হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)
عَنْ اَبِیْ حَمْزَةَ عَنْ اَبِیْ جَعْفَرٍ عَلَیْهِ السَّلامُ قَالَ قُلْتُ لَه جَعَلْتُ فِدَاكَ مَا تَقُوْلُ فِیْ مُسْلِمٍ اَتٰی مُسْلِمًا زَائِرًا اَوْطَالِبُ حَاجَةٍ وَ هُوَ فِیْ مَنْزِلِه فَاسْتَاذَنْ عَلَیْهِ فَلَمْ یَاْذَنْ لَه وَ لَمْ یَخْرُجْ اِلَیْهِ؟
قَالَ: یَا اَبَا حَمْزَةَ! اَیُّمَا مُسْلِمًا زَائِرًا اَوْ طَالِبُ حَاجَةٍ وَ هُوَ فِیْ مَنْزِلِه فَاسْتَاْذَنَ لَه وَ لَمْ یَخْرُجْ اِلَیْهِ لَمْ َیزَلْ فِیْ لَعْنَةِ اللّٰهِ حَتّٰی یَلْتَقَیَا
فَقُلْتُ جَعَلْتُ فِدَاكَ فِیْ لَعْنَةِ اللّٰهِ حَتّٰی یَلْتَقَیَا؟ قَالَ: نَعَمْ یَا اَبَا حَمْزَةَ
বিখ্যাত আলেম শেখ কুলাইনী (রহঃ) আবু হামযা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আমি ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করি, আমি আপনার উপর কুরবান! ওই মুসলমান সম্পর্কে আপনার মতামত কি, যে এক মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বা নিজের কোন প্রয়োজন পূর্ণের উদ্দেশ্যে তার নিকটে যায়। আর সেই মুসলমান নিজের বাড়িতে থাকার পরেও সাক্ষাত করতে চায় না??
তিনি (আঃ) বলেন : হে আবু হামযা! যদি এক মুসলমান অন্য মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বা নিজের কোন প্রয়োজন পূর্ণের উদ্দেশ্যে তার কাছে যায়। আর সে যদি গৃহে থাকার পরেও, না তার সাথে সাক্ষাত করে আর না সাক্ষাত লাভের অনুমতি দেয় (তবে) যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই মুসলমানের উপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ) অব্যাহত থাকবে।
আবু হামযা বলেন, "আমি বিস্ময়ের সাথে জিজ্ঞাসা করি, আমি নিজেকে আপনার উপর কুরবান করি। সাক্ষাতলাভ না হওয়া পর্যন্ত কি ওই মুসলমানের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষণ হতে থাকবে?'
তিনি (আঃ) বলেন : হ্যাঁ! হে আবু হামযা।
উসুলে কাফী খন্ড ৪ পৃষ্ঠা ৮১...
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।