۱۷ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۷ شوال ۱۴۴۵ | May 6, 2024
News ID: 378953
27 مارچ 2022 - 12:23
ব্রিটেন ও মার্কিন
ব্রিটেন ও মার্কিন

হাওজা / পাশ্চাত্য বিশেষ করে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের সিংহভাগের মূলে রয়েছে ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য সকল দেশ ও অঞ্চলের লুটপাট করে আনা ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও লব্ধ অর্থ ও সম্পদ !

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত বিশেষ করে বাংলার অর্থ ও সম্পদ ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় লুটপাট করে এবং অবৈধ পন্থায় অর্জন করে এনে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প বিপ্লব ও শিল্পায়ন করা সম্ভব হয়েছিলো। ( দেখুন : রমেশচন্দ্র মজুমদার , বাংলা দেশের ইতিহাস , আধুনিক যুগ , পৃ : ২৫৪ : " অনেকের মতে কেবলমাত্র নতুন নতুন আবিষ্কার দ্বারা এই শিল্প - বিপ্লব ঘটান সম্ভব

হইত না । ইংরেজ বাংলা দেশ হইতে যে বিপুল অর্থ ইংলণ্ডে নিয়া যায় তাহাকে মূলধন করিয়াই এই বিপ্লব সম্ভবপর হইয়াছিল । (গরু মেরে জুতা দান) "

তাই পাশ্চাত্য বিশেষ করে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের সিংহভাগের মূলে রয়েছে ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য সকল দেশ ও অঞ্চলের লুটপাট করে আনা ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও লব্ধ অর্থ ও সম্পদ !

পশ্চিমা দেশগুলোর শিল্পায়ন ও শিল্পের বিকাশ , ঐশ্বর্য ও ধনসম্পদের অধিকাংশ ও সিংহ ভাগই লুণ্ঠন , অন্যায় , জোরযুলুম , চৌর্যবৃত্তি ও দস্যুপনা এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ও আহরিত যা অতীতের মতো আজও রায়েজ ও প্রচলিত আছে। আজও অতি সস্তা মূল্যে ও পানির দরে পশ্চিম এশিয়া ( মধ্যপ্রাচ্য ) ও উত্তর আফ্রিকা সহ বিশ্বের সকল দেশ ও অঞ্চলের জ্বালানি তেল - গ্যাস সহ খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ (কাঁচামাল) পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে ব্রিটেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ সমূহে চলে যাচ্ছে। বিশ্বের সকল দেশের অর্থ সম্পদও অবৈধ ভাবে পাচার হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোয় এবং ঐ সব অর্থ সেখানকার অর্থ বাজার ও শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে । এ ছাড়াও পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহেও বিশ্বের বাকি সকল দেশের বৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ সম্পদও জমা রাখা হচ্ছে । তাই সব দিক থেকে পাশ্চাত্য লাভবান হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন ইত্যাদি অন্যান্য দেশকে যে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান দেয় আসলে ও গুলো এ সব দেশেরই সম্পদ যেগুলো গত তিন শো বছরে ধরে লুটপাট করে পাশ্চাত্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর গত তিন শো বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যত সম্পদ এই পাশ্চাত্য লুটপাট করেছে তা যদি সুদে আসলে ফেরত নেওয়া হয় এবং কোটি কোটি মানুষকে যে পশ্চিমারা হত্যা করেছে তার রক্তপন আদায় করা হয় তাহলে পাশ্চাত্য বাসীদের গায়ে কোনো বস্ত্র ও পোশাকও থাকবে না । এমনকি তাদের গা গতরের চামড়া উঠিয়ে ফেললেও সেই ঋণ ও দেনা তারা ( পাশ্চাত্য বাসীরা ) পরিশোধ করতে পারবে না ।

এখন কড়ায় গণ্ডায় সেগুলো সম্পদ ফেরত নেওয়ার সময় এসেছে ।

পশ্চিমারা আসলে আমাদের কোনো সাহায্য করে না ও অনুদান দেয় না । আমাদের লুণ্ঠিত সম্পদ থেকে তারা কিছু উচ্ছিষ্ট আমাদেরকে দিয়ে বলে বেড়ায় যে তারা নাকি আমাদের সাহায্য ও দান করছে । আর আমরা নাকি তাদের দয়াদাক্ষিণ্যের ওপর বেঁচে আছি । আমাদের মধ্যে একদল পাশ্চাত্য প্রেমিক - পাশ্চাত্য পূজারী আছে যারা বলে বেড়ায় যে পাশ্চাত্যের সাহায্য , দয়াদাক্ষিণ্য ও দান ছাড়া আমরা ( অপশ্চিমা দেশগুলো) নাকি বাঁচতেই পারব না ।

আমাদেরকে পাশ্চাত্য যে ছাইপাশ দেয় ও গেলায় তা আসলেই গরু মেরে জুতা দান তুল্য ।

আমরা ( অপশ্চিমারা ) পাশ্চাত্যের কাছে মোটেও ঋণী ও দায়বদ্ধ নই বরং পাশ্চাত্যই আমাদের কাছে চির ঋণী ও দায়বদ্ধ ।

মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .