۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
ইমাম হুসাইন (আ:) স্বাস্থ্য ক্যাম্প
ইমাম হুসাইন (আ:) স্বাস্থ্য ক্যাম্প

হাওজা / নেপালের মুসলিমবহুল শহর নেপালগঞ্জের ফুলটেকরা সিদ্ধার্থ বিদ্যা সদন স্কুলে মানবজাতির চিরন্তন গৌরব হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ)এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের ইসলামিক সেন্টার আফ দ্য ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন (Islamic Center of The World Federation in Nepal)এর পরিচালনায় এবং নেপালের দরিদ্র কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

নেপালগঞ্জ লর্ড বুদ্ধ এডুকেশনাল একাডেমি লিমিটেড, নেপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও টিচিং হাসপাতাল, নেপাল মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (এনএমএসআরএ) নেপালগঞ্জ শাখা, সিদ্ধার্থ বিদ্যা সদন স্কুল, নেপালগঞ্জ, বাঁকে এবং হারপাল হোম কেয়ার হলিস্টিক সেন্টার এই ক্যাম্পে বিনামূল্যে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছে।

ক্যাম্পের প্রধান পরিচালক মাওলানা ডা. জয়নুল আবেদীনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডা. অসীম কিদওয়াই (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ) ডা. কুমার পোখরেল (চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ) ডা. সাফিয়া শামীম শেখ (স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ), ডা. পীযূষ কানোডিয়া (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ), ডা. সানা কিদওয়াই (কান নাক ও গলা সার্জন), ডা. সৈয়দ সাদ্দাম (অর্থোপেডিক সার্জন), অনুষ্ঠান পরিচালনায়ও শাহাবুদ্দিন খান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ক্যাম্পের প্রধান যোগাযোগ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শাহিদা শাহ ওয়াহিদীর মতে, শিবিরটি মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল দরিদ্রদের জন্য একটি চমৎকার প্রচেষ্টা। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আদিল সারওয়ার নেপালি বলেন, “আমরা সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থকে সম্মান করি, কিন্তু আমাদের জীবনে ধর্ম বইয়ে যা আছে তা নয়, ধর্ম তা-ই যা অনুশীলনে রয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ও কারবালা বিপ্লবের মহানায়ক হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ)-এর নামে বিনামূল্যে এই স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অংসে ক্যাম্প আয়োজনের ন্যায্যতা ও সুবিধা তুলে ধরে নেপালের ইসলামিক সেন্টার আফ দ্য ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন-এর প্রতিনিধি মাওলানা ডা. জয়নুল আবেদীন বলেন, নেপালের পবিত্র ভূমিতে ইমাম হুসাইনের শিক্ষার বাস্তব উদাহরণ উপস্থাপনের সুযোগ পেয়ে তিনি সৌভাগ্যবান। ক্যাম্পে ছুটির দিনে সমাজকে সময় দেওয়ার জন্য তিনি সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নেপালে নিজের বাড়ি নেই উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, নেপালকে নিজের বাড়ি মনে করি এবং নেপালের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .