۱۵ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۵ شوال ۱۴۴۵ | May 4, 2024
গ্রন্থ শিরোনাম: ভালোবাসার প্রতীক
গ্রন্থ শিরোনাম: ভালোবাসার প্রতীক

হাওজা / হযরত মুহম্মাদ (স:) থেকে বর্ণিত: নিশ্চয় ইমাম হোসায়েন (আ:)এর শাহাদতের কারণে মমিনগণের অন্তরে উষ্ণতা তৈরি হয় যা কখনো ঠান্ডা হয় না।

মজিদুল ইসলাম শাহ

ইমাম হোসায়েন (আ:)এর শাহাদতের চল্লিশ দিন অর্থাৎ সফর মাসের ২০ তারিখে ইমামের বিশেষ যিয়ারতকে ‘যিয়ারতে আরবাইন’ হিসেবে স্বরণ করা হয়।

হযরত ইমাম হাসান আসকারী (আ:)এর নসিহত অনুযায়ী আহলে বাইত (আ:) এর অনুসারী মুসলমান, বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, প্রথম থেকে উক্ত দিনে বিশেষ ভাবে শোক পালন বা যিয়ারত করে থাকেন।

ইমাম হোসায়েন (আ:)এর অনুসারীগণ সবাই চল্লিশার দিন নিজেকে কারবালায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে, আর ইমামের যিয়ারত করে নিজের তরফ থেকে সমবেদনা জানায়।

বিগত কয়েক বছর ধরে চল্লিশার দিন কারবালা বিশ্বের সমস্ত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং বিশেষ ভাবে সেই কারবালা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কারণ এই দিন শুধু ইরাকের শিয়া ও সুন্নি নয় বরং বিশ্বের সমস্ত জায়গা থেকে মুসলমান এখানে আসেন এবং যিয়ারতের জন্য নাজাফ থেকে কারবালা পায়ে হেঁটে সফর করেন। বিনা কোনো অতিকথনে এই সফরকে ‘সফর ইশক’ বলা যেতে পারে। উক্ত দিনে নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত ৮২ কিলো মিটার এই বিশাল পথে হাজার হাজার (খ্যাইমা) তাঁবু লাগানো হয়। পায়ে হেঁটে আসা জিয়ারত কারীর খিদমতের জন্য।

এক সমিক্ষা অনুযায়ী চল্লিশার দিন কারবালার সফরকারী ব্যক্তিদের সমীক্ষা ২০ কোটিরও অধিক হয়। এবং প্রতি ব্ছর তার সংখ্যা বাড়তে আছে।

লক্ষ্যনিয় বিষয় হল, চল্লিশার যিয়ারত শুধুমাত্র ইমাম হোসায়েন (আ:)এর সম্পর্কে বর্ণনা হয়েছে। কারবালার ঘটনার পূর্বে চল্লিশার যিয়ারত আর আমল সম্পর্কে কোনো ইতিহাসে তার প্রমাণ নেই।

ইতিহাসবিদগণ বলেন: কারবালার ঘটনার পর সর্ব প্রথম যিনি ইমাম হোসায়েন (আ:)এর যিয়ারত করতে গিয়েছিলেন তিনি হলেন হযরত মুহম্মাদ (স:)এর সাহাবী জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারি, যিনি নিজের দাস আতিয়া উফির সাথে সর্ব প্রথম চল্লিশায় ইমাম হোসায়েন (আ:)এর কবর যিয়ারতে গিয়েছিলেন।

দোওয়া করি আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মোমিনগণকে চল্লিশার দিন ইমাম হোসায়েন (আ:)এর যিয়ারত নসিব করুক। (আমিন)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .