۱۶ آذر ۱۴۰۳ |۴ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 6, 2024
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

হাওজা / গত ২০১২ সালে মার্কিন এক স্কুলে ( সান্ডি হূক প্রাথমিক বিদ্যালয় ) ঢুকে ২০ বছরের এক যুবক নির্বিচারে গুলি চালালে ২৬ জন নিহত হয়েছিল যাদের ২০ জনই ছিল ৬ থেকে ৭ বছরের শিশু এবং ৬ জন ঐ স্কুলের কর্মচারী।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বহুবার ঘটেছে । এখনও ঘটল এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে ।

গত ২০১২ সালে মার্কিন এক স্কুলে ( সান্ডি হূক প্রাথমিক বিদ্যালয় ) ঢুকে ২০ বছরের এক যুবক নির্বিচারে গুলি চালালে ২৬ জন নিহত হয়েছিল যাদের ২০ জনই ছিল ৬ থেকে ৭ বছরের শিশু এবং ৬ জন ঐ স্কুলের কর্মচারী। সেই সময় থেকে ২০২২ সালের এই মে মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত মার্কিন স্কুলে ৯০০ টি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ! গত বুধবার ২৫-৫-২০২২ টেক্সাসের এক স্কুলে ১৮ বছর বয়স্ক এক যুবক বাসায় তার নিজের দাদীকে গুলি করে হত্যা করার পর টেক্সাসের এক স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে ২২ জন নিহত হয় যাদের মধ্যে ১৯ জন স্কুল ছাত্রছাত্রীও রয়েছে । প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট মৃত্যু সংখ্যা ৪৪০০০ ।

যেমন : CDC এর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট আঘাত সমূহে ( আত্মহত্যা ও হত্যাকাণ্ড ) ৪৫২২২ জন নিহত হয় ।

আর এর কারণ হচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের এক বিরাট অংশ স্যাডিস্ট্ ( অর্থাৎ অন্যকে আঘাত করে পীড়ন ও যন্ত্রনা দিয়ে এবং নির্মম আচরণ করে পৈশাচিক আনন্দ লাভ করে যে ব্যক্তি সেই হচ্ছে স্যাডিস্ট ) এবং সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র খোলা বাজারে অবাধে কেনা বেচাও হয়। আর অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু সিনটরকে উৎকোচ , ঘুষ ও নির্বাচন খরচ দিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করে রেখেছে যার ফলে তারা ( ঐ সব পোষ্য সিনেটর ) আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যে কোনো আইন পাশই হতে দেয় না।

কয়েক শতাব্দী ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিয়ন মিলিয়ন আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানকে মেরে কেটে নিধন ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এই মার্কিন শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা যারা হচ্ছে বহিরাগত দখলদার ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। এদের অস্থি মজ্জা ও রক্তে বংশ পরম্পরায় মিশে গেছে মানব হত্যার মনোবৃত্তি ও বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্য ( জিন )। এখন যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেড ইন্ডিয়ানদের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে সেহেতু এখন নিজেরাই নিজেদের ওপর চড়াও হয়ে হত্যা করছে । মার্কিন মুলুকে বর্তমানে স্কুল বিদ্যালয় গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যা পীঠ না হয়ে মার্কিন শিশু ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কসাই খানা ( Slaughtering house ) ও মৃত্যুপুরীতেই পরিণত হয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের মতে এ দেশের শিশুরা স্কুলে যেতেই ভয় পায় । কারণ , তারা মনে করে যে এই বুঝি কেউ ক্লাস রুম বা স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করবে !!! মার্কিন মুলুকে স্কুল গামী শিশুরা এ ধরনের ভয়ঙ্কর নিরাপত্তাহীনতার শিকার । আর এটাই হলো পাশ্চাত্য এবং তাদের বস্তুবাদী সভ্যতা ( আসলে এটাকে চরম অসভ্যতা বললেও কোনো অত্যুক্তি হবে না ) । আসলে পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবাধ অবৈধ বিকৃত যৌনাচার ও যিনা - ব্যভিচার , বস্তুবাদ , ভোগ বিলাস, লোভ লালসা , স্বার্থপরতা এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ করা ছাড়া আর কিছু কি?! অবাধ অবৈধ অসংযত বিকৃত অরুচিকর যৌনাচার ও যিনা - ব্যভিচারের জন্য পাশ্চাত্যের অধিকাংশ জনগণই হারামজাদা ( জারজ বাস্টার্ড ) যাদের দ্বারাই এ ধরণের গর্হিত কাজ ( স্কুল গামী শিশুদের হত্যা ) সম্ভব ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

২৫-৫-২০২২

تبصرہ ارسال

You are replying to: .