۲۳ آبان ۱۴۰۳ |۱۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 13, 2024
জামায়াতে ইসলামী
জামায়ােত ইসলামী

হাওজা / প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের চূড়ান্ত রূপরেখায় ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এ দেশের সব ধর্মের মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করে এবং তারা ধর্মীয় শিক্ষাকে মনে-প্রাণে ধারণ করে। সব ধর্মেই শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শৈশবকালই ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের উপযুক্ত সময়। শিশু বয়সেই তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণের এটা বুঝতে বাকী নেই যে, সরকার ধর্মবিমুখ ও নৈতিকতাহীন নাস্তিক্যবাদী নাগরিক তৈরির জন্যই প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ধর্ম শিক্ষা বাদ দিয়ে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে চায়।

সরকার ধর্মহীন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠান চালু করে মানুষকে অধার্মিক, অনৈতিক ও পাপাচারে নিমজ্জিত নাগরিক তৈরি করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে ধর্মহীন শিক্ষা কোনো শিক্ষাই নয়। এটা হল কুশিক্ষা, যা মানুষকে ধীরে ধীরে নৈতিকতা বিবর্জিত অন্যায়ের দিকে নিয়ে যাবে। ফলে দেশ সুদ-ঘুষ, মদ-জুয়া, জিনা-ব্যাভিচার, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্র্নীতি ও পাপাচারে ভরে যাবে। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে। সরকারের এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মেনে নিবে না। এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আমরা সরকারের এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে ‘ইসলামী শিক্ষা’ বাদ দেয়া জাতীয় শিক্ষানীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি এটি নির্দিষ্ট ধর্মের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণও বটে। একদিকে সরকার ইসলামী শিক্ষা বাদ দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে, অপরদিকে নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে যৌন শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এটা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাসের পরিপন্থী। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ কথাটি লেখা আছে। এসব বিবেচনায় পাঠ্য বই থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়া একবারেই অযৌক্তিক, বৈপরীত্য ও হাস্যকর ব্যাপার। এটি সংবিধান অবমাননারও শামিল।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .