۱۷ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۷ شوال ۱۴۴۵ | May 6, 2024
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / আহলুল বাইতের (আ) বাণী ( কথা ও কালাম ) নূর ( আলো ) এবং রুশদ ( সুপথপ্রাপ্তি , উন্নতি ও প্রবৃদ্ধি )।

অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

আহলুল বাইতের (আ) বাণী ( কথা ও কালাম ) নূর ( আলো ) এবং রুশদ ( সুপথপ্রাপ্তি , উন্নতি ও প্রবৃদ্ধি ) :

মহানবীর (সা) আহলুল বাইতের (আ) বারো মাসূম ইমামের নবম মাসূম ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আলী আত - তাক্বী আল - জাওয়াদ্ ( আ. ) বলেন :

مَنْ أَصْغَىٰ إِلَىٰ نَاطِقٍ فَقَدْ عَبَدَهُ ، فَاِنْ كَانَ النَّاطِقُ عَنِ اللّٰهِ فَقَدْ عَبَدَاللّٰهَ ، وَ إِنْ كَانَ النَّاطِقُ يَنْطِقُ عَنْ لِسَانِ إِبْلِيْسَ فَقَدْ عَبَدَ إِبْلِيْسَ .

যে ব্যক্তি কোনো বক্তার বক্তব্য ও কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে আসলে সে তারই ( ঐ বক্তা ) ইবাদত ( উপাসনা) করে ; অতএব ঐ বক্তা( নাতিক্ব ) যদি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় [ যেমন: রাসুলুল্লাহ (সা), তাঁর পবিত্র আহলুল্ বাইতের ( আ. ) অনুসারী খাঁটি দ্বীনী মুখলিস নিষ্ঠাবান মুবাল্লিগ , আলিম , শিক্ষক ( মুআল্লিম , মুদার্রিস ) , গবেষক , লেখক, কবি - সাহিত্যিক যারা পবিত্র কুরআন , তাঁর রাসূলের (সা) এবং আহলুল বাইতের (আ) বাণী ও কথা মানুষের কাছে প্রচার করেন এবং যাদের কথা , বক্তব্য , লেখা প্রবন্ধ , গবেষণা কর্ম , কবিতা ও সাহিত্য মহান আল্লাহ, রাসূল ও ধর্ম বিরোধী নয় ] তাহলে [ যে ব্যক্তি তাঁর ( ঐ বক্তার ) বক্তব্য ও কথা গভীর ভাবে অর্থাৎ মনোযোগ সহকারে শুনবে ) সে ( শ্রবণকারী ) মহান আল্লাহরই ইবাদত বন্দেগী করে ; আর ঐ বক্তা যদি ইবলীসের পক্ষ থেকে কথা বলে ( ইবলীস শয়তানের প্রতিনিধি, অনুসারী ও মুখপাত্র হয়ে থাকে) তাহলে ( যে ব্যক্তি গভীর ভাবে অর্থাৎ মনোযোগ সহকারে তার কথা ও বক্তব্য যদি শ্রবণ করে ও মেনে নেয় সে ) আসলে ইবলীস শয়তানেরই ইবাদত বন্দেগী করে।

( তুহাফুল উকূল, পৃ : ৪৭৯ )

আজ সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলাম, পবিত্র কুরআন , সুন্নাহ ও শরিয়ত বিরোধী বহু বক্তব্য ও কথা বিভিন্ন মাহফিল , সভা-সমাবেশ , মঞ্চ , রেডিও , টেলিভিশন ও সোস্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরণের ইসলাম ধর্ম বিরোধী প্রবন্ধ ও বই - পুস্তক প্রকাশিত হচ্ছে । যেগুলোয় আসলে ইবলীস শয়তান ও বিশ্ব শয়তানী চক্রের মত ও দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিফলিত হচ্ছে । আসলে এগুলো ইবলীস শয়তান ও বিশ্ব শয়তানী চক্রের লক্ষ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথই পৃথিবীতে উন্মুক্ত করছে । আর এ শয়তানী চক্রের পুরোধা হচ্ছে প্রধানত: ও মূলত: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্য । আসলে বিশ্বের যালিম বস্তুবাদী , নাস্তিক্যবাদী , ধর্মবিরোধীরাই হচ্ছে নাতিক্ব 'আন লিসানি ইবলীস ( نَاطِقٌ عَنْ لِسَانِ إِبْلِيْسَ অর্থাৎ ইবলীসের কণ্ঠে বক্তব্য দানকারী বক্তা বা ইবলীস শয়তানের মুখপাত্র ও প্রতিনিধি )। অতএব এদের কথা , বাণী ও বক্তব্য গভীর ভাবে ও মনোযোগ সহকারে শ্রবণ থেকে বিরত থাকা ও সাবধান হওয়া সবচেয়ে বড় দ্বীনী ( ধর্মীয় ) দায়িত্ব সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি স্বীয় নফসের ( প্রবৃত্তি ও রিপু ) দ্বারা তাড়িত ও প্ররোচিত হয়ে কথা বলে , বক্তব্য দেয় ও লেখালেখি করে সেও শয়তানের কণ্ঠেই কথা বলে এবং শয়তানের প্রতিনিধি ও মুখপাত্র।

সুতরাং এ হাদীসের ভিত্তিতে মানবজাতি দুভাগে বিভক্ত। যথা: ১. মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের খাঁটি প্রতিনিধি ও মুখপাত্রের বক্তব্য , কথা ও বাণী মনোযোগ সহকারে শ্রবণকারী এবং ২. শয়তানের মুখপাত্র ও প্রতিনিধির বক্তব্য , বাণী ও কথা মনোযোগ সহকারে শ্রবণকারী । প্রথম দলটি হচ্ছে মহান আল্লাহর ইবাদত কারী ও মুক্তিপ্রাপ্ত এবং দ্বিতীয় দলটি ইবলীস শয়তানের ইবাদতকারী ও অভিশপ্ত।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .