মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান
সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার ৭১ জন সঙ্গি কারবালার ময়দানে যে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেছেন, তা কিয়ামত অবধি মানুষের অন্তরকে ব্যধিত করবে।
মহানবীর (সা.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) ইয়াজিদের কবল থেকে তার নানার কষ্টার্জিত ইসলামকে বাচাতে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। শুধু তিনি নিজে নন; বরং তার সঙ্গি-সাথি এবং পরিবারবর্গও আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষার্থে আত্মত্যাগের নজিরবিহিন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর এজন্য হয়তো ইসলামে ইমাম হুসাইনের (আ.) স্বরণে আযাদারি পালনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
রাসূল (সা.) ও মাসুস ইমামগণের (আ.) হাদীসে ইমাম হুসাইনের (আ.) শোকে আযাদারি ও শোকানুষ্ঠান পালনের বিশেষ সওয়াবের কথা বলা হয়েছে। বিশেষত ইমাম হুসাইনের (আ.) স্বরণে ক্রন্দন ও অশ্রু বিসর্জন সম্পর্কে ইমাম জয়নুল আবেদিন (আ.) থেকে নিম্নের হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে-
যদি কোন মু’মিন ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের কথা স্বরণ করে ক্রন্দন করে, তাহলে এ ক্রন্দনের মধ্য দিয়ে তার চোখ থেকে যে অস্রু ঝড়বে, সেগুলোর প্রতিটি ফোটার জন্য আল্লাহ তায়ালা বেহেস্তে তার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবেন এবং সেখানে সে চিরন্তন অবস্থান করবে। (দ্র: সওয়াবুল আমাল, ১ম খন্ড, পৃ. ১০৮ এবং মুনতাখাবুল মিযানুল হিকমাহ, পৃ. ২৮)
দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।