হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে কোন সন্দেহ নেই যে গাদীর আধ্যাত্মিক আশীর্বাদের উপহার এবং বেলায়েত ও ইমামতি প্রেমীদের জন্য খুশি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। আর আলীর স্মরণে আলীর (আ:) প্রেমীকদের জীবনে নতুন চেতনা ফুঁটে ওঠে। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে এই সত্যটি সামনে রাখাও জরুরী যে, মুহাম্মাদ (সা:) এবং তাঁর পরিবার বিশেষ করে ইশক আলী (আ:) কোন নির্দিষ্ট মাসের সাথে সম্পর্কিত নয়, কোন বিশেষ স্থানে বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে নয়, এটাই সেই চিরন্তন অবস্থা যা ঈমানের মুহূর্ত থেকে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মুমিনের জীবনের মূলধন এবং ঈমানের শর্তও বটে।
মনে রাখতে হবে যদি আহলে বাইত (আ:)-এর চরিত্র অনুসরণ করে, জাতি পুনর্গঠনের চেতনা এবং শিক্ষা অর্জনই আমাদের জীবনের লক্ষ্য হয়, তাহলে বুঝবেন আমরা বেঁচে আছি এবং বেলায়েতে আলী ইবনে আবি তালিবের সঙ্গে যুক্ত আছি আর আপনি যদি শুধু বাহ্যিক মিটিং-ব্যানার-পোস্টারের উপর নির্ভরশীল হন, তাহলে বুঝুন আপনি একটি জীবন্ত লাশ ছাড়া আর কিছুই নন!
জাতি ও সমাজের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমাদের এবং আমাদের সম্মানিত আলেমদের উচিত বিশ্বজনীন জীবনের নীতিমালা এবং মহানবী (সা.) এর ব্যক্তিত্বের প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা, এবং চিন্তা করা ও তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা, তাহলেই আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।
হযরত মুহম্মাদ ও তাঁর আহলে বাইত (আ:) সমগ্র মানবজাতির জন্য জ্ঞানের প্রতীক এবং তারা ছিলেন সততার দর্পণ, নৈতিকতার মূর্ত প্রতীক, ন্যায়ের মানদণ্ড, জাতির জন্য হেদায়েতের উৎস এবং সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য গর্বের উৎস, ছিল আছে এবং থাকবে।
কিন্তু একজন প্রেমিক, কবি, এবং ধর্মবিশারদ হিসেবে আমরা কি এসব গুণের ঘ্রাণ ও রঙ খুঁজে পাই?
বিবেচনা করুন! আমরা কি সভা-সমাবেশের বাহ্যিক শিষ্টাচারের পাশাপাশি এর অভ্যন্তরীণ বার্তা বাস্তবায়নের সংগ্রামে সক্রিয়...?!