۱۴۴۵ | Apr 20, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)
হুজ্জাতুল ইসলাম মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

হাওজা / সাতাশতম অমীয় বাণী। গ্রন্থ শিরোনাম : চল্লিশটি অমীয় বাণী। (সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ) সংকলন : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ)।

হুজ্জাতুল ইসলাম মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

বিষয়: আবু বাসিরের প্রতিবেশীর তওবা।

عَنْ اَبِیْ بَصِیْرِ قَالَ کَانَ لِیْ جاراً یَتْبَعُ السُّلْطَانَ فَاَصَابَ مَالاً فَاَعَدَّ قِیَّانًا وَ کَانَ یَجْمَعُ الْجَمِیْعَ اِلَیْهِ وَ یَشْرَبُ الْمُسْکِرَ وَ یُوْذِیْنِیْ فَشَکَوْتُه اِلٰی نَفْسِه غَیْرَ مَرَّةٍ فَلَمْ یَنْتَهِ فَلَمَّا اَنْ اَلْحَحْتُ عَلَیْهِ قَالَ لِیْ یَا هَدَّ اَنَا رَجُلٌ مُبْتَلَیْ وَاَنْتَ رَجُلٌ مَعَافِیْ فَلَوْ عَرَضْتَنِیْ لِصَاحِبِکَ رَجَوْتُ اَنْ یُنْقِذَنِیَ اللّٰهُ بِکَ فَوَقَعَ ذَلِکَ لَه فِیْ قَلْبِیْ فَلَمَّا صِرْتُ اِلٰی اَبِیْ عَبْدِ اللّٰهِ عَلَیْهِ السَّلامُ ذَکَرْتُ لَه حَالَه فَقَالَ لِیْ اِذَا رَجَعْتَ اِلَی الْکُوْفَةِ سَیَاتِیْکَ فَقُلْ لَه یَقُوْلُ لَکَ جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَلَیْهِ السَّلامُ دَعْ مَا اَنْتَ عَلَیْهِ وَ اَضْمُنَ لَکَ عَلَی اللّٰهِ الْجَنَّةَ فَلَمَّا رَجَعْتَ اِلَی الْکُوْفَةِ اَتَانِیْ فِیْمَنْ اَتٰی فَاحْتَسَبْتُه عِنْدِیْ حَتّٰی خَلا مُنْزِلِیْ ثم قُلْتُ لَه یَا هٰذَا اِنِّیْ ذَکَرْتُکَ لِاَبِیْ عَبْدِ اللّٰهِ جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَلَیْهِمَا السّلامُ فَقَالَ لِیْ اِذَا رَجَعْتُ اِلَی الْکُوْفَةِ یَاْتِیْکَ فَقُلْ لَه یَقُوْلُ لَکَ جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ دَعْ مَا اَنْتَ عَلَیْهِ وَ اَضْمَنُ لَکَ عَلَی اللّٰهِ الْجَنَّةِ قَالَ فَبَکٰی ثُمَّ قَالَ لِیَ اللّٰهُ لَقَدْ قَالَ لَکَ اَبُوْ عَبْدِاللّٰهِ هٰذَا؟ قَالَ فَحَلَفْتُ لَه اِنَّه قَدْ قَالَ لِیْ مَا قُلْتُ فَقَالَ لِیْ مَا قُلْتُ فَقَالَ لِیْ حَسْبُکَ وَ مَضٰی فَلَمَّا کَانَ بَعْدَ اَیَّامٍ بَعَثَ اِلَیَّ فَدَعَانِیْ وَ اِذَا هُوَ خَلَفَ بَابِ دَارِه عُرْیَانٌ فَقَالَ لِیْ یَا اَبَا بَصِیْرُ لا وَ اللّٰهُ مَا بَقِیَ فِیْ مَنْزِلِیْ شَیْءٌ اِلَّا وَ قَدْ اَخْرَجْتُه وَ اَنَا کَمَا تَرٰی قَالَ فَمَضِیْتُ اِلٰی اِنِّیْ عَلِیْلٌ فَاْتِنِیْ فَجَعَلْتُ اَخْتَلِفُ اِلَیْهِ وَ اَعَالِجُه حَتیّٰ نَزَلَ بَهِ الْمَوْتُ فَکُنْتُ عِنْدَه جَالِساً وَ هُوَ یَجُوْدُ بِنَفْسِه فَغَشٰی عَلَیْهِ غَشْیَةً ثُمَّ قُبِضَ (رَحْمَةُ اللّٰهِ عَلَیْهِ) فَلَمَّا حجَجْتُ اَتَیْتُ"یَا اَبَا عَبْدِاللّٰهِ عَلَیْهِ السَّلامُ فَاسْتَاْذَنْتُ عَلَیْهِ فَلَمَّا دَخَلْتُ "قَالَ لِیْ اِبْتَدَاءً مِنْ دَاخِلِ الْبَیْتِ وَ اِحْدٰی رِجْلِیْ فِیْ الصِّحْنِ وَالْاُخْرٰی فِیْ دِهْلِیْزِ دَارِه یَا اَبَا بَصِیْرِ قَدْ وَفِیْنَا لِصَاحِبِکَ

ইবনে শাহার আশোব এবং ইসলামের বিশ্বস্ত আলেম কুলাইনী (রহঃ) প্রসিদ্ধ সাহাবী আবু বাসির (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আবু বাসির বলেন:

“আমার এক প্রতিবেশী ছিল, সে শাসকের অনুসরণকারী এবং খুবই ধনী ব্যক্তি ছিল। তার কাছে নর্তকী ও সঙ্গীতশিল্পী ছিল এবং সেখানে সর্বদা সঙ্গীতশিল্পীদের বাজার গরম থাকতো। সে মদ্যপান করত এবং নর্তকীরা তার জন্য সঙ্গীত পরিবেশন করত। সে আমার প্রতিবেশী ছিল বলে আমি সর্বদা ব্যথা এবং কষ্টের মধ্যে থাকতাম। এই কুকর্মের জন্য আমি তার কাছে কয়েকবার অভিযোগ করেছি কিন্তু তার পরেও সে আমার কথায় কর্ণপাত করেনি।

শেষ পর্যন্ত, আমি এই বিষয়ে তাকে শেষবারের মতো অনেক ভয় ভীতু দেখালাম তখন সে আমাকে বলল, হে আবু বাসির! আমি হলাম শয়তানের দাস এবং অতিরঞ্জিত ও কামনা-বাসনায় জর্জরিত। অথচ আপনি এর থেকে মুক্ত। কিন্তু আপনি যদি আমার এই অবস্থা আপনার ইমাম, হযরত জাফর সাদিক্ব (আঃ) -এর খেদমতে পেশ করেন তাহলে আশা করি মহান আল্লাহ তাআলা আমাকে কামনার বন্ধন থেকে মুক্তি দেবেন।

আবু বাসির বলেন, তার কথা আমাকে খুবই প্রভাবিত করে। সুতরাং আমি মদীনায় গিয়ে ইমামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে নিজের প্রতিবেশীর অবস্থা বর্ণনা করলাম।

ইমাম (আঃ) বললেন: তুমি যখন কুফা নগরে যাবে, সেই লোকটি তোমার সাথে সাক্ষাত করতে আসবে তখন তাকে বলবে, যদি পাপ থেকে দূরে থাক তবে আমি (ইমাম আঃ) তোমার জান্নাতের গ্যারান্টি দিচ্ছি।

আবু বাসির বলেন: আমি যখন ইমামের সাক্ষাতলাভ থেকে ফিরে আসলাম বহু লোকেরা তখন আমার সাথে সাক্ষাত করতে আসেন। যখন ওই লোকটি আসল আমি তাকে অপেক্ষা করতে বললাম। মানুষশূন্য হলে আমি তাকে বললাম, আমি তোমার অবস্থা সম্পর্কে ইমামকে অবগত করি, ইমাম আমাকে বলেন: তাকে আমার সালাম নিবেদন কর আর বল যে, তুমি যদি কুকর্ম ত্যাগ কর তবে আমি তোমার জান্নাতের জামিনদার।”

সে আমার কথা শুনে কাঁদতে লাগল এবং বলল, তোমাকে খোদার কসম, ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) কি সত্যিই একথা বলেছেন?

আমি শপথ করে বলি, ওইভাবেই বলেছেন। তখন সে বলল, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। এ কথা বলে সে চলে গেল।

কয়েকদিন পর সে আমাকে বার্তা পাঠাল, আমি যখন তার ঘরের দরজায় পৌছালাম, দেখলাম সে দরজার আড়ালে উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সে আমাকে বলল, হে আবু বাসির! আমার ঘরের মধ্যে যে সমস্ত ধন-সম্পদ ছিল তা আমি বাহির করে দিয়েছি। আর এখন আমি উলঙ্গ। আমি তার এই অবস্থা দেখে আমার ভাইদের কাছে যাই এবং তার জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করি।

কয়েকদিন পর সে আবার একজন লোককে আমার কাছে পাঠাল এবং জানাল যে, আমি অসুস্থ আপনি আমার কাছে আসুন। সুতরাং সব সময় আমি তার কাছে যেতে থাকি এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে থাকি। তার অন্তিম সময় আসলে আমি তার কাছে ছিলাম হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে পড়ল এবং যখন জ্ঞান ফিরে আসলো তখন সে আমাকে বলল, হে আবু বাসির! আপনার ইমাম, হযরত জাফর সাদিক্ব (আঃ) তাঁর ওয়াদা পূরণ করেছেন। এ কথা বলেই সে মৃত্যুর মুখে ঢেলে পড়ল।

অতঃপর আমি হজ্জ করে মদীনায় পৌঁছুলাম এবং ইমামের খেদমতে যেতে চাইলাম। আমি অনুমতি চাইলাম, আমার এক পা আঙ্গিনায় এবং অন্য পা দরজায় ছিল। হঠাৎ ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) আমাকে বললেন, হে আবু বাসির, তোমার সঙ্গীকে আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ করেছি।"

উসুলে কাফী খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৩৮১..

বিঃদ্রঃ! এখানে অনুবাদ শুধুমাত্র সেই পাঠের করা হয়েছে যা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) চাহাল হাদীস নামক তাঁর ফার্সী গ্রন্থে করেছেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .