۱۶ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۶ شوال ۱۴۴۵ | May 5, 2024
ইমাম মাহ্দী (আ.
ইমাম মাহ্দী (আ.)

হাওজা / ইসলাম ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বিজয়ের এ যুগই হচ্ছে ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের যুগ।

অনুবাদ : মোহাম্মাদ মুনীর হোসেইন খান

পর্ব ১০- কতিপয় হাদীস অনুযায়ী ইমাম মাহ্দী (আ.) মানব জাতির জ্ঞানের সাথে আরও যে জ্ঞান যোগ করবেন তার প্রবৃদ্ধির হার হবে ২৫ : ২ অনুপাতে। অর্থাৎ মানব জাতি এর আগে জ্ঞানের যে দু’ভাগের অধিকারী ছিল তার সাথে আরও ২৫ ভাগ যুক্ত করবেন এবং সার্বিকভাবে মানুষের জ্ঞান তখন ২৭ ভাগ হবে।

সম্ভবত অভিশপ্ত দাজ্জালের অভ্যুত্থান ও ফিতনা ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর যুগে মানব জাতি যে ব্যাপক ও অভূতপূর্ব বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও বৈষয়িক উন্নতি সাধন করবে তার ফলে ঘটবে অর্থাৎ দাজ্জাল এসবের অপব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিচ্যুত ধারা সৃষ্টি করবে। সে মূলত যুবক ও নারীদেরকে ধোঁকা দেয়ার জন্য চোখ ধাঁধানো উন্নত মাধ্যম ও পদ্ধতি ব্যবহার করবে এবং এ শ্রেণীই তার অনুসারী হবে।

দাজ্জাল সমগ্র বিশ্বব্যাপী ফিতনা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তার ধোঁকাবাজি ও প্রতারণার দ্বারা অনেকেই প্রতারিত হবে। অনেকেই তার কথা বিশ্বাস করবে। কিন্তু ইমাম মাহ্দী দাজ্জালের ধোঁকাবাজি প্রকাশ্যে ধরিয়ে দেবেন এবং তাকে ও তার অনুসারীদেরকে হত্যা করবেন।

যা সংক্ষেপে আলোচনা করা হল তা হচ্ছে প্রতিশ্রুত হযরত মাহ্দী (আ.)-এর বিশ্বজনীন আন্দোলন ও বিপ্লবের একটি সার্বিক চিত্র ও পটভূমি। কিন্তু যে যুগে এ সব ঘটনা ঘটবে সে যুগের সবচেয়ে স্পষ্ট নিদর্শন ও ঘটনাবলী রেওয়ায়াতসমূহে বর্ণিত হয়েছে।

প্রথমে যে ফিতনা সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্র ওপর আপতিত হবে এবং রেওয়ায়াতসমূহে যা সর্বশেষ ও সবচেয়ে কঠিন ফিতনা বলে অভিহিত হয়েছে তা ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের মাধ্যমে বিদূরিত হয়ে যাবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এ বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগের যাবতীয় সাধারণ ও বিস্তারিত বৈশিষ্ট্য এ শতাব্দীর (বিংশ শতক) শুরুতে পাশ্চাত্য এবং তাদের মিত্র প্রাচ্য দেশসমূহের সৃষ্ট ফিতনার সাথে মিলে যায়। কারণ, এ গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সকল মুসলিম দেশ ও এ দেশগুলোর সকল পরিবারকে আক্রান্ত করবে। রেওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে : ‘এমন কোন ঘর বিদ্যমান থাকবে না যেখানে এ ফিতনা প্রবেশ করবে না এবং এমন কোন মুসলমান থাকবে না যে এ ফিতনা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’

আরেকটি রেওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে : ‘যেভাবে লোভাতুর ক্ষুধার্ত হরেক রকমের সুস্বাদু খাবাবের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গোগ্রাসে গিলতে থাকে ঠিক সেভাবে কাফির জাতিসমূহ মুসলিম দেশগুলোর ওপর আক্রমণ চালাবে।’

উল্লেখ্য, আমাদের শত্রুরা তাদের কালো সাম্রাজ্যবাদী কর্তৃত্ব ও আধিপত্যের এ প্রক্রিয়া (ফিতনা) শামদেশ (সিরিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল) থেকে শুরু করবে এবং সে দেশকে তারা সভ্যতার আলো বিকিরণের উৎস বলে অভিহিত করবে। এর ফলে এমন একটি ফিতনার উদ্ভব হবে যা রেওয়ায়াতসমূহে ‘ফিলিস্তিনের ফিতনা’ নামে উল্লিখিত হয়েছে। মশকের ভিতরে পানি যেমন আন্দোলিত হয়ে থাকে তেমনি এ ফিতনার কারণে শাম তীব্রভাবে আন্দোলিত হবে এবং লন্ডভন্ড হয়ে যাবে।...চলবে...

تبصرہ ارسال

You are replying to: .