মুস্তাক আহমদ
বিজেপির মুখপাত্র নূপূর শর্মার নবী-বিদ্বেষীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে অবশ্যই ইসলামকে ও নবী সঃকে অগ্রাধিকারে রাখেন ৷
নবী-ভক্তি সবারই আছে, তাই আমরা নূপূরের মন্তব্য সহ্য করতে পারছি না, ....ঠিক আছে না সহ্য করারই কথা ৷ এটা স্বাভাবিক বিষয় ৷ প্রতিবাদ করুন ৷ কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা, প্রতিবাদের পদক্ষেপ যেন দেশবাসীর কষ্ট ও দুঃখের কারন না হয় ৷
নিজেদের খেয়াল খুশিকে কখনোই আগ্রাধিকার দেওয়া উচিত নয় ৷ আর যদি হারামকে প্রমোট করতে হয়। তাহলে মনে হয়-না প্রতিবাদটি হালাল।
ঘন্টার পর ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে নিত্যযাত্রীদের হয়রানিতে ফেলা নবী সঃএর নীতির মধ্যে ছিলো না বা এটা ইসলামের আদর্শ মোটেও নয়।
প্রতিবাদী আন্দলোনও শিক্ষা সচেতন ও শান্তিপূর্ণ হওয়া জরুরী।
প্রতিবাদী ভাষা, প্রতিবাদী বক্তব্য, বা প্রতিবাদী স্লোগানেও যথেষ্ট মার্জিত ও সংযত হওয়া দরকার বলে মনে করি। আর মোটেও মিথ্যা স্লোগান নয়, — এবং তা পরিহার করাই আশু প্রয়োজন।
আর পরিশেষে বলতে চাই ...এখানে মূল বিষয় হলো "নবী-বিদ্বেষ" বা রিসালতের শত্রুতা ৷ এখানে মোটেও ব্যক্তি নূপুর, ব্যক্তি তসলিমা, ব্যক্তি সলমান রুসদী বলে কোন বিষয় নয় ৷
নবীপাক বা নবীর রিসালতের বিরোধীতা ১৪০০ বছর ধরে চলে আসছে নানান মানুষের মাধ্যমে ৷
এখানে আমাদের দেখার বিয়ষ আমরা কতটা নবীর রিসালতের অনুগামী ?? আমরা কী সত্যিই নবী সঃকে পূর্ণাঙ্গ মেনে জীবন-যাপন করি ?? আমরা কি আমাদের আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলি নবী সঃএর রিসালতের আলোকে পরিচালিত করি ?? আমাদের রাজনীতি, আমাদের অর্থনীতি, আমাদের সমাজনীতি, আমাদের শিক্ষানীতি, আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞান, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কী নবী সঃএর নীতি মতে পুর্ণাঙ্গ অনুসরণ করি ?? — এটা দেখার বিষয় এসেছে ৷
বরং দুঃখের বিষয় আমরা আমাদের সমাজনীতি পরিচালিত করি গান্ধিমতে, আমাদের অর্থনীতি পরিচালিত করি কার্লমাক্সের নীতি মতে, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা তো পূরোটাই চলে ইহুদীদের WHO এর মতে ৷
আমাদের ধর্মনীতিও তো নবীর মতে পূর্ণাঙ্গ নয় ৷ কেউ নামাজ পড়েন হাত বেঁধে তো কেউ হাত ছেড়ে ৷
এক নবী সঃ, এক আল্লাহ, এক কাবা, এক কোরআন ...তবুও এত মতামত কেন ??
আমাদের নবী সঃ কি বহু মত দিয়েগেছেন ?