۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
ইরান একটি শক্তিশালী দেশ
ইরান একটি শক্তিশালী দেশ

হাওজা / ইরানের সামরিক শক্তি অপ্রচলিত ও অপ্রথাসিদ্ধ রণকৌশল ও কৌশলগত স্থান সমূহে (অধিষ্ঠিত) প্রক্সি সমূহের মাধ্যমে জোরদার ( ও সমৃদ্ধ ) হয় ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ইরান আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকার বার্তাও শত্রুপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে ইরান । কারণ , ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার যা হচ্ছে আই আই এস এসের ( ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিয্ ) রিপোর্ট অনুযায়ী অত্র অঞ্চলের বৃহত্তম অস্ত্র ভাণ্ডার তার আওতায় ভালোভাবে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে সৈন্য সহ ডজন ডজন মার্কিন সামরিক স্থাপনা।

জেমস মার্ক নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল এবং সিএনএনের বিশ্লেষক বলেন : তারা ( ইরানীরা ) ইচ্ছা করলে প্রায় অনেক কম অর্থাৎ ন্যূনতম পূর্ব সতর্কতা সহকারেই এ সব অবস্থান ও স্থাপনার ওপর আঘাত হানতে সক্ষম। প্রায় ৬০,০০০ মার্কিন সৈন্য বিপদ ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

আই এস এসের নভেম্বর ২০১৯ এর রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি ধ্বংস সংক্রান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত যে কোনো প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপ বড় বড় বাঁধা ও চ্যালঞ্জের সম্মুখীন হবে ।

ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে : নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্রের টিকে থাকার (সার্ভাইভ্যাবিলিটি) সময়কাল বৃদ্ধি করার জন্য ইরান ভ্রম্যমান লঞ্চার ( উৎক্ষপনমঞ্চ ) এবং টানেলের ওপর নির্ভরশীল । আর দেশের আনাচে কানাচে এ সব মিসাইলের লঞ্চিং প্যাড (সমগ্র দেশ জুড়ে )ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আছে ।

ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে : এ সব ফ্যাক্টর বা কারণের জন্যই শত্রুর পূর্বাক্রমণ এবং ( শত্রু কর্তৃক ইরানীক্ষেপণাস্ত্র হামলা ) প্রতিহত করার বিষয়টি কঠিন ও জটিল হয়ে গেছে ।

নৌ শক্তি যেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত মার্কিন নৌবাহিনীর বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ আছে , সেখানে ইরান সমুদ্রে সুচিন্তিত ভাবে ভিন্ন এক ধরনের পথ ও পদ্ধতি গ্রহণ করেছে । আর তা হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণ ও হামলা করার রণকৌশল ।

২০১৫ সালে একটি অত্যন্ত দেখার মতো সামরিক মহড়ায় ইরানের

ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর নৌবাহিনী শাখা পারস্য উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ ইউ এস এস নিমিতযের রেপ্লিকায় বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে তা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ১০০ টি ছোট বোট ব্যবহার করেছিল ।

সৈন্যরা ছোট ছোট বোটে চড়ে নিমিযতের রেপ্লিকার দিকে কাঁধে বহন যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র , রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করে । ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে নিমিতযের রেপ্লিকা থেকে অগ্নি কুণ্ডলি ও ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে ।

আই আই এস এসের রিপোর্টে প্রকাশ : ইরানের ৩০০০ - ৫০০০ টি এ ধরণের ছোট ছোট বোট আছে এবং এ গুলো ব্যবহার করার সবচেয়ে উপযুক্ত ও ভালো জায়গা বা স্পট হচ্ছে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ স্থলের মুখে অবস্থিত হোর্মুয প্রণালী ( The strait of Hormuz ) ।

আই আই এস এসের রিপোর্টে বর্ণিত হয়েছে : সার্প্রাইজ ( চমক ও বিস্ময়) , কনফিউশন ( সংশয় ও বিহ্বলতা ) ও স্পিড( বেগ ও গতি ) --- এ সব কিছু বোটগুলোর কার্যকারিতার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য। হোর্মূয প্রণালীর আবদ্ধ জায়গা ( confined space ) যা এর সবচেয়ে সংকীর্ণ ও সরু ( narrow ) স্থানে প্রায় ৩২ কি.মি. ( ২০ মাইল ) চওড়া তা ছোট ছোট বোটের ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণ সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ।

অনুবাদ: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .