۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী

হাওজা / গোটা ফিলিস্তিন আজ প্রতিরোধ আন্দোলনের উন্মুক্ত ক্ষেত্র পরিণত হয়েছে এবং ইহুদিবাদী শত্রুদের সঙ্গে সকল আপোষ প্রক্রিয়া ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট আনুযায়ী, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গোটা ফিলিস্তিন আজ প্রতিরোধ আন্দোলনের উন্মুক্ত ক্ষেত্র পরিণত হয়েছে এবং ইহুদিবাদী শত্রুদের সঙ্গে সকল আপোষ প্রক্রিয়া ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আজ রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস উপলক্ষে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইরানি জনগণ ব্যাপকভাবে আজকের কুদস দিবসের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানান সর্বোচ্চ নেতা। ভাষণের শুরুতে তিনি ফার্সি ভাষায় ইরানি জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরবি ভাষায় তার মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার জন্য চরম দুর্দিন অপেক্ষা করছে।তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, একমাত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের সব সমস্যা বিশেষ করে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, যতদিন আল-আকসা মসজিদ ও আল-কুদস দখলদার ইসরাইলের জবরদখলে রয়েছে ততদিন মুসলমানদের জন্য প্রতিদিনই বিশ্ব কুদস দিবস।তিনি ফিলিস্তিনি যুবকদের আত্মোৎসর্গকামী অভিযানগুলোর প্রশংসা করে বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিনি জনগণের ‘অপ্রতিরোধ্য মনোভাব’ ইহুদিবাদী ইসরাইলের ‘অপ্রতিরোধ্য সেনাবাহিনী’র স্থান দখল করেছে এবং ইসরাইলি বাহিনীকে আক্রমণাত্মক ভূমিকা থেকে রক্ষণাত্মক ভূমিকায় চলে যেতে বাধ্য করেছে।

সর্বোচ্চ নেতা তার ভাষণে বলেন, আজ জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের প্রতিরোধ সংগ্রামে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাগলপ্রায় অবস্থা। অথচ এখন থেকে ২০ বছর আগে নাহরিয়া এলাকায় মাত্র কয়েকজন ইহুদিবাদীর নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলি সেনারা জেনিন শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল। তাদের আশা ছিল জেনিন থেকে আর কখনো প্রতিরোধ আন্দোলন জেগে উঠবে না।কিন্তু জেনিন আবার জেগে উঠেছে এবং মাতৃভূমি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আর ঘুম পাড়িয়ে রাখা যাবে না।

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপে মানবাধিকারের মিথ্যা ধ্বজাধারীরা ইউক্রেন প্রসঙ্গে গলাবাজি করে গোটা দুনিয়াকে পাগল করে ফেলেছে; অথচ এই মিথ্যাবাদীরা ফিলিস্তিনে ইসরাইলিদের সকল বর্বরতা ও পাশবিকতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। তারা এখানে নির্যাতিত ফিলিস্তিনকে সহযোগিতা না করে ইসরাইল নামক পাগলা কুকুরকে সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইরানসহ বিশ্বব্যাপী আজ (শুক্রবার) উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব কুদস দিবস। ইহুদিবাদীদের কবল থেকে মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলাসমৃদ্ধ নগরী জেরুজালেম আল-কুদসকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) ১৯৭৯ সালে প্রথম এ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেন।

তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তখন থেকে প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে পালিত হয়ে এসেছে। এ দিবসে বিশ্বের মুসলমানরা ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন এবং আমেরিকা ও ইসরাইলের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে আল-কুদসকে মুক্ত করার শপথ নেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .