হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, 'আমি করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়েছি। প্রিয় দেশবাসীর প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের দিকনির্দেশনাকে গুরুত্ব দিন। তারা যেটাকে ভালো মনে করেন, যা করতে বলেন সেটা করুন।' এ সময় তিনি টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন।
আজ (মঙ্গলবার) ইরানের বিমান বাহিনী ও অ্যারোস্পেস ডিভিশনের একদল কমান্ডারের এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি এ সময় নানা বিষয়ে কথা বলেন।
১৯৭৯ সালের এই দিনে (ফার্সি ১৯ বাহমান) ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (রহ.)’র প্রতি বিমান বাহিনীর একাংশ আনুগত্য ঘোষণা করে। প্রতি বছর এই দিবস উপলক্ষে ইরানের বিমান বাহিনী ও অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ও পাইলটেরা সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তাদের সঙ্গে বৈঠকে আজ আরও বলেছেন, বর্তমানে আমেরিকা এমন ক্ষেত্রে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে যা কখনোই তারা ভাবেনি। কখনোই তারা বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি। বর্তমানে আমেরিকার দুই প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট যেন আমেরিকার অবশিষ্ট সম্মান ও মর্যাদা ধ্বংস করতে হাতে হাত মিলিয়েছেন এবং নিজ দেশের সম্মান নিঃশেষ করে যাচ্ছেন। তারা নিজেরাই নিজেদেরকে দুর্বল করে ফেলছেন। এটা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যেখানেই সত্যপথ অবলম্বনকারীরা কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে অবতীর্ণ হয় সেখানেই বাহ্যিক শান-শওকতের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও শত্রুরা হিসাব-নিকাশে ভুল করে। সব সময় এমনটি ঘটেছে। ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি (ফার্সি ১৯ বাহমান) বিমান বাহিনীর সদস্যরা পাহলভি সরকারের ওপর যে আঘাত করেছিল তা ছিল এ ধরণেরই একটি ঘটনা।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, শত্রুদের আক্রমণ একটি সমন্বিত আক্রমণ। আর্থ-রাজনীতি, নিরাপত্তা, গণমাধ্যম ও কূটনীতি- এর সবই এর মধ্যে রয়েছে। এর মোকাবেলায় আমাদেরকেও সমন্বিত তৎপরতা চালাতে হবে। আমাদেরকে সব দিক থেকেই চেষ্টা চালাতে হবে।