হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামাবাদ / মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীন এবং পিটিআই কেন্দ্রীয় নেতা ইমরান খান এবং আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস জাফরী দুই দলের মধ্যে একটি রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। প্রতিনিধি পর্যায়ের চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে বিদেশী শাসন ও দাসত্ব সহ্য করা হবে না।
পাকিস্তানের মাটিতে বিদেশী ঘাঁটি স্থাপনের সম্ভাব্য যেকোনো সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হবে। স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির বিবৃতি থেকে কোনো বিচ্যুতি হবে না। সকল ক্ষেত্রে প্রিয় মাতৃভূমির অভ্যন্তরীণ ঐক্য, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে বলে চুক্তিতে সম্মত হয়।
ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা, তেহরিক-ই-পাকিস্তানের আদর্শিক ভিত্তি রক্ষা এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য একটি যৌথ প্রচেষ্টা করা হবে।
পাকিস্তান বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক চায়। মুসলিম দেশগুলোর সাথে ঐক্যের বিশেষ মর্যাদা থাকবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ রোধ করা হবে পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতি।
বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কের একটি বিশেষ স্থান থাকবে। গিলগিত-বালতিস্তানকে একটি পূর্ণ সাংবিধানিক প্রদেশ করা হবে।
নিপীড়ন দূরীকরণ ও ন্যায়বিচারের ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অনগ্রসর ও শোষিত শ্রেণীর পুনর্বাসনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রচেষ্টা চালানো হবে।
ইসরাইল সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ-ই-আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর অবস্থানকে নির্দেশক নীতি হিসেবে বিবেচনা করে কঠোরভাবে মেনে চলা হবে।
ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর সংক্রান্ত নৈতিক ও আইনগত প্রয়োজনীয়তাকে সব ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কোন বিদেশী শক্তিকে পাকিস্তানের ভূখণ্ড সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের মধ্যেই নেওয়া হবে। স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপস গ্রহণযোগ্য হবে না।
উভয় পক্ষের নেতারা এই চুক্তিকে স্বাগত ও মর্যাদাপূর্ণ পাকিস্তানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলে অভিহিত করেছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীন পাকিস্তান আল্লামা আহমদ ইকবাল রিজভী কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির আব্বাস শিরাজী, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাজনৈতিক সৈয়দ আসাদ আব্বাস নাকভী এ সময় কর্মচারী শাখার কেন্দ্রীয় সম্পাদক মালিক আকবর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।