হাসান রেজা
ইমাম আলী রাজা (আ.) বলেন:
إنّ لِکلِّ إمامٍ عَهداً فی عُنُقِ أولِیائهِ وشیعَتِهِ، وإنَّ مِن تَمامِ الوَفاءِ بالعَهدِ وحُسنِ الأداءِ زیارَةَ قُبورِهِم، فَمَن زارَهُم رَغبَةً فی زیارَتِهِم وتَصدیقاً بما رَغِبوا فیهِ کانَ أئمَّتُهُم شُفَعاءَهُم یومَ القِیامَةِ.
প্রত্যেক ইমামের তার শিয়া এবং প্রিয়জনদের সাথে একটি চুক্তি রয়েছে এবং তাদের কবর জিয়ারত করার মাধ্যমে সেই চুক্তি পূর্ণ হয়, অতএব, যে কেউ তাদের ইচ্ছামত এবং নিশ্চিতভাবে তাদের জিয়ারত করবে, ইমামগণ কিয়ামতের দিন তাদের জন্য শাফায়াত করবেন।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
ইমাম মাসুম (আ.)-এর জীবন ও শাহাদাতের পর প্রত্যেক মুমিনের উপর একটি অঙ্গীকার রয়েছে তার জীবনের অঙ্গীকার হল তাঁর সাথে সাক্ষাৎ এবং জিয়ারত করা।
ইমামের শাহাদাতের পর ঈমানদারদের উপর অঙ্গীকার হল তাদের কবর ও মাজার জিয়ারত করা মারেফত অনুযায়ী, যে সম্পর্কে রেওয়ায়েতে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
জিয়ারত এবং সাক্ষাৎ ও স্নেহ প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হল যা প্রেমিককে তার প্রিয়জনকে দেখতে আকর্ষণ করে।
মুমিনের প্রকৃত প্রিয়জন হলেন মুহাম্মাদ (স.) এবং আহলে বাইত (আ.) যাদের জিয়ারতকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে অনেক পুরস্কার এবং অনেক সওয়াব দান করেন।
(উসুলে কাফী, খন্ড ৪, পৃ. ৫৬৭)