হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের আহলে বাইত (আ.) ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা তাকি আব্বাস রিজভী বলেছেন, ১০ই রমজান মা খাদিজাতুল কুবরা ওফাত দিবস।
হযরত খাদিজাতুল কুবরা তার বিয়ের আগে মাহবুবে দুআলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি শুধু ইসলামের প্রথম মহিলা নয় যিনি মহানবী (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন বরং তিনি ছিলেন ইসলামের প্রকৃত আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল সাহায্যকারী, সমর্থক ও রহমত ছিলেন।
সদাচরণ, উচ্চ চরিত্র, উদারতা, গরীব-দুঃখী ও এতিমদের প্রতি ভালোবাসা ও মমতা ছিল তাঁর বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্যের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, হযরত খাদিজাতুল-কুবরা ছিলেন তার সময়ের সবচেয়ে সম্মানিত, ধনী ও প্রভাবশালী নারীদের একজন। অতএব, আপনার মহান গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যের কারণে আপনি আরবের রানী আল্লাহর রসূলের সাহায্যকারী, ইসলামের কল্যাণকারী, ইসলামের সাহায্যকারী, এবং উম্মুল এতাম উপাধি দ্বারা স্মরণ করা হয়।
মাওলানা তাকী আব্বাস বলেন, এসব উপাধি দেখে বলা যায় মানুষের সেবা, হকের সমর্থন, স্বামীর সেবা ও কল্যাণই ছিল তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য।
কারণ একজন নারীকে পৃথিবীর একজন বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, দায়িত্বশীল, শিক্ষিত, ধনী নারী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বিয়ের পর সে প্রথমে স্ত্রী এবং তারপর তার সব সম্পর্ক, কারণ স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য করে, তার উপস্থিতি ও অনুপস্থিতিতে আনন্দ ও কল্যাণের উৎস।
তার পারিবারিক জীবন এবং বৈবাহিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, এটা বলা ন্যায়সঙ্গত যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি প্রেমময় সম্পর্ক রয়েছে এবং একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য স্বস্তি, শান্তি ও তৃপ্তির উৎস। তিনি স্বামীর সমস্ত অধিকার পূরণ করেছেন যা স্ত্রীর দায়িত্ব।
আরবের রাজকন্যা ও হওয়া সত্বেও তিনি তার স্বামীর আনুগত্য করেছিলেন এবং সর্বোত্তম ও আদর্শ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তার জ্যোতিময় চোখকে সুশোভিত করেছিলেন এবং তাকিয়ামতের নারীদেরকে এই বার্তা দিয়েছিলেন যে: শক্তিশালী পরিবার শক্তিশালী সমাজের বিবেচনায় সন্তানদের ভালো হওয়া প্রয়োজন। যাদের সন্তানরা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে সুসজ্জিত না হয় তাদের ঘর পরিবার ও সমাজ কখনোই শক্তিশালী ও স্থিতিশীল হতে পারে না।