۱۶ آذر ۱۴۰۳ |۴ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 6, 2024
আশুরার দিবসে ইমাম হুসাইনের ( আ :) শাহাদাত
আশুরার দিবসে ইমাম হুসাইনের ( আ :) শাহাদাত

হাওজা / আশুরার দিবসে ইমাম হুসাইনের ( আ :) শাহাদাত , গাদ্দার বিশ্বাস ঘাতকদের থেকে প্রকৃত মুসলিম উম্মাহকে শনাক্ত করার মাপকাঠি ।

মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান (মুহররম, ১৪৪৪ হি.)

পর্ব ৩- ২য় হাদীস :

হযরত উম্মে সালামাহ ও কারবালার মাটি : হযরত উম্মে সালামাহ (রা:) বলেন : এক রাতে রাসূলুল্লাহ ( সা:) গৃহের বাইরে চলে গেলেন । তিনি দীর্ঘ সময় পরে ফিরে এলেন । আমি তাঁর চুল বিক্ষিপ্ত ও ধূলিধূসরিত দেখলাম । আমি আরয করলাম : ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমি আজ আপনাকে এ কি অবস্থায় দেখছি । তিনি বললেন : কুদরতের কর্মীরা আমাকে ইরাকে অবস্থিত এক জায়গায় নিয়ে গেল । সে জায়গাকে কারবালা বলা হয় । সেটাই হুসাইনের শাহাদাতের ভূমি । সেখানে আমি আমার আওলাদকে প্রত্যক্ষ করেছি এবং তাঁর রক্ত মাটি থেকে তুলে নিয়েছি , যা এখন আমার হাতে আছে । তুমি হেফাজতে রাখ । আমি মাটি হাতে নিয়ে দেখলাম সেটি লাল মাটি ছিল । এরপর আমি সেই রক্ত রঞ্জিত মাটি বোতলে রেখে দিলাম এবং বোতলের মুখ ভালো করে বেঁধে দিলাম । যখন হুসাইন ইরাক সফর শুরু করেন , তখন আমি প্রত্যহ এই বোতলটি বাইরে এনে দেখতাম । তাতে মাটি পূর্বাবস্থায় ছিল । কিন্তু যখন আমি আশুরার দিন এই মাটি দেখলাম , তখন তাতে রক্ত তাজা হয়ে গিয়েছিল । এতে আমি বুঝে নিলাম যে পাষণ্ডরা হযরত হুসাইন ( রা:) কে শহীদ করে দিয়েছে । আমি খুব কাঁদলাম । কিন্তু শত্রুদের হাসি - তামাশার ভয়ে আমি কান্নাকাটি প্রকাশ করলাম না । এরপর যখন শাহাদাতের খবর এল , তখন শাহাদাতের তারিখ সেটাই ছিল । হযরত হুসায়ন ( রা:) - এর শাহাদাত ৬১ হিজরীতে আশুরার দিনে হয়। তখন তাঁর বয়স ছিল ৫৭ বছর । ( শাওয়াহেদুন নবুয়ত , পৃ : ২৩২ , আল্লামা আব্দুর রহমান দামী প্রণীত ; অনুবাদ : মাওলানা মুহিউদ্দীন খান )

৩য় হাদীস :

শাহাদাতের খবর : হযরত আয়েশা ( রা:) বলেন : একদিন রাসূলুল্লাহ সা:) হযরত জিবরাঈল ( আ:) - এর কাছে ছিলেন । ইত্যবসরে হযরত হুসায়ন ( রা:) তাঁর কাছে চলে আসেন । জিবরাঈল ( আ:) জিজ্ঞাসা করলেন : এ কে ? হুযুর ( সা:) বললেন : সে আমার সন্তান ( দৌহিত্র ) । এ কথা বলে তিনি হুসায়নকে কলে বসিয়ে দিলেন ।

হযরত জিবরাঈল ( আ:) বললেন : তাঁকে এক সময় শহীদ করে দেয়া হবে । রাসূলুল্লাহ ( সা:) জিজ্ঞাসা করলেন : তাঁকে কে শহীদ করবে ? জিবরাঈল বললেন : আপনার উম্মত । আপনি বললে সেই জায়গাও বলে দেই , যেখানে তাকে শহীদ করা হবে ।

এরপর জিবরাঈল ( আ:) কারবালার দিকে ইশারা করলেন এবং কিছু লালমাটি ধরে তাঁকে দেখালেন । তিনি বললেন : এই মাটি হুসায়নের শাহাদত ভূমির মাটি । ( প্রাগুক্ত : পৃ: ২৩৩:)

৪র্থ হাদীস :

আব্দুল্লাহ ইবনে নাজী স্বীয় পিতা নাজী থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি ( নাজী ) হযরত আলীর (আ:) তাহারত অর্থাৎ ওযূ , গোসল ও ইসতিনজার পানির ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং সিফফীনের ( যুদ্ধ ক্ষেত্রের ) দিকে হযরত আলীর ( আ:) সাথে বের হলেন । যখন হযরত আলী ( আ:) নেইনাভার ( কারবালা ) নিকটবর্তী হলেন তখন তিনি বলে উঠলেন : ফুরাত নদীর কুলে হে আবূ আব্দিল্লাহ ( ইমাম হুসাইনের - আ: - কুনিয়াহ বা উপাধি ) , ধৈর্য্য ধারণ করো ; হে আবূ আব্দিল্লাহ , ধৈর্য ধারণ করো । " আমি তখন বললাম : " কে আবূ আব্দিল্লাহ ? " তখন তিনি ( আলী ) বললেন : " আমি একদা রাসূলুল্লাহর ( সা:) খেদমতে হাজির হলাম আর তখন তাঁর দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল । আমি বললাম : হে আল্লাহর নবী , আপনাকে কেউ কি রাগম্বিত করেছে ? " তখন তিনি বললেন : একটু আগে আমার কাছ থেকে জিবরাঈল বিদায় নিয়েছেন । আমাকে তিনি বলেছেন যে হুসাইন ফুরাতের তীরে নিহত ( শহীদ ) হবে । " তিনি আমাকে বললেন : আমি কি আপনাকে তাঁর কবরের ( বধ্যভূমি ) মাটির ঘ্রাণ সুঙ্গাব ? " আমি বললাম : " হ্যাঁ । " তখন তিনি হাত প্রসারিত করে একমুঠো মাটি এনে আমাকে দিলে আমি আর আমার চোখের জল আটকে রাখতে পারলাম না । " ( দ্র : তহযীবুত তাহযীব , খ : ২ , পৃ: ৩৪৭ )

৫ম হাদীস :

আম্মার আদ দুহনী বলেন : হযরত আলী ( আ:) একদা কা'বের পাশ দিয়ে গমণ করলেন। তখন তিনি ( কা'ব ) বললেন : এর ( আলী ) পুত্র সন্তানদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি একদল ( বন্ধুবান্ধব , ভাই , ভ্রাতুষ্পুত্র ও পিতৃব্য পুত্রদের ) সমেত নিহত ( শহীদ ) হবেন হযরত মুহাম্মাদের ( সা:) কাছে হাউযে কাওসারে যাদের উপনীত

হওয়া পর্যন্ত তাদের দেহের সিক্ততা ও ঘাম শুকাবে না (( অর্থাৎ শহীদ ( নিহত ) হওয়ার সাথে সাথেই ( অনতিবিলম্বেই ) তাঁরা সবাই রাসূলুল্লাহর ( সা:) সাথে মিলিত হবেন । )) । অত:পর তখন হাসান তার পাশ দিয়ে গমণ করলে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল : " এ ব্যক্তি ? " তিনি বললেন : " না ।" অত:পর হুসাইন গমণ করলে জিজ্ঞেস করা হল : " এ ব্যক্তি ? " তখন তিনি বললেন : " হ্যাঁ । " ( দ্র : তাহযীবুত তাহযীব , খ :২ , পৃ : ৩৪৭ - ৩৪৮ ) ।…চলবে…

تبصرہ ارسال

You are replying to: .