۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
ইরানী ড্রোন
ইরানী ড্রোন

হাওজা / ইরানী ড্রোনের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিধর অপ্রতিদ্বন্দ্বী আকাশ শক্তি ও বিমানবাহিনী অসহায় , বিপর্যস্ত ও পরিশ্রান্ত !!!

মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

প্রথম পর্ব

অতিসম্প্রতি ( ২৯ তীর ১৪০১ মোতাবেক ২০ জুলাই ২০২২

) হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগ ও সম্পর্ক সমূহের সমন্বয়কারী ( NSC coordinator for strategic communications ) জন কির্বী বলেছেন: " আভ্যন্তরীন ভাবে ড্রোন উৎপাদনের ক্ষমতা ইরানীদের আছে এবং এ সব ( ইরানী ) ড্রোন অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সমূহের অধিকারী। (কারণ) আমরা ( মার্কিনীরা ) সিরিয়া ও ইরাকে আমাদের ( মার্কিন) সেনাবাহিনী ও স্থাপনা সমূহে যে সব হামলা করা হয়েছে সেগুলোয় ব্যবহৃত ইরানী ড্রোন সমূহের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম । " জন কির্বীর এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে মার্কিন দখলদার হানাদার বাহিনী ইরানী ড্রোনের আঘাতের স্বাদ বেশ ভালোভাবেই আস্বাদন করতে পেরেছে ইরাক ও সিরিয়ায় এবং সেই সাথে ইরানী ড্রোনের কার্যকারিতা ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার সাথে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয় এমনকি ইসরাইলও পরিচিত হতে পেরেছে সম্যক ভাবে।

এরও বছর খানেক আগে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন

মার্কিন সেন্টকম প্রধান জেনারেল ম্যাকেনযী সতর্ক করে বলেছিলেন যে

For the first time since the Korean war , we are operating without complete air superiority .

" কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকে এই প্রথম বারের মতো আমরা আকাশ শক্তির পূর্ণাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব ছাড়াই সামরিক অভিযান ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।"

জেনারেল ম্যাক্কেনযি গোয়েন্দা কার্য ও আক্রমণে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র ও মাঝারি সাইজের সশস্ত্র ইরানী ড্রোনকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ও তার শরীকদের জন্য বিপদ বলে বারবার জোর গুরুত্ব দিয়েছেন। ম্যাক্কেনযি হাউয আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানিতে বলেন : " অত্যন্ত দেরী হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কখনো কখনো এগুলো ( ড্রোনসমূহ ) শনাক্ত করা খুবই কঠিন।" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইহুদি ইনস্টিটিউটের বিদেশ নীতির পরিচালক জোনাথন রুহে বলেন : এ সব ' ইউএভির ( পাইলট বিহীন বিমান) উদ্ভাবন ও উৎপাদন ' পরিণতিতে ইসরাইল সহ অত্র অঞ্চলের ( মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া) চতুর্দিকে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমূহের মোকাবেলা ও তা বিহ্বল ( অকার্যকর ) করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইরানের ব্যাপক ও বিশাল চেষ্টা ও প্রচেষ্টার মূল চাবিকাঠি স্বরূপ।" এরপর তিনি আরো বলেন : " এ সব অস্ত্রের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যকে জিম্মি করে রাখা সংক্রান্ত তেহরানের উত্তরোত্তর বর্ধিষ্ণু ক্ষমতা ও সামর্থ্য মোকাবেলা ( কাউন্টার ) করতে সক্ষম আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের এমন এক থিয়েটার উদ্ভাবন ও তৈরি করতে নিজ আঞ্চলিক মিত্রদেরকে সাথে নিয়ে (একযোগে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করা উচিত ও আবশ্যক। " ( দ্র: Jewish Insider , মঙ্গলবার, ২০-৪-২০২২ )

(১৯৫০ সালে ) কোরিয়ার যুদ্ধের (৭০ বছর ) পরে বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ শক্তি ও বিমান বাহিনীর পূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য এই প্রথম বারের মতো বিনষ্ট ও অকেজো করে দিয়েছে ইরান। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে (ইরানী ড্রোনের কারণে) মার্কিন বিমান শক্তির একক শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য পূর্বের মতো আর বহাল ও বজায় নেই।

জেনারেল ম্যাক্কেনযী ও জন কির্বীর এ সব বক্তব্য থেকে বোধগম্য হয় যে ইরান এখন ড্রোন সুপার পাওয়ার যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল , পাশ্চাত্য ও তাদের আঞ্চলিক মিত্রদেরকে বিপর্যস্ত ও পরিশ্রান্ত করে দিয়েছে। যদি আমরা এদের সম্মিলিত বাৎসরিক সামরিক বাজেট ও সমর শক্তি এবং ইরানের বাৎসরিক সামরিক বাজেট ও সমর শক্তির মাঝে তুলনা করি তাহলে এক সাগরের মোকাবেলায় ইরান হবে একটি ছোটখাট নদী তুল্য । ইরানের বাৎসরিক সামরিক বাজেট মাত্র ২৪•৬ বিলিয়ন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক সামরিক বাজেট ৮০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক ( ২০২১ সালে )। আর কানাডা , অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন , ন্যাটো এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল এবং মার্কিন ও পাশ্চাত্যের মিত্র আরব প্রতিক্রিয়াশীল দেশগুলোর সম্মিলিত বাৎসরিক সামরিক বাজেট যা প্রায় অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে তা বাৎসরিক মার্কিন সামরিক বাজেটের ( ৮০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক ) সাথে যোগ করলে প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে এই বিশাল সম্মিলিত বাৎসরিক সামরিক বাজেট। তাহলে কোথায় মাত্র ২৪•৬ বিলিয়ন ডলার এবং প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ( ১৫০০ বিলিয়ন ) ডলার !! এরপর ইরান স্মরণাতীত কালের ইতিহাসে ৪০ বছরেরও অধিক কাল যাবৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক কঠোর অবরোধের শিকার এবং মার্কিনীদের মিত্ররাও এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এক যোগে সহযোগিতা ও কাজ করে যাচ্ছে ! কিন্তু বাস্তবে ময়দানে ইরানের এই ২৪•৬ বিলিয়ন ডলারের বাৎসরিক সামরিক বাজেট কার্যত : মার্কিন ও তার মিত্রদের সম্মিলিত দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেটের সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে !! আর হ্যাঁ , এটা বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ ও হিসাব-নিকাশে নয় বরং ঐশ্বরিক ( ইলাহী ) আধ্যাত্মিক ধর্মীয় অপার্থিব দৃষ্টি কোণ এবং হিসাব - নিকাশ ও বিবেচনায় । তা না হলে কোথায় ২৪•৬ বিলিয়ন ডলার আর কোথায় প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ( ১৫০০বিলিয়ন ) ডলার ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক সামরিক বাজেট ( ৮০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক) ইরানের ৩২•৫২ বছরের বাৎসরিক সামরিক বাজেটের সমান ( ইরানের বাৎসরিক সামরিক বাজেট : ২৪•৬ বিলিয়ন ডলার )। আর মার্কিন ও তার মিত্রদের সম্মিলিত বাৎসরিক সামরিক বাজেট ( দেড় ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ১৫০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ) ইরানের ৬০•৯৭ বছর বা প্রায় ৬১ বছরের সামরিক বাজেটের সমান !!! আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১ বছরের জাতীয় বাজেট ( যা ১•৮ ট্রিলিয়ন বাজেট ডেফিসিট বা ঘাটতি সহ প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ৬০০০ বিলিয়ন ডলার তা ) ইরানের ২৬•৭৮ বছরের জাতীয় বাজেটের সমান ( ইরানের বাৎসরিক জাতীয় বাজেট প্রায় ২২৪ বিলিয়ন ডলার) । লক্ষ্যণীয় যে মার্কিন - ইরান জাতীয় বাজেটের অনুপাত ( ratio ) এর চাইতে মার্কিন - ইরান সামরিক বাজেটের অনুপাত ( ratio ) অনেক বেশি । আর এ থেকে প্রমাণিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ( এবং তার মিত্ররা ) জাতীয় বাজেটের এক বিরাট অংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে বিশ্বজুড়ে নিজেদের হেজেমনি ও সামরিক প্রাধান্য টিকিয়ে রাখার জন্য যা থেকে তথাকথিত সভ্যতা , ভদ্রতা , সুশীলতা ও উদার গণতন্ত্রের প্রবক্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের রক্তপিপাসু জংগিবাদী যুদ্ধংদেহী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মনোবৃত্তি ও চেহারাই বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠে । তা না হলে এত বাৎসরিক সামরিক ব্যয় কেন তারা করতে যাবে ? আবার এ বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সামরিক : জাতীয় বাজেট রেশিও ( অনুপাত ) থেকেও স্পষ্ট হয়ে যায় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক সামরিক বাজেট ও ১.৮ ট্রিলিয়ন বাজেট ডেফিসিট সহ জাতীয় বাজেট অনুপাত = ৮০০ : ৬০০০ ( ১: ৭•৫ ) অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেট তার জাতীয় বাজেটের ১৩•৩৩% ; কিন্তু এই বাজেট ডেফিসিট বাদ দিয়ে ৪•২ ট্রিলিয়ন বাজেটের সাথে হিসাব করলে এ অনুপাত দাড়ায় ১: ৫•২৫ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেট জাতীয় বাজেটের প্রায় ১৯•০৪% এবং ইরানের সামরিক ও জাতীয় বাজেটের অনুপাত ২৪•৬ : ২২৪ ( ১:৯•১) এবং ইরানের সামরিক বাজেট তার জাতীয় বাজেটের মাত্র ১০•৯৮%। আর মার্কিন মিত্রদের বাৎসরিক জাতীয় বাজেট এখানে হিসাব করাই হয় নি। অতএব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বৈষয়িক সম্পদ ও শক্তির ( economic & material powers ) সাথে ইরানের অর্থনৈতিক ও বৈষয়িক সম্পদ ও শক্তির আদৌ কোনো তুলনাই চলে না । এ ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের এক চূড়ান্ত অসমতা বিরাজমান। তাই নি: সন্দেহে দুনিয়াবী ( পার্থিব ) বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ইরান ও তার মিত্রদেরকে বলা যায় ফিআ - ই ক্বলীলা ( ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ও ছোট দল : الْفِئَةُ الْقَلِیْلَةُ ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেরকে বলা যায় ফিআ - ই কাসীরা ( বৃহৎ গোষ্ঠী ও বড় দল اَلْفِئَةُ الْکَثِیْرَةُ ) । বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে ইরানের মিত্ররা হচ্ছে লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলন , গাযার ফিলিস্তিনি জনগণ , ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামী আন্দোলন , গ্রুপ ও দল সমূহ , বাহরাইনের মজলুম জনতা , ইরাকের মজলুম জনগণ , সিরিয়া, ইয়েমেন ও অত্র অঞ্চলের মজলুম মুস্তাদাফ অধিবাসীগণ এবং ভেনেজুয়েলার মতো বিশ্বের মুষ্টিমেয় কিছু সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশ।

অতএব এ ক্ষেত্রে আকাশ পাতাল ফারাক ও ব্যবধানই বিদ্যমান । কোনো ভাবেই দুনিয়াবী ( বস্তুবাদী ) হিসাব নিকাশের মাধ্যমে এটা মেলানো সম্ভব নয় । আমাদেরকে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই পবিত্র কুরআনের শরণাপন্ন হতে হবে ।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন :

সাম্রাজ্য , রাজত্ব ও বাদশাহীর একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ। কারণ তিনি মালিকুল্ মুল্ক্ ( রাজ্য , রাজত্ব ও বাদশাহীর মালিক )। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে রাজত্ব ও শাসন কর্তৃত্ব দেন এবং যাকে ইচ্ছা তার কাছ থেকে তা ( রাজত্ব ও শাসন কর্তৃত্ব ) কেড়েও নেন :

قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ ۖ بِيَدِكَ الْخَيْرُ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ .

(আপনি )বলে দিন: হে আল্লাহ!হে রাজত্বের মালিক ! আপনি যাকে ইচ্ছা তাকে রাজত্ব দেন ,

যাকে ইচ্ছা তার থেকে রাজত্ব কেড়ে নেন , যাকে ইচ্ছা তাঁকে আপনি সম্মানিত করেন , যাকে ইচ্ছা তাকে আপনি

হীন ও অপদস্থ করেন ; আপনার হাতেই সকল কল্যাণ ও মঙ্গল। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান ( সর্বশক্তিমান )। ( সূরা -ই: )

মহান আল্লাহ মহাশক্তিধর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেরকে হীন ও অপদস্থ করেছেন এবং ইরানকে শক্তিশালী ও সম্মানিত করেছেন। কারণ মুমিনদেরকে সাহায্য করা মহান আল্লাহর দায়িত্ব। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে:

وَ کَانَ حَقَّاً عَلَیْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِيْنَ .

এবং আমাদের দায়িত্বই হচ্ছে মুমিনদেরকে সাহায্য করা ( সূরা -ই রূম : ৪৭ ) ।

আর মহান আল্লাহ মুমিন মুসলিম ইরান ও তার ঈমানদার মিত্রদেরকে অবশ্যই সাহায্য করেছেন এবং করছেন যার প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কৌশলগত সম্পর্ক সমূহের সমন্বয়কারী জন কির্বী এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেন্টকম প্রধান জেনারেল ম্যাকেনযীর বক্তব্য । মহান আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে এবং ইরানী জাতি ও তাদের মিত্রদের অক্লান্ত চেষ্টা প্রচেষ্টা ও তীব্র প্রতিরোধের মুখে কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব মুখ থুবড়ে পড়েছে ইরানী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির মোকাবেলায়!!

سوره مبارکه الحج آیه ۳۹

أُذِنَ لِلَّذينَ يُقاتَلونَ بِأَنَّهُم ظُلِموا ۚ وَإِنَّ اللَّهَ عَلىٰ نَصرِهِم لَقَديرٌ﴿۳۹﴾

যাদের বিরুদ্ধে (অন্যায় ভাবে) যুদ্ধ করা হয় ( বা চাপিয়ে দেওয়া হয় ) তাদেরকে ( যুদ্ধ করার ) অনুমতি দেওয়া হল ; কারণ তারা অত্যাচারিত ( জুলুম ও অন্যায়ের শিকার ) হয়েছে । আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করার ব্যাপারে অবশ্যই সক্ষম ও সামর্থ্যবান ( সূরা -ই হজ্জ : ৩৯ ) ।

ইসলামী বিপ্লবী ইরান এবং মুসলমানদের ওপর অন্যায় ভাবে পাশ্চাত্য তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে । আর তাই মযলূম ইরান ও মুস্তাদাফ মুসলমানদের জন্য প্রতিরোধ যুদ্ধ , জিহাদ ও সংগ্রাম তো কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা নয় বরং তা ন্যায্য বৈধ মানবীয় অধিকার এবং মহান আল্লাহ এ সংগ্রামে মুমিনদের সাহায্য ও বিজয়ী করতে অবশ্যই সক্ষম । বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে ইসলামী বিপ্লবী ইরান ও মযলূম মুসলমানদেরকে মহান আল্লাহ মহাশক্তিধর কাফির মুশরিকদের ( পাশ্চাত্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল) বিরুদ্ধে এ পর্যায়ে যুদ্ধে যে বিজয়ী করেছেন তা জন কির্বি ও জেনারেল ম্যাকেনযীর উপরিউক্ত বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় । স্মর্তব্য যে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্য এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন প্রাচ্য ব্লক ইরাকের ডিক্টেটর সাদ্দাম হোসেনকে সর্বাত্মক সাহায্য করে ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৮ বছরের ( ১৯৮০-১৯৮৮ ) যুদ্ধে পাগলা ক্ষ্যাপা কুত্তার মতো লেলিয়ে দিয়েছিল । ধনতান্ত্রিক পাশ্চাত্য ও কম্যুনিস্ট সমাজবাদী প্রাচ্যের সম্মিলিত উদ্দেশ্যে ছিল ইসলামী বিপ্লবী ইরানকে ঘায়েল করা এবং এ বিপ্লব ও নব্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটানো। কিন্তু মহান আল্লাহর অসীম অনুগ্রহ ও সাহায্যে ইসলামী বিপ্লবী ইরান ঘায়েল তো হয় নি বরং তার চিরশত্রু সাদ্দামেরই পতন হয়েছে এবং এ পৃথিবী থেকে সে চির বিদায় নিয়ে জাহান্নামী হয়েছে। ইরান নিজে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের যোগসাজসে সর্বাত্মক ভয়ঙ্কর আক্রমণ , আগ্রাসন ও যুদ্ধের শিকার হওয়া সত্ত্বেও নাস্তিক কম্যুনিস্ট সোভিয়েত দখলদার হানাদার রেড আর্মির বিরুদ্ধে মযলূম আফগান জাতির প্রতিরোধ সংগ্রাম ও যুদ্ধে আফগান মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে যার প্রমাণ ইরান সমর্থিত আট আফগান মুজাহিদ গ্রুপ এবং পাকিস্তান ভিত্তিক ৭ আফগান গ্রুপের সাথেও ইরানের সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা ছিল। পাঞ্জশীরের ব্যাঘ্র ( শীরে পাঞ্জশীর ) বলে বিখ্যাত আহমদ শাহ মাসুদের সাথে ইরানের উষ্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতাও সর্বজনবিদিত। পরাজিত , ক্লান্ত - শ্রান্ত ও বিধ্বস্ত দখলদার সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের সময় যাতে পশ্চাৎ দেশ থেকে আফগান মুজাহিদদের আক্রমণের শিকার না হয় সেজন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানের সাথে যোগাযোগ করে যাতে ইরান সকল আফগান মুজাহিদ দল ও গ্রুপকে অনুরোধ করে যেন তারা উইথড্রয়িং ও প্রত্যাবর্তনরত সোভিয়েত বাহিনীর ওপর পিছন থেকে আক্রমণ না চালায় । সোভিয়েত ইউনিয়নের আবেদনে ইরান আফগান মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে অনুরোধ জানালে তারা সোভিয়েত বাহিনীকে পশ্চাদ দেশ থেকে আক্রমণ করা থেকে বিরত ছিল এবং পরাজিত ব্যর্থ সর্বশান্ত সোভিয়েত রেড আর্মি নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে বের হয়ে যায় ( বা বহিষ্কৃত হয় ) ১৯৮৯ সালে। এ পরাজয় ও ব্যর্থতার অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ( ১৯৯১ সাল অর্থাৎ দু বছরের মধ্যেই ) গোটা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ওয়ার্শো সামরিক - রাজনৈতিক জোটের পতন ঘটে যার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি ও রূপকার ইমাম খোমেইনী সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাত্র দু বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালেই !! আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের অবসানের পর ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে পতনের আগ পর্যন্ত কাবুলের আফগান মুজাহিদ সরকারের সাথে ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিদ্যমান ছিল। আর ঐ সময় পাকিস্তানের সাথে কাবুলে আফগান মুজাহিদ সরকারের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছিল এবং তা তিক্ততার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল যার পরিণতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো , সৌদি - আমিরাতী - কাতারী চক্র ও পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সর্বাত্মক সমর্থন ও মদদে তালিবান গোষ্ঠী আফগান মুজাহিদ সরকারের পতন ঘটিয়ে কাবুল দখল করে ১৯৯৬ সালে। কাবুলের ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পরেও নির্বাসিত আফগান মুজাহিদ সরকারের সাথে ইরানের সম্পর্ক ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকে এবং কার্যত: আফগান মুজাহিদ সরকার ক্ষতাচ্যুত হওয়ার পর একরকম ইরানেই নির্বাসিত হয় । আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চল ও পাঞ্জশীর উপত্যকা ব্যতীত আফগানিস্তানের ৮০% ভাগ ভূখণ্ড মার্কিন - ন্যাটো - আরব প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সমর্থিত তালিবান সরকারের দখলে চলে গিয়েছিল যা ১৯৯১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের পাতানো ঘটনার জেরে মার্কিন ন্যাটো বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানের সহায়তায় তালিবান আল- কায়দা সরকারকে উচ্ছেদ ও আফগানিস্তান জবরদখল করে। এরপর শুরু হয় মার্কিন - ন্যাটো দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আফগান জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রাম। ৪-৪- ২০১০ bangla.irib.ir ( İran Bangla Radio IRIB World Service) এর সাথে ইমাম হুসাইনের ( আ ) শাহাদাতের চেহলাম শীর্ষক এক সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম : " আফগানিস্তানে মার্কিন ন্যাটো জোটের দখলদারিত্বেরও বিরোধিতা করে আসছে ইরান। আর ইরানের নীতিগত অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানেও মার্কিন ন্যাটো দখলদার জোটও বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। "

আমার এ বক্তব্যের ১১ বছর পরে ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে মার্কিন ও ন্যাটো দখলদার জোট আফগান প্রতিরোধ সংগ্রামের কাছে পরাজয় ও নতি স্বীকার করে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে এবং দীর্ঘ ২০ বছরের মার্কিন ন্যাটো অর্থাৎ পশ্চিমা দখলদারিত্বের অবসান ঘটে যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের ময়দানী সামরিক পরাজয় হয়েছে ; কিন্তু তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং এই গোয়েন্দা তৎপরতা দিয়ে এবং রাজনৈতিক -কূটনৈতিক অঙ্গনে তাদের সামরিক ময়দানী পরাজয় পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অবশ্যই করবে এবং এ ব্যাপারে আফগান জনগণকে সচেতন থাকতে হবে এবং অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত তালিবান প্রশাসনকে তা বুঝতে এবং সঠিক বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তারও পরিচয় দিতে হবে । অতএব আফগানিস্তানে মার্কিন ও পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে এবং গতকাল শুক্রবার কাবুলে ইমাম হুসাইনের (আ) শোকানুষ্ঠানে দায়েশ ( আইসিস ) কর্তৃক বোমা হামলা ও বিষ্ফোরণ আসলে আফগানিস্তানে মার্কিন - পাশ্চাত্যের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের একটা অংশ মাত্র। অতএব আফগানিস্তানে মাঠ পর্যায় মার্কিন ও ন্যাটো জোটের সামরিক

পরাজয় ও ব্যর্থতার পেছনে ও নেপথ্যে ইরানের ভূমিকা ও অবদান আছে যা ১১ বছর আগে ইঙ্গিত করা হয়েছিল । আর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং ইরাকের নাজাফ নগরীর মারজায়ে তাকলীদদের বিশেষ করে আয়াতুল্লাহ সিস্তানীর সঠিক নীতি অবস্থানের কারণে ইরাক থেকে ইঙ্গো মার্কিন নেতৃত্বাধীন দখলদার বাহিনী পাত্তারি গুটাতেও বাধ্য হয়েছিল ।

মুমিনরাই শ্রেষ্ঠ :

وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

তোমরা হীন ও দুর্বল হয়ো না এবং দু:খভারাক্রান্তও হয়ো না অথচ তোমরাই হচ্ছ শ্রেষ্ঠ যদি তোমরা (সত্যিকার) মুমিন ( বিশ্বাসী ) হও ( সূরা -ই আলে ইমরান : ১৩৯ ) ।

ঈমান ও তৌহীদের পথে দৃঢ়পদ থাকা ও প্রতিরোধের পরিণতি ও পুরস্কার:

سوره مبارکه فصلت آیه ۳۰

إِنَّ الَّذينَ قالوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ استَقاموا تَتَنَزَّلُ عَلَيهِمُ المَلائِكَةُ أَلّا تَخافوا وَلا تَحزَنوا وَأَبشِروا بِالجَنَّةِ الَّتي كُنتُم توعَدونَ﴿۳۰﴾

নিশ্চয়ই যারা বলেছে: আমাদের প্রতিপালক ( রব্ব এক অদ্বিতীয় ) আল্লাহ ; অত:পর দৃঢ়পদ ( অবিচলিত ) থেকেছে ( প্রতিরোধ [ ইস্তিকামত ] করেছে) তাদের ওপর ফেরেশতাগণ অবতীর্ণ হন (এবং বলেন ) : " তোমরা ভয় পেয়ো না ও দু:খ ভারাক্রান্ত ( চিন্তিত ) হয়ো না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা প্রদান দেওয়া হয়েছিল ওয়াদা তার জন্য তোমরা আনন্দিত হও ( সূরা -ই হা-মীম- সিজদাহ বা ফুসসিলাত : ৩০ )। "

‌নি: সন্দেহে ইসলামী বিপ্লবী ইরান হচ্ছে বর্তমান কালে এ আয়াতের মুমিনদের বাস্তব নমুনা । কারণ তারা ( ইরানীরা ) এক অদ্বিতীয় মহান আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাস ও মেনে নেওয়ার পর ইসলামের পথে দৃঢ়পদ রয়েছে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ করে যাচ্ছে বিধায় ফেরেশতাদের অবতীর্ণ করে মহান আল্লাহ তাদেরকে অভয় দিচ্ছেন, দু:খ বিমোচন করে দিচ্ছেন এবং এ প্রতিরোধ সংগ্রামের পুরস্কারের শুভ সংবাদও দিচ্ছেন তাদেরকে। আর শুধু ইরানই নয় এ পথে যারাই দৃঢ়পদ থাকবে তারাও এ ভাবেই পুরস্কৃত হবে । ফিলিস্তিনের গাযা , লেবানন , সিরিয়া , ইরাক , ইয়েমেন ও আফগানিস্তানের জনগণ ইরানের পদাঙ্ক অনুসরন করেই আগ্রাসী সোভিয়েত ইউনিয়ন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , পাশ্চাত্য , ইসরাইল ও তাদের বশংবদ আঞ্চলিক তল্পীবাহক ও চরদের ( যেমন : কুখ্যাত আইসিস , আল - কায়দা , বিভিন্ন সালাফী ওয়াহহাবী তাকফীরী গোষ্ঠী ও সংগঠন এবং সৌদি - আমিরাতী নেতৃত্বাধীন তথাকথিত ৩৩ জাতি জোট ইত্যাদি ) বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ সংগ্রাম করে বিজয় ও সাফল্য অর্জন করেছে।

মুমিনদের জন্য রয়েছে দুটো সুন্দরতম ( সর্বোত্তম) পরিণতির ( শত্রুর ওপর বিজয় ও শাহাদাত বরণ : ইহ্দাল্ হুসনায়াইন্ إِحْدَی الْحُسْنَیَيْنِ ) যে কোনো একটি এবং তাদের শত্রুদের জন্য রয়েছে হয় পরকালীন আযাব অথবা মুমিনদের হাতে এ পৃথিবীতেই তাদের ( শত্রুগণ) শাস্তিভোগ ( পরাজয় বরণের গ্লানি ) :

قُل هَل تَرَبَّصونَ بِنا إِلّا إِحدَى الحُسنَيَينِ ۖ وَنَحنُ نَتَرَبَّصُ بِكُم أَن يُصيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذابٍ مِن عِندِهِ أَو بِأَيدينا ۖ فَتَرَبَّصوا إِنّا مَعَكُم مُتَرَبِّصونَ﴿۵۲﴾

( আপনি ) বলে দিন : তোমরা ( কাফির মুশরিকগণ) কি আমাদের ( মুমিন মুসলমান গণ ) ক্ষেত্রে দুটো সুন্দরতম (সর্বোত্তম) বিষয়ের ( বিজয় ও শাহাদাত বরণ ) কেবল যে কোন একটিরই ইন্তিযার ( অপেক্ষা , আশা ও কামনা ) করছ? অথচ আমরা ( মহানবী [সা] ও মুমিন - মুসলমান গণ ) অপেক্ষা ( আশা ও কামনা) করছি যে মহান আল্লাহ ( পরকালে ) তাঁর তরফ থেকে তোমাদেরকে কোনো শাস্তি দেবেন অথবা ( এ দুনিয়ায় ) আমাদের হাতে ( তোমাদেরকে তিনি শায়েস্তা করবেন ও শাস্তি দেবেন )। এখন যখন অবস্থা এমনই তখন তোমরা অপেক্ষা করতে থাক এবং আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষা করছি ( যে পরিণতি ও ফলাফল কী হয় ? ) ( সূরা -ই তওবা : ৫২ ) ।

বর্তমানে ইসলামী বিপ্লবী ইরান ও তার মিত্রদের হাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গোটা পাশ্চাত্য, ইসরাইল এবং তাদের বশংবদ আঞ্চলিক তল্পীবাহক চরদের চরম দৈন্য দশার চিত্র স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত সম্পর্ক সমূহের সমন্বয়কারী জন কির্বী ও মার্কিন সেন্টকম প্রধান জেনারেল ম্যাকেনযীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে !! অর্থাৎ ইরান ও তার মিত্ররা ( যারা হচ্ছে বর্তমান যুগের মুমিন মুসলমানদের বাস্তব নমুনা তারা ) ইহ্দাল হুসনায়াইন ( বিজয় ও শাহাদাতের যে কোনো একটি ক্ষেত্র বিশেষে উভয়টাই : বিজয় ও শাহাদাত ) প্রাপ্ত হয়েছে এবং তাদের শত্রুরা ( বর্তমান যুগের কাফির মুশরিকরা যারা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাশ্চাত্য, ইসরাইল এবং তাদের বশংবদ আঞ্চলিক তল্পীবাহক , চর ও মিত্ররা ) মুমিনদের হাতে শাস্তি ( পরাজয় ও ব্যর্থতার গ্লানি ) ভোগ করছে এবং পরকালে মহা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তো তাদের ভাগ্যে অবধারিত আছেই !!

চলবে .....

تبصرہ ارسال

You are replying to: .