۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
কামাল খান বাঁধ
কামাল খান বাঁধ

হাওজা / আজ সকালে ২০ বছর বন্ধ থাকার পর , তালিবান আফগানিস্তানের নীমরোয্ প্রদেশের সাদ্দে কামাল খানের দুটো গেট ( কামাল খান বাঁধ ) খুলে দিয়েছে ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সকালে ২০ বছর বন্ধ থাকার পর , তালিবান আফগানিস্তানের নীমরোয্ প্রদেশের সাদ্দে কামাল খানের দুটো গেট ( কামাল খান বাঁধ ) খুলে দিয়েছে ।

এখন পানি হীলমন্দ নদী দিয়ে ইরানের হামূন হ্রদ ও জলাভূমির দিকে প্রবাহিত হচ্ছে যা প্রায় ২০ বছর ধরে খরা ও পানির অভাবে শুষ্ক এবং ধূলাবালুর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল । আর বাঁধ খোলার ৭২ ঘন্টা পরে পানি হামূন হ্রদ ও জলাভূমিতে এসে পৌঁছবে ।

১৯৭৩ সালে ইরানের সাথে আফগানিস্তানের হীলমন্দ - হামূন হ্রদ ও জলাশয় অঞ্চলের পানি বন্টনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল । এ চুক্তি মোতাবেক বছরে ৮৫০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি ইরানের পাওয়ার কথা ।

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারসাজি , ষড়যন্ত্র ও অঙ্গুলি হিলনে গত ২০ বছরে বিশেষকরে ক্ষমতাচ্যুত ও ফেরারী ( পলাতক ) আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনী সরকার ইরানের বাৎসরিক প্রাপ্য ৮৫০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি দেয় নি । ক্ষমতাচ্যুত সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনী একবার চুক্তি বহির্ভূত তেলের বিনিময়ে পানি সরবরাহের উদ্ভট আব্দার তুলেছিল এবং অদ্ভুত প্রস্তাবও দিয়েছিল ।

যাহোক ইরান সরকার আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে । এ পানি ছাড়ার আগে ইরান তালিবান সরকারের সাথে হিলমান্দ - হামূন হ্রদ ও জলাভূমির প্রাপ্য পানির হিস্যা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনাও করেছে ।

আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে মধ্যপ্রাচ্য সহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিতাড়িত ও বের করা গেলে এবং এ সব অঞ্চলের দেশ , জাতি ও সরকার সমূহের ওপর পাশ্চাত্য ( পশ্চিমা ) পরাশক্তি সমূহ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের অশুভ নেতিবাচক সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব খর্ব করা গেলে বহু আঞ্চলিক সমস্যা , সংকট ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং পারস্পরিক সাহায্য ও সহযোগিতার পরিবেশ গোড়ে তোলা সম্ভব ।

ইরান গত পাঁচ মাস ধরে আফগানিস্তানে প্রয়োজনীয় খাদ্য , রসদপত্র ,ওষুধ , জ্বালানি তেল ও লাকড়ি সরবরাহ অব্যাহত রেখে ভ্রাতৃপ্রতিম আফগান জনগণের ঘোর দুর্দিনে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । আর নি:সন্দেহে এ ধরণের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য , সংহতি ও কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন ওয়াকিবহাল মহল ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

২০ - ১ - ২০২২

تبصرہ ارسال

You are replying to: .