۱۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۳ شوال ۱۴۴۵ | May 2, 2024
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু পরিসংখ্যান
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু পরিসংখ্যান

হাওজা / মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথা মতে সঠিক সময় দেশের ৭৫% মানুষকে টিকা দেয়ার কারণেই নাকি বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কমেছে।

মুহাম্মদ আবদুর রহমান

মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথা মতে সঠিক সময় দেশের ৭৫% মানুষকে টিকা দেয়ার কারণেই নাকি বাংলাদেশে মৃত্যুর হার এত কম হওয়ার কারণ!!! অথচ ব্রিটেনে ৯২% জনগণকে ১ডোয , ৮৬% কে ২ ডোয এবং ৬৮% কে ৩ ডোয টিকা দেয়ার পর এই গত এপ্রিল মাসেই ( ২০২২ ) করোনায় বহু মানুষের কেন প্রাণহানি হয়েছে যা এ মাসেই ( এপ্রিল ২০২২ ) বাংলাদেশে করোনায় প্রাণহানি থেকে অনেক অনেক গুণ বেশি ?! এটা কেন ও কিভাবে হল ? এ ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয় তাত্ত্বিক , তথ্যবহুল , বিশ্লেষণ ধর্মী , গ্রহণযোগ্য , বস্তুনিষ্ঠ ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেবেন কি ? !

এই গত ৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত https://www.worldometers.info/coronavirus/country/uk এ প্রকাশিত ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু পরিসংখ্যান লক্ষ্য করুন (করোনায় আক্রান্ত) :

৭-৪-২০২২ : আক্রান্ত ৪৪৬৬২ জন এবং মৃত্যু : ৩১৭ জন ;

৮-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ৩৮,৬১০জন এবং মৃত্যু : ৩৪৭ জন ;

৯-৪-২০২২ : -----

১০-৪-২০২২ : --------

১১-৪- ২০২২ : আক্রান্ত : ৩০,৮৮১ জন , মৃত্যু : ১১৬ জন ;

১২-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ৩৭২৯৯ জন , মৃত্যু : ২৮৮ জন ;

১৩ - ৪ - ২০২২ : আক্রান্ত : ৩৩৬৭২ জন , মৃত্যু : ৬৫১ জন ;

১৪-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ৩১,৬১০ জন , মৃত্যু : ৩৫০ জন ;

১৫-৪-২০২২ : -----

১৬-৪-২০২২ : ------

১৭-৪-২০২২ : ------

১৮-৪-২০২২ : -------

১৯-৪-২০২২ : --------

২০-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ২৫৭৩৫ জন , মৃত্যু : ৫০৪ জন ;

২১-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ২১৩৮৩ জন , মৃত্যু : ৬৪৬ জন ;

২২-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ১৮৩৮১ জন , মৃত্যু : ৩২০ জন ;

২৩-৪-২০২২ : ------

২৪-৪-২০২২ : ------

২৫-৪-২০২২ : -------

২৬-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ১৬৯৫৯ জন , মৃত্যু : ৪৫১ জন ;

২৭-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ১৪১৫০ জন , মৃত্যু : ৩০৪ জন ;

২৮-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ১২১৫৪ জন , মৃত্যু : ২৪৮ জন ;

২৯-৪-২০২২ : আক্রান্ত : ৭৩৩২ জন এবং মৃত্যু : ২১৬ জন

৭-৪-২০২২ থেকে ২৯-৪-২০২২ পর্যন্ত মোট ২৩ দিনের মধ্যে মাত্র ১৩ দিনের ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান worldometer এ নথিবদ্ধ ( ثبت و ضبط ) হয়েছে । কিন্তু এপ্রিল মাসের ৯ , ১০ , ১৫ , ১৬ , ১৭, ১৮ , ১৯ , ২৩ , ২৪ , ২৫ তারিখ অর্থাৎ এ ১০ দিনের মৃত্যু ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান সেখানে ( ওয়ার্ল্ডোমিটার ) নথিবদ্ধ ( লিপিবদ্ধ ) হয় নি । যাহোক প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ঐ ১৩ দিনে মৃত্যু ও আক্রান্তের সর্বনিম্ন সংখ্যা ছিল : যথাক্রমে ১১৬ জন ( ১১-৪-২০২২ ) এবং ৭৩৩২ জন ( ২৯-৪-২০২২ )

আর ঐ একই সময়কালে ( ১৩ দিন ) মৃত্যু ও আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে : ৬৫১ জন ( ১৩-৪-২০২২ ) এবং ৪৪৬৬২ জন (৭-৪-২০২২ ) ; এ ছাড়াও ১৩ -৪-২০২২ তারিখের পর মৃত্যুবরণকারীদের সংখ্যা হ্রাস পায় তবে আবার ২০- ৪- ২০২২ এ মৃত্যু বরণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় : ৫০৪ জন এবং ২১-৪-২০২২ আরো বেড়ে তা (মৃত্যু সংখ্যা) হয় ৬৪৬ জন ! এরপর তা আবার কমতে কমতে ২৯-৪-২০২২ তারিখে হয়েছে ২১৬ জন ; আর এ পরিসংখ্যান ও পূর্ববর্তী মাস গুলোর

করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট হয় যে ব্রিটেন ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশে উদাহরণ স্বরূপ : আজ যদি মারা যায় ৩০-৪০ আগামীকাল হয়তো মারা যেতে পারে ৩০০ জন বা ৪০০ জন বা ৬০০ জন বা এরও বেশী , যেমন : ১২ - ৪- ২০২২ তারিখে মারা যায় ২৮৮ জন অথচ একদিন পরে অর্থাৎ ১৩-৪-২০২২ তারিখে মারা গেছে ৬৫১ জন এবং পরের দিন ( ১৪-৪-২০২২ ) ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে । এরপর ফের ২০-৪-২০২২ তারিখে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয় ৫০৪ জন এবং ২১-৪-২০২২ তারিখে আরো বেড়ে হয় ৬৪৬ জন । কিন্তু ২২-৪-২০২২ তারিখে মৃতের সংখ্যা এক ধাপে কমে হয় ৩২০ জন আবার ২৬-৪-২০২২ তারিখে দেখা যাচ্ছে যে ঐ দিন মৃত্যু বরণ করে ৪৫১ জন ; এরপর ২৯-৪-২০২২ তারিখ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কমতে থাকে এবং তা ২৯-৪- ২০২২ তারিখে হয়েছে ২১৬ জন । এরপর বলা যাচ্ছে না যে তা বাড়বে কি বাড়বে না ।

অর্থাৎ মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা হ্যাপাযার্ডলি উঠানামা করছে । টিকা দেয়ার আগে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ত এবং পিকে পৌঁছে যাওয়ার পর তা আবার ধীরে ধীরে হ্রাস পেত ও নেমে যেত । তাই তখন কবে পিকে যাবে এবং কখন থেকে কমতে থাকবে তা মোটামুটি প্রেডিক্ট করা যেত । কিন্তু টিকাদানের পর থেকে এ ধরণের প্রেডিকশন এখন আর সম্ভব হচ্ছে না ( ব্রিটেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর ক্ষেত্র ) । গত এপ্রিল ২০২২ ও এর পূর্ববর্তী মাস গুলোর পরিসংখ্যানসমূহ এর প্রমাণ ।

৭-৪-২০২২ থেকে ২৯-৪-২০২২ পর্যন্ত এই ২৩ দিনের মধ্য থেকে ১৩ দিনের প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ব্রিটেনে ৪৭৬২ জন করোনায় মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৬৭৫৪৬ জন । আমরা এই সময়কালের মধ্যে ১০ দিনের কোন পরিসংখ্যান পাই নি । তাই বলা যায় যে ৭-৪-২০২২ থেকে ২৯-৪-২০২২ পর্যন্ত ২৩ দিনে ব্রিটেনে করোনায় প্রকৃত মৃত্যু ও আক্রান্ত সংখ্যা আরো বেশি হবে !!

আর ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৭৫% জনগণকে ( ১৬৫ মিলিয়ন ) টিকা দিয়েও ২৩-৪-২০২২ থেকে ২৯-৪-২০২২ পর্যন্ত এ ৭ দিনে করোনায় মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই ( অর্থাৎ মৃত্যু সংখ্যা অফিসিয়ালি শূন্য ছিল ) !! এবং আক্রান্ত সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬৮ জন । অথচ ঐ একই সময় ( ২৩-৪-২০২২ থেকে ২৯-৪-২০২২ ) অর্থাৎ এই ৭ দিনে ৮৬% এর অধিক জনগণকে ( মাত্র ৬৬ মিলিয়ন ) টিকা দিয়েও ব্রিটেনে

মারা গেছে করোনায় ১২১৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৫০৫৯৫ জন !!!! এটা কি কোনো

গাঁজাখুরি কাহিনী নাকি আসল বাস্তবতা ( বাস্তব চিত্র ) ?!! মন্ত্রীমহোদয় কি এর ব্যাখ্যা দেবেন ? অন্যান্য ফ্যাক্টর , শর্ত ও অবস্থা বিবেচনায় না এনে শুধু ভ্যাক্সিনেশনকে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাসের একমাত্র কারণ বলে উল্লেখ করলে তখন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে ১৬৫ মিলিয়নের অধিক সংখ্যক জনগণের ৭৫% কে যদি টিকা দিয়ে মৃত্যু সংখ্যা শূন্যের কাছে নামিয়ে আনা ও আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় অনুরূপ হ্রাস করা সম্ভব হয় তাহলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পরাশক্তি ও পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির অধিকারী জ্ঞান , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর অন্যতম ব্রিটেন যে কিনা বিশেষ করে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেরও পথিকৃৎ সেই দেশ মাত্র ৬৬ মিলিয়ন জনগণের ৮৬% এরও অধিককে টিকা দিয়েও যে কেন বাংলাদেশের চাইতেও তার এহেন দৈন্য দশা হয়েছে তার সঠিক জবাব কে দেবে ?

আসলে অন্য সকল শর্ত , ফ্যাক্টর ও অবস্থা উপেক্ষা করে সব ক্রেডিট ভ্যাক্সিনের সাথে সংশ্লিষ্ট করা বোধ হয় বাস্তবতা থেকে বহু দূরেই হবে ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .