হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত রণমহল গ্রামে Unity Childern KG School -এ মহররমের শোকাপালনের আয়োজন করা হয় ৷
বাদ মাগরীব পবিত্র কোরআন তেলায়তের মাধ্যমে এই শোকপালন শুরু হয় ৷ কোরআন তেলায়ত করেন মওলানা আসাদ রাজা সাহেব, যিনি এসেছেন উঃ ২৪ পরগণার কুলিয়া গ্রাম থেকে ৷
১৪৪৪ হিজরীর মহররম মাসের প্রথম দশদিন গভীর শোকের সময় ৷
সন ৬১ হিজরী ইমাম হুসাইন (আঃ)-কে কারবালায় নির্মমভাবে তিনদিন পিপাসিত অবস্থায় শহীদ করেছিল ইয়াজিদের সেনা৷
নবী করিম (সঃ) পরিবারের উপরে নেমে এসেছিল অকথ্য নির্মমতা, বিশ্বের ঈমানধারী মুসলমান বা অমুসলিম হিন্দু ভাই বোনেরাও এই অত্যাচারের কথা সম্যক জ্ঞাত ৷
আজকের এআ আযাদারীতে উপস্থিত ছিলেন আশে পাশের গ্রাম আগত শোকাভূত নারী, পুরুষ শিশু কিশোর কিশোরীগণ ৷
মওলানা আসাদ রাজা সাহেব বলেনঃ "যারা আল্লাহ ও নবী সঃ কে কষ্ট দেয়, তাদের উপরে লানত পড়ার জন্য পবিত্র কোরআন তাগিদ দিয়েছে ৷" তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেনঃ "কিছু লোক এখন উঠেছে যারা বলছেন লানত পড়া যাবে না, আসলে এটা ভুল কথা ৷ লানত খোদ আল্লাহ পড়েন ও মুমিনদের পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷"
সত্যের পথে পত্রিকার সম্পাদক মুস্তাক আহমদ বলেনঃ "১০-ই জিলহজ আল্লাহর খলিলের রেখে যাওয়া চিন্থগুলি সুন্নাত হিসাবে পালন করতে মুসলমানরা হজ বা কুরবানী পালন করেন,
কিন্তু ১০-ই মহররম আল্লাহর হাবিবের দুঃখের মুসিবতের চিন্থগুলি মুসলমানরা সুন্নাত হিসাবে পালন করে না আর করতে না দেবার জন্য বেদাত ফতোয়া দিতে থাকে ৷"