হুজ্জাতল ইসলাম মাওলানা তাকী আব্বাস রিজভী
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর টার্গেড কিলিং ও নিপীড়নের পিছনে রয়েছে অজ্ঞতা এবং জাতীয় গোঁড়ামি
পাকিস্তানে হত্যাকাণ্ড অজ্ঞ প্রচারকদের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের ফল। এটা বলা ভুল হবে না যে বর্তমান সময়ে পাকিস্তান বা পাকিস্তানের আশেপাশে ধর্মীয়ভাবে প্রতিকূল অবস্থা যেখানে অজ্ঞতা, অসহিষ্ণুতার ছড়াছড়ি, সুন্নি তাকফিরি ও শিয়া তাবার্রায়ী জাহেল মৌলভিরা যারা আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষীদের হাতে বিক্রি হচ্ছে যারা তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দ্বারা পুরো পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে...।
এমন এক সংকটময় ও অস্থির সময়ে জাতীয় পর্যায়ে এই ধর্মীয় নেতাদের সবার আগে জবাবদিহি করতে হবে।
এরাই তারা যারা তাদের সাধারণ শত্রুদের সুবিধার্থে ধর্মীয় অনুভূতিতে উস্কানি দিয়ে বা ধর্মের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কানি দিয়ে কাজ করছে, মানুষের মধ্যে বিদ্বেষের বীজ বপন করা মানবিক কাজ নয়, শয়তানী কাজ।
মানব সমাজে বসবাসের জন্য ধর্মীয় বিশ্বাসের সহাবস্থান যেমন একেবারেই আবশ্যক নয়, তেমনি ধর্মের আড়াল করে কাউকেই সমাজে সহিংসতা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় না।
নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা, অধিকতর নিরপরাধ মানুষের মধ্যে ঘৃণা ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েজ নয়।
অতএব,আল্লাহর জমিনে বসবাসকারী শিয়া ও সুন্নি উভয় পক্ষই যদি কর্তৃপক্ষের ফতোয়া মেনে চলে এবং একে অপরের পবিত্রতার বিরুদ্ধে পরনিন্দাকে হারাম ও পাপ বলে মনে করে, তাহলে এই বিদ্বেষপূর্ণ পরিবেশ একটি আনন্দদায়ক পরিবেশে পরিণত হতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িকতার উত্তাল হাওয়া বন্ধ করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে পারস্পরিক ঐক্য, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও অধ্যবসায় প্রদর্শন এবং অবিচল থাকা।
আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় ও স্বার্থ ত্যাগ করে কুরআন ও আহলে বাইত (আ.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করলে আমাদের সামনে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না কারণ কুরআন ও আহলে বাইত (আ.) আমাদেরকে ঐক্য ও পারস্পরিক সংহতির দাওয়াত দিয়েছেন ...