۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
ইরান
ইরান একটি শক্তিশালী দেশ

হাওজা / ইরানের সামরিক শক্তি অপ্রচলিত ও অপ্রথাসিদ্ধ রণকৌশল ও কৌশলগত স্থান সমূহে (অধিষ্ঠিত) প্রক্সি সমূহের মাধ্যমে জোরদার ( ও সমৃদ্ধ ) হয় ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, এখানে ইরানের সামরিক শক্তির উপাদান সমূহ কিভাবে কাজ করে তা আলাদা আলাদা করে উল্লেখ ও আলোচনা করা হচ্ছে ।

ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি

ইরাকস্থ যে সব সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যরা অবস্থান করছে সেগুলোয় গত বুধবার ইরানের আক্রমণ থেকে দেখা যাচ্ছে যে নির্ভর করা যায় এমন কিছু ( কার্যকর ) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইরান উদ্ভাবন করেছে ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামরিক কম্যান্ডের যুগ্ম গোয়েন্দা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক কার্ল্ শুষ্টার্ বলেন :

এ আঘাত গুলো থেকে প্রতীয়মান ও প্রমাণিত হয় যে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র সমূহের সুক্ষ্ম ও নির্ভুল গাইডেন্স সিস্টেম আছে । তিনি আরো উল্লেখ করেন যে মার্কিন লক্ষ্যবস্তু সমূহের দিকে ছোরা ১২টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র একজন মার্কিন সেনারও মৃত্যুর কারণ হয় নি যে সম্পর্কে তিনি এবং অন্য সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা ছিল না বরং তা ছিল (ইরানীদেরই) পরিকল্পনা ।

ইরানীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ছিল মার্কিন সেনাদেরকে ( মানুষ ) হত্যা নয় বরং মার্কিন সামরিক অস্ত্র , সাজসরঞ্জাম ও স্থাপনা যেমন : ঘাঁটিতে হেলিকপ্টার , যুদ্ধবিমান , হ্যাঙ্গার , অস্ত্র গুদাম ও রসদপত্র অর্থাৎ মার্কিন ওয়ার মেশিনের ধ্বংস সাধন ; আর এ কারণেই তারা ( ইরানীরা ) মার্কিন সৈন্য ও পার্সোনেলদের ডর্মেটরীতে সরাসরি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় নি । বরং তারা ঘাঁটিগুলোর হেলিকপ্টারের জায়গা ও বিমানের হ্যাঙ্গার ও অস্ত্র শস্ত্র ও গোলাবারুদের গুদাম ও স্টোর এবং সামরিক স্থাপনা সমূহে অক্রমণ চালিয়ে সেগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে । আর এ সব ক্ষেপনাস্ত্র নিখুঁত ও সুক্ষ্ম আঘাত হেনেছে ঐ সব লক্ষ্যবস্তুর ওপর । যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামলার পরপরই বলেছিল যে তাদের কোনো পার্সোনেল এ হামলায় নিহত বা আহত হয় নি । কিন্তু কিছু দিন পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্বীকার করে যে এ হামলায় শতাধিক মার্কিন সৈন্যের ব্রেইন ইনজুরি হয়েছে অর্থাৎ মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । আর হামলার সময় উক্ত ঘাঁটিতে উপস্থিত ইরাকী কর্মচারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরাকী গ্রুপ সমূহ ৮০ জনের অধিক মার্কিন পার্সোনেল নিহত ও বেশ কিছু সংখ্যক আহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল। যদি এরা নিহত হয়ে থাকে তাহলে এরা হয়তোবা ক্ষেপণাস্ত্র গুলো যে সব স্থান আঘাত করেছিল সে সব স্থানে অথবা সেগুলোর আশে পাশে ও নিকটে ছিল । ইরানীরা মার্কিন সেনা ও কর্মচারীদের ডরমেটরী লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত এবং কয়েক শোর অধিক মার্কিন সেনা ও কর্মচারী ( সার্ভিসমেন ) নিহত হত । কিন্তু ইরানীরা এ হামলার দ্বারা মানুষ হত্যা করতে চায় নি । ইসলামী বিপ্লবের মহান নেতা হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা ইমাম খামেনেঈর মতে এটা শহীদ জেনারেল কাসেম সুলাইমানীর হত্যার আসল প্রতিশোধ ছিল না বরং এটা ছিল চপেটাঘাত মাত্র ।

অনুবাদ: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .