۳۰ فروردین ۱۴۰۳ |۹ شوال ۱۴۴۵ | Apr 18, 2024
ফাতেমা
ফাতেমা জাহরা (সা:)

হাওজা / ৩ জুমাদাস সানিয়া ১১ হিজরী আহলুল বাইতের (আ.) মশহূর ( প্রসিদ্ধ ) অভিমত অনুসারে এবং অন্য একটি বর্ণনা মতে ১১ হিজরী সালের ১৩ জুমাদাল উলা নবী দুহিতা হযরত ফাতিমা যাহরার ( আ.) শাহাদাত দিবস ।

মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান

পর্ব ৪- সহীহুল বুখারীর হাদীস : মহানবী (সা.) বলেছেন : ফাতিমা বেহেশতের অধিবাসী নারীদের নেত্রী

فَاطِمَةُ سَیِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ

( দ্র : সহীহুল বুখারী , রাসূলুল্লাহর - সা. - নিকটাত্মীয়দের এবং নবীকন্যা ফাতিমার - আলাইহাস সালাম - মানাকিব অধ্যায় - , পৃ : ৯০৯ এবং পৃ : ৯১৯ )

হযরত আয়েশা ( রা.) থেকে বর্ণিত : মহানবী ( সা.) যে রোগে মৃত্যু বরণ করেন সেই রোগে অসুস্থ অবস্থায় তিনি ( সা.) বললেন : হে ফাতিমা ! তুমি কি জগৎ সমূহের নারীদের নেত্রী , এ উম্মতের নারীদের নেত্রী এবং মুমিনদের নারীদের নেত্রী হওয়ার ব্যাপারে সন্তুষ্ট নও ? !

قَالَ النَّبِيُّ -ص- : وَ هُوَ فِيْ مَرَضِهٖ الَّذِيْ تُو‍ُفِّيَ فِيْهِ : یَا فَاطِمَةُ أَلَا تَرْضَیْنَ أَنْ تَکُوْنِيْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْعَالَمِيْنَ وَ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هٰذِهِ الْأُمَّةِ وَ سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِيْنَ .

হাকিম নীশাপুরী বলেন : এটা সহীহ ইসনাদ এবং বুখারী ও মুসলিম তা বর্ণনা করেন নি । আর আল্লামা যাহাবীও আত্ - তালখীস গ্রন্থে একমত পোষণ করে বলেছেন : এ হাদীসটি সহীহ । ( দ্র: আল্ - মুস্তাদ্রাক , খ : ৩ , পৃ : ৩৬৬ , হাদীস নং ৪৮০০ )

উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রা.) বলেছেন : আমরা মহানবীর ( সা .) পত্নী গণ সবাই তাঁর কাছে ছিলাম এবং আমাদের মধ্য থেকে কেউই (সেখান থেকে ) প্রস্থান করে নি । অত: পর ফাতিমা - আলাইহাস সালাম - পায়ে হেঁটে সেখানে আগমন করলেন । মহান আল্লাহর শপথ , তাঁর হাঁটা ছিল রাসূলুল্লাহর হাঁটার মতো । যখন তিনি ( সা.) তাঁকে ( ফাতিমা ) দেখলেন তখন তিনি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বললেন : হে আমার কন্যা , তুমি স্বাগতম । " এরপর তিনি ( সা.) তাঁকে নিজের ডান বা বাম পাশে বসালেন । এরপর তিনি তাঁকে গোপনে কিছু কথা বললেন আর তিনি ( ফাতিমা ) অত্যন্ত ক্রন্দন করলেন । অত:পর যখন তিনি তাঁর কান্না ও দু:খ প্রত্যক্ষ করলেন তখন তিনি তাঁর সাথে পুনরায় গোপনে কথা বললেন । আর তখন তিনি ( ফাতিমা ) হাসতে লাগলেন । অত:পর আমি তাঁকে বললাম : রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সকল নারীর মধ্য থেকে কেবল তোমার কাছেই তার গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে কথা বলেছেন । তখন তুমি কাঁদছিলে । অত:পর যখন রাসূলুল্লাহ উঠে চলে গেলেন তখন আমি তাঁকে ( ফাতিমা ) জিজ্ঞেস করলাম : তোমার কাছে কী গোপন কথা তিনি ( সা .) বলেছেন ? তখন তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : রাসূলুল্লাহর ( সা.) গোপন রহস্য ফাঁস করা আমার জন্য অনুচিত। অত:পর রাসূলুল্লাহ ( সা.)

ইন্তেকাল করলে আমি তাঁকে ( ফাতিমা ) বললাম : " তোমার উপর আমার যে হক ( অধিকার ) আছে সেটার ভিত্তিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তুমি আমাকে মহানবীর ( সা.) ঐ রহস্যটা জানাও । " তখন তিনি (ফাতিমা) বললেন : তবে বর্তমানে হ্যাঁ ( তোমাকে জানাতে আপত্তি নেই ) । " অত:পর তিনি আমাকে জানালেন ও বললেন : " প্রথম বারে যখন আমার সাথে গোপনে কথা বলছিলেন তখন আমাকে জানালেন যে , হযরত জিবরাঈল ( আ) প্রতি বছর একবার করে পুরো কুরআন তার কাছে উপস্থাপন ও পাঠ করতেন এবং এ বছর তিনি দুবার আমার কাছে পবিত্র কুরআন উপস্থাপন ও পাঠ করেছেন ; আর এ থেকে আমার মৃত্যু যে নিকটবর্তী হয়েছে তা ব্যতীত আমি আর কিছুই প্রত্যক্ষ করছি না ( অর্থাৎ অচিরেই আমার মৃত্যু হবে )। তাই তুমি আল্লাহকে ভয় এবং ধৈর্য্য ধারণ ( সবর ) করবে । আর আমি হচ্ছি তোমার উত্তম অগ্রবর্তী প্রতিনিধি ( সালাফ )। " তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : " অত:পর আমি কাঁদলাম । আর (সেজন্য) তুমি তখন আমাকে কাঁদতে দেখেছিলে । " অত:পর যখন তিনি ( রাসূলুল্লাহ সা ) আমার ক্রন্দন প্রত্যক্ষ করলেন তখন তিনি দ্বিতীয় দফা আমাকে গোপনে বললেন : " হে ফাতিমা ! তুমি কি মুমিনদের নারীদের নেত্রী অথবা এ উম্মতের নারীদের নেত্রী হতে পছন্দ করছ না ( হওয়ার ব্যাপারে সন্তুষ্ট নও ) ?

[ অর্থাৎ তুমি মুমিনদের নারীদের নেত্রী এবং এ উম্মতের নারীদের নেত্রী ]

( দ্র : সহীহ আল্ - বুখারী , পৃ : ১৫৮৯ , হাদীস নং ৩৬২৩ ও ৩৬২৪ এবং এর আশেপাশের হাদীস সমূহ )...চলবে...

تبصرہ ارسال

You are replying to: .