হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
ঈদ গাদীর উপলক্ষে খুবই অদ্ভুত রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। সবাই যদি নিম্নলিখিত রেওয়ায়েত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়, তাহলে এই ঈদ শুধু নিজের জন্য নয়, বরং অন্যদের জন্যও উদযাপন করার জন্য পূর্ণ শক্তির সাথে প্রচেষ্টা করবে।
যেমন রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে : আমীরুল মোমেনীন ইমাম আলী (আঃ) বলেছেন :
এই দিনে (ঈদে গাদীর) এক দিরহাম ব্যয় করা অন্যান্য দিনে একলক্ষ দিরহাম বা তার চেয়েও বেশি ব্যয় করার সমতুল্য।
মিসবাহুল মুজতাহিদ খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৭৫৭-৭৫৮
অর্থাৎ সাধারণ দিনগুলোতে আপনি যা কিছু আল্লাহর পথে ব্যয় করবেন, তার পরিবর্তে আপনি ১০টি নেক কাজের সওয়াব পাবেন, কিন্তু ঈদে গাদীরের দিন এই নেক আমলের সওয়াব এক লাখের সমান পাবেন।
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : গাদীর দিবসের আমলের মধ্যে একটি আমল হল, সবচেয়ে দামী (সম্ভাব্য) পোশাক পরিধান করা।
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : গাদীর দিবসে একজন মোমিনকে আহার করানো হলো নবীগণ, সিদ্দীকগণ (ইমামগণ সহ) শহীদগণ, এবং নেককার লোকদের খাওয়ানোর সমান।
বিহারুল আনওয়ার খন্ড ৬ পৃষ্ঠা ৩০২..
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে :
গাদীরে খুমের দিনটি হলো মহান আল্লাহ তাআলা'র সবচেয়ে বড় ঈদ। আল্লাহ তায়ালা এই দিনে ঈদ উদযাপন না করা পর্যন্ত এবং এই দিনের মাহাত্ম্য স্বীকার না করা পর্যন্ত
কোন রসূল'কে প্রেরণ করেননি। আর এই দিনের নাম আসমানে প্রতিশ্রুতির দিন হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
ওয়াসায়েলুশ শিয়া খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ২২৪..
আমীরুল মোমেনীন হযরত আলী (আঃ) বলেছেন : যদি কোনো ব্যক্তি সারা জীবন দিনের বেলা রোযা রাখে এবং রাতের এবাদত করে, তবুও তা এই দিনে (গাদীরের দিন) রোযা রাখার সওয়াবের (যদি সে আন্তরিকতার সাথে সম্পাদন করে) সমান নয়।
মিসবাহুল মুজতাহিদ খন্ড ২ পৃষ্ঠা ২৫৭-২৫৮
উল্লেখিত রেওয়ায়েত পড়ার পরেও যদি কেউ অলসতা করে তবে তাকে কী বলা উচিত?
সঠিক পদ্ধতিতে ঈদে গাদীর উদযাপন করুন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।