মুহম্মাদ হোসায়েন (বাংলাদেশ)
রেওয়ায়েতে বর্ণনা হয়েছে আল্লাহর নবী (সঃ) এই মাসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোযা রাখতেন এবং রমদ্বানের রোযার সাথে নিজের রোযাকে মিলিয়ে দিতেন।
হযরত নবী করিম (সঃ) বলেছেনঃ শা'বান মাস আমার মাস যে এই মাসে একটি রোযা রাখবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
প্রথম ইমাম হযরত আলী (আঃ) বলেছেনঃ শা'বান ও রমদ্বান দুই মাসের রোযা রাখা হল আল্লাহর নিকট তওবাহ্ করা (ক্ষমা প্রার্থনা ও পুনরায় গুণাহে প্রত্যাবর্তন না করার শপথ করা ও মার্জনা চেয়ে নেওয়ার শামিল।
ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেনঃ যখন হযরত নবী করিম (সঃ) শা'বান মাসের (হেলাল) চাঁদ দেখতেন এক ব্যক্তিকে আদেশ দিয়ে বলতেন যে মদীনাবাসীদের কানে এ আহ্ববান পৌঁছে দাও যে, আমি আল্লাহর রসূল (সঃ)-এর তরফ থেকে এসেছি শা'বান মাসের চাঁদ উদয়ের খবর তোমাদের নিকটে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং নবী (সঃ) ও বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছেনঃ জেনে রাখ! শা'বান মাস আমার মাস, আল্লাহ তার উপর রহমত বষর্ণ করুন যে এই মাসে আমাকে সাহায্য করবে অর্থাৎ রোযা রাখবে।
প্রথম ইমাম হযরত আলী (আঃ) বলেছেনঃ যখন থেকে রসূল (স.)-এর আহ্ববানকারীর এ আহ্ববান শুনেছি যে; “শা'বান মাস আমার মাস আল্লাহ তার উপর রহমত বষর্ণ করুন যে এই মাসে আমাকে সাহায্য করবে অর্থাৎ রোযা রাখবে।”
তখন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত কোন দিন এই রোযা গুলি ত্যাগ করেনি।
ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি শা'বান মাসের প্রথম দিনে রোযা রাখবে তার উপর জান্নাত ফরজ আর যে দুদিন রোযা রাখবে আল্লাহ তায়া’লা দিবারাত্রি তার প্রতি দৃষ্টি দান করেন আর এই দৃষ্টি জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখবেন; যে তিন দিন রোযা রাখবে আল্লাহ তাকে নিজের আরশের নিকট স্থান দেবেন ও জান্নাত প্রদান করবেন।”
হযরত ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণিত অন্য একটি হাদীসে আছেঃ রসূল (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই মাসে একটি রোযা রাখবে কেয়ামতের দিনে আমি তার জন্য শাফায়া'ত করব আর যে দুটি রোযা রাখবে তার পূর্বের গুণাহ ক্ষমা করা হবে আর যে তিনটি ও তার অধিক রোযা রাখবে তার জন্য আসমান থেকে ধ্বনি আসবে যে, হে আমার বান্দা! তোমার নিজের আমল প্রথম থেকে আরম্ভ কর তোমার সমস্ত গুণাহ মাফ হয়ে গিয়েছে।
অষ্টম ইমাম আলীরেযা (আঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে ব্যক্তি শা'বান মাসের শেষে তিনটি রোযা রাখবে আর রমদ্বান মাসের রোযার সাথে সংযুক্ত করবে, আল্লাহ্ তাকে পরস্পর দুই মাস রোযার রাখার সমতুল্য সওয়াব প্রদান করবেন।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ।