۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
মার্কিন পুলিশ
মার্কিন পুলিশ

হাওজা / মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের পুলিশের সতর্কীকরণ অগ্রাহ্য কারী লোকটির পরিণতি : ওই হতভাগ্য লোকটি সতর্কীকরণ উপেক্ষা ও অগ্রাহ্য করে পুলিশের সামনে এগিয়ে এলে ১০-১১ জন পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে !

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের পুলিশের সতর্কীকরণ অগ্রাহ্য কারী লোকটির পরিণতি : ওই হতভাগ্য লোকটি সতর্কীকরণ উপেক্ষা ও অগ্রাহ্য করে পুলিশের সামনে এগিয়ে এলে ১০-১১ জন পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে ! ঐ স্পটে ( ঘটনাস্থলে ) ১০ - ১২ জনের বেশি পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাকে বলপূর্বক পাকড়াও না করে বা তাকে অন্ততঃ পক্ষে পায়ে গুলি করে আহত করে গ্রেফতার করতে পারত পুলিশ । কিন্তু তা না করে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য একত্রে একযোগে গুলি বর্ষণ করে ঐ লোকটাকে মেরেই ফেলল ! এ যেন অনেকটা বহু দেশে কথিত পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদেরকে হত্যা করার মতো । এ সব ক্রসফায়ারে হত্যা যদি বিচার বহির্ভূত বেআইনি হত্যাকাণ্ড বলে বিবেচিত হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের পুলিশের এ হত্যা কাণ্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের হাতে প্রতি বছর এতদসদৃশ্য শত শত বরং হাজার হাজার হত্যাকাণ্ডকে কি বিচারবহির্ভূত বেআইনি হত্যাকাণ্ড বা হত্যাযজ্ঞ বলা যাবে না ?! বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের অভিযোগে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও স্যাংকশন আরোপ করে তাহলে তো মার্কিন পুলিশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত স্যাংকশন ও অবরোধ আরোপ করা । কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা করেছে বা করবে ?! মার্কিন পুলিশের ওপর কে স্যাংকশন ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ? বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশ বিচার বহির্ভূত বেআইনি হত্যাকাণ্ডের জন্য করবে বা করতে পারবে ?!

আসলে বিভিন্ন দেশের পুলিশের হাতে বিচার বহির্ভূত বেআইনি স্রেফ সন্দেহের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড তো মার্কিন , কানাডীয় এবং কতিপয় উন্নত পশ্চিমা দেশের পুলিশের পদাংক অনুসরণ করেই হয়ে থাকে বা ঘটে । কারণ , প্রায় সকল দেশের পুলিশ ( যা রা ঠোলা হিসেবেও পরিচিত ও প্রসিদ্ধ তারা ) এই খুনি মার্কিন , কানাডীয় বা পশ্চিমা পুলিশের কাছে ট্রেনিং নিয়ে থাকে । তাই খুনি মার্কিন ও পশ্চিমা পুলিশ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের খুনি নির্যাতনকারী পুলিশের ওস্তাদ ও গুরু । আর ওস্তাদ গুরুর অনুসরণ তো শাগরেদ করবেই । বিভিন্ন দেশের পুলিশ যদি তাদের এ ধরণের গর্হিত কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণ কর্তৃক ঠোলা , বেগুন ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হয় তাহলে এ সব পুলিশের ওস্তাদ ও গুরু মার্কিন তথা পশ্চিমা পুলিশ নি: সন্দেহে গ্রেট ঠোলা বা গ্রেট বেগুন বলে ভূষিত হবেই !

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

৫-২-২০২২

تبصرہ ارسال

You are replying to: .