۱۶ آذر ۱۴۰۳ |۴ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 6, 2024
মুস্তাক আহমদ
মুস্তাক আহমদ

হাওজা / কারবালায় আমরা দুটি সুস্পষ্ট নিজাম দেখেছি ৷ একটি হলো নিজাম-এ-বেলায়ত, আর একটি হল নিজাম-এ-জাহেলিয়াত ৷

মুস্তাক আহমদ

কারবালায় আমরা দুটি সুস্পষ্ট নিজাম দেখেছি ৷ একটি হলো নিজাম-এ-বেলায়ত, আর একটি হল নিজাম-এ-জাহেলিয়াত ৷ এই দুটি নিজামের লড়াই কারবালাতে শুরু হয়নি, বরং কারবলায় এসে সুস্পষ্ট রূপে প্রকাশিত হয়েছে ৷

ইমাম হুসাইন (আঃ) তাঁর মুজেজার মাধ্যমে নিজামে জাহেলিয়াতের মুখোশ উন্মোচন করেছেন কারবালায় ৷

চক্রান্তবাজরা সুধু ব্যক্তি এজিদকে দোষী সাবস্ত করে সত্যের সঙ্গে মিথ্যার মিশ্রণ করে ধর্ম ব্যবসা করতে চায়, কিন্তু আমরা সে চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করেছি আযাদারীর মাধ্যমে ৷ আসলে এজিদ ছিলো সকিফা হলের সৃষ্ট নয়া জাহেলিয়াতের প্রতিনিধি মাত্র ৷ সকিফা হল থেকে যে জাহেলিয়াত বার হয়েছিল, সেই জাহেলিয়াত কারবালায় এসে বেলায়তের উপরে হামলা করেছে ৷

সকিফা হলের জাহেলিয়াতের প্রতিনিধিত্ব করতে জুলুম করতে বাধ্য হয়েছে এজিদ ৷ আর গাদীরে খুমের বেলায়তের প্রতিনিধিত্ব করে ইসলামকে রক্ষা করতে নিজেকে কুরবাণী করেছেন ইমাম হুসাইন (আঃ) ৷

'নিজাম-এ-বেলায়ত' -এর সুফল যেমন সুস্পষ্টরূপে দুনিয়াকে তার পরিচয় দিয়েছে, দুনিয়াকে তার আলোয় আলোকিত করেছে, ঠিক অপরদিকে নিজাম-এ-জাহেলিয়াতের কুফলও দুনিয়া দেখেছে, তার ঘোর অন্ধকারে মানবজাতি মুখ থুবড়ে পতিত হয়েছে ৷

আসুন এই দুই নিজাম নিয়ে আজকে গুরূত্বপূর্ণ আলোচনা করি ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -এর সম্পর্ক গাদীরে খুমে নবীপাকের মোবারকপূর্ণ হস্ত দ্বারা হয়েছে বেলায়তে আলী (আঃ)-এর মওলা ঘোষণার মাধ্যমে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -এর শুরুয়াত হয়েছে বেলায়ত-এ-আলী অস্বীকার সকিফা হলে মিটিং এ নিজেদের মনগড়া খলিফা নির্বাচিতের মাধ্যমে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে আমরা দেখলাম নবীপাকের লাশ মোবারকের দাফন, কাফনসহ যাবতীয় কাজকে আঞ্জাম দিতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে আমরা দেখলাম নবীপাকের লাশ মোবারকের নিকট উপস্থিত নেই, বরং তিনদিন নিজেদের মধ্যে দাড়ি ছেঁড়াছিড়ি, তরবার নিয়ে খোঁচা মারামারি ঝগড়া ঝাটি করতে করতে নেতা নির্বাচন করছে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে আমরা দেখলাম পবিত্র কোরআন জমা করতে শান্ত ভদ্র ভাবে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে আমরা দেখলাম তিনদিন পর মদিনা এসে বায়াতপর্ব শুরু করতে হুমকি ধমকির মাধ্যমে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, পরিবারদের নিয়ে গৃহের মধ্যে অবস্থান করতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, হম্বি-তম্বির মাধ্যমে হযরত আলীর বায়াত করাতে ব্যস্ত ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম গৃহের দরজার আগলে রাখতে, যাতে হযরত আলী (আঃ)-কে কেউ যেন বায়াত করাতে না নিয়ে যেতে পারে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম ওহীর গৃহে জববদস্ত করে দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে, এবং ঘরে আগুন জ্বালাতেও দেখলাম ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে আমরা দেখলাম যন্ত্রণায় ছটফট করতে, কারন তাঁর গর্ভের সন্তান মুহসিন হত্যা হয়েছে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম এইসব তান্ডব করে হযরত আলীকে জোর জবরদস্ত টেনে হিচড়ে বায়াত করাতে নিয়ে যেতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে আমরা দেখলাম বাগে ফাদাকের হক ফেরত নিতে দরবারে দন্ডায়মান হতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে আমরা দেখলাম বাগে ফাদাকের প্রসঙ্গে নবীর মত পাক ব্যক্তিব্যের বিরুদ্ধেই মিথ্যা হাদিস রচনা করতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম বাগে ফাদাক না পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলো, এবং তাদের সালাম দেওয়া বন্ধ করে দিলেন ৷ এমনকি দেখা গেলো রাতদিন ক্রন্দন করতে, এবং তাঁর উপর আপতিত মুসিবতকে তুলে ধরলেন এভাবে যে, যদি এই মুসিবত দিনের উপরে পড়তো তাহলে দিন রাতে পরিবর্তন হয়ে যেত, আর রাতের উপরে যদি এই মুসিবত পড়তো তাহলে রাত দিনে পরিনত হয়ে পড়তো ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, নবীকন্যাকে ক্রন্দনও ঠিকমত করতে দিলো না ৷ বরং নবীকন্যা ক্রন্দন করার জন্যও রুষ্ঠ হলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম মানবসেবাতে নিয়োজিত হতে, মানুষের দুঃখ দুর্দশায় সাহায্য করতে ৷ গভীর রাত্রে নিজের পিটে করে খাদ্যের বস্তা বহন করে ক্ষুদার্থ মানুষ খাবার দিতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -এর কুফল দেখলাম মানুষ গরীর হতে, আর মূর্খ হতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে জ্ঞান বিতরণ করতে, রাজদরবারে আসা প্রশ্নের জবাব দিতে, বা বহু সমস্যার সমাধান করে দিতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, সাহাবী মালিক ইবনে নোয়াইরা (রাঃ)কে হত্যা করতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম ইহুদীর বাগানে খেটে খেতে, এবং এও দেখলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমাধান করতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ এবাদতের পরিবর্তন করতে এবং জ্ঞানের অভাব পূরনের জন্য হযরত আলীর নিকট ছুটে যেতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম চরম ধৈর্য ধারন করতে ৷ নিশ্চুপ ও নিরবতা পালন করতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম নামাজ পড়ার সাথে সাথে মদ্যপান চালু করতে, জাহেলিয়াত পরিবেশ এতটা হালাত খারাপ হলো যে, একদা নিজের সন্তানকেই শরবার পান অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেললো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম সঠিক পরামর্শ দিয়ে পারস্য বিজয়লাভ করাতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম মানুষ বঞ্ছিত করতে, ফলে আবু লুলু এসে হত্যা করে দিলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে আমরা দেখলাম ধৈর্য, হিকমতে মাধ্যমে বিশৃঙ্খল উত্তাল মদিনাকে শান্ত করতে

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম মারওয়ান বিন হাকামকে জামাই করে অর্থমন্ত্রী বানিয়ে ধনসম্পদ লুট করতে ৷ এই জাহেলিয়াত বাড়তে বাড়তে মদিনাসহ বিভিন্ন প্রদেশ বিশৃঙ্খ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম নিজের দুই সন্তানকে খেলাফতের গৃহে পাহারা দিতে, যাতে সাহাবীরা না উসমানকে হত্যা করে দেয় ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম হাকাম বিন মারওয়ানের হাত ধরে উসমান হত্যা করে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম নবীপাক ওফাতের ২৫ বছর পর নিজামে বেলায়তকে জমিনের বুকে রাজ্য রাজনীতির মাধ্যমে সু-প্রতিষ্টিত করতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম 'ওসমান হত্যার' বিচারের নামে মিথ্যা অযুহাত তুলে জঙ্গে জমাল, জঙ্গে সিফফিন যুদ্ধবাজী করতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম যুদ্ধাবস্থায় ন্যায় নীতির স্বরূপ তুলে ধরতে এবং শত্রুর পশুদেরও পানি পান করাতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম .....সাহাবী এ রসুল আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ)-সহ হাজার হাজার সাহাবীকে হত্যা করে দিলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম ....যুদ্ধের ময়দান থেকে নবীর স্ত্রীকে সম্মানে মদিনা ফেরত পাঠালেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, জাহেলিয়াতের পিছনে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ডাকা স্বত্বেও যুদ্ধের তাড়নায় জামাইয়ের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে এগিয়ে গেলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম যুদ্ধের ময়দানে এ কথা বলতে যে, "হে সৈন্য (মাসিক মাহিনা প্রাপ্ত নাদান সৈন্য) তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাও, ওটা কাগজের কোরআন, আমি জীবন্ত কোরআন ৷"

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, ধোঁকাবাজী করতে ...নিরুপায় হয়ে যুদ্ধে হেরে যাবার ভয়ে পবিত্র কোরআনকে বর্শাতে গেঁথে তুলে ধরলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, নবীপাকের সঠিক নামাজকে পড়ে দেখালো ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -তুলে ধরতে তৎকালীন সাহাবী বলে উঠলেনঃ "আজকের নামাজটি নবীর নামাজকে স্মরণ করিয়ে দিলো ৷" সাহাবীরা আরো বললঃ "আমারা নবীর নামাকে ভুলে গিয়েছিলাম, অথবা নবীর নামাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম ৷"

এ থেকে বোঝা গেলোঃ নিজামে জাহেলিয়াতে নামাজও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, দুঃস্থ অসহায় মানুষকে খাদ্য খাওয়াতে, রাতের অন্ধকারে গোপনে পিটে করে আটার বস্তা ঘরে পৌঁছে দিতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, হযরত আলী আঃকে বিষাক্ত তরবারী পাঠিয়ে হত্যা করলো এবং মওলা আলীর প্রতি গালীর প্রথা চালু করলো, এবং সাহাবী এ রসুল হুজুর ইবনে আদীকে হত্যা করলো, মহাম্মদ ইবনে আবু বকরকেও হত্যা করলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম হযরত আলীর প্রতি গালীপ্রথা বন্ধ করতে চুক্তি করতে এবং নিজামে বেলায়ত এও করলেন যে, গালী বন্ধ করো, জুলুন বন্ধ করো ...তাহলে ক্ষমতা হস্তারিত করা হবে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত - চুক্তি মেনে ক্ষমতা বগলদাবা করেই চুক্তি পদ দলিত করে গালী প্রথা বন্ধ করলো না, অপরদিকে জান্নাতের সর্দ্দারকেই বিষ পাঠিয়ে হত্যা করে দিলো ৷ এবং মসজিদে জুম্বার নামাজ বুধবার পড়ালো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত - বেলায়ত ধৈর্য ধরলেন, গালীবাজ মানুষরা মদিনা এসে বেলায়তের উপরে গালী দিতে থাকলো, কিন্তু নিজামে বেলায়ত সেই গালিবাজকেই খানা খাওয়ালেন, তার প্রয়োজন পূরণ করলেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, জান্নাতের সার্দ্দার হাসান আঃকে তাঁর নানার পাশে শুতে মানা করলো এবং জাহেলিয়াত থেকে তাঁর লাশের উপরে ৭০টি তীর নিক্ষেপ করে রক্তাত্ব করলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, ভাইয়ের তীরবিদ্ধ লাশকে গৃহে আনলেন এবং ভাইয়ের লাশে বিদ্ধ তীরগুলি বার করলেন এবং জান্নাতুল বাকীতে নিয়েগিয়ে দাফন করলেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম এজিদের খেলাফতির জন্য মানুষকে তরবারীর ভয় ও টাকার লোভ দেখাতে লাগলো ৷ এজিদের খেলাফতির জন্য নিজামে জাহেলিয়াত প্রচার প্রসার শুরু করলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম জাহেলিয়াতের পান্ডা এজিদের বায়াত না নিবার জন্য মদিনার গর্ভনরের দরবারে গেলেন ৷ এবং নিজামে বেলায়ত ২৮- রজব মদিনা ছেড়ে মক্কার দিকে হজের জন্য রহনা হলেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত - সন ৬০ হিজরীর ২৪রজব মুয়াবিয়া মারা গেলো, এদিকে সেই নিজামে জাহেলিয়াত ২৬-রজব শাম থেকে হুসাইনের বায়ত নিবার জন্য মদিনাতে চিঠি লিখে পাঠালো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -দেখলেন কিছু লোক আস্তিনের ভিতরে গোপনে ছোরাছূরি হজের ময়দানে উপস্থিত, নিজামে বেলায়ত তখন হজকে ওমরাহ-তে পরিবর্তন করে কারবালার দিকে রহনা হলো ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম হজের ময়দানে গোপনে ছোরা ছুরি নিয়ে হুসাইন (আঃ)কে হত্যার জন্য ঘোরাঘুরি করছে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, কুফায় উপস্থিত হতে, যেখানে হাজির হলেন, পরিস্থিতি পরিদর্শণ করতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম মিথ্যা চিঠি পাঠিয়ে বায়াতের নামে প্রতরণা করলো, এবং নির্মমভাবে মুসলিম বিন আকিল (আঃ)কে হত্যা করলো এবং তাঁর দুই সন্তানদেরও হত্যা করলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম স্ব-পরিবারে ২-রা মহররম কারবালায় হাজির হতে ৷ এবং নহরে আলকামার তীরে তাবু লাগাতে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, ইমাম হুসাইন আঃএর তাবুকে অন্যত্র নিয়ে চলে যাবার হুমকি দিতে ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম মরু করবালায় পানির জন্য কাতর হতে, ইমাম পরিবারের পিপাসিত শিশুদের জন্য পানি আনতে নিজামে বেলায়ত ছুটলেন ফুরাতে ৷ কিন্তু দুই হাত হারিয়ে শহীদ হলেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, ফুরাতকূলে গিয়ে হযরত আব্বাস আলমদারের দুই হাত কেটে দিলো এবং তাঁর আনিত পানির মস্কে তীর নিক্ষেপ করে পানিকে আনতে দিলো না ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, নানার উম্মাকে ইসলাহ করার জন্য এবং সকিফা হলের নিজামে জাহেলিয়াতের পরিচিতির জন্য শহীদ হলেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, ১০-ই মহররম কারবালায় উপস্থিত এক এক করে নবী পারিবারের পুরুষদের হত্যা করলো এবং নামাজরত যুগের ইমামকে নির্মমভাবে ভুখ পিপাসিত অবস্থায় হত্যা করলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, নানার সঙ্গে প্রতিশ্রুতির খেয়াল রেখে নিজের ছ'মাসের শিশুকে কুরবান করে দিলেন ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, কারবালার তবুগুলোতে আগুন লাগালো ৷ একই দড়িতে বেঁধে নবী পরিবারকে কুফায় নিয়ে গেলো, পরে ঐ অবস্থায় শামের দিকেও নিয়ে গেলো ৷

নিজাম-এ-বেলায়ত -কে দেখলাম, বর্শায় গাঁথা মুন্ডু থেকে কোরআনের তেলায়ত হচ্ছে ৷

নিজাম-এ-জাহেলিয়াত -কে দেখলাম, কারবালা থেকে শামের দরবারে ৭২টি মুন্ডুকে কেটে বর্শাতে গেঁথে নিয়ে এলো ৷ এবং জাহেলিয়াত মুন্ডুতে ছড়ি দিয়ে টোকা মেরে মেরে বলতে লাগলোঃ "হে আমার উমাইয়া বংশ ! তোমরা কবর থেকে উঠে এসে দেখো আমি বদরের ও ওহুদের বদলা নিয়েছি ৷"

যে জাহেলিয়াত সকিফা হল থেকে বার হয়েছিল সেই জাহেলিয়াতের নিজাম কারবালায় এসে দিনের আলোর মত প্রকাশিত হলো ৷ এজিদ ছিল সকিফা হলের জাহেলিয়াতের নিজাম ৷

গাদীরে খুমের সেই বেলায়ত কারবালায় এসে সকিফা হলের জেহেলিয়াতের মুখোশ উন্মোচন করে আমাদের ডাক দিলেনঃ "হাল মিন নাসরীন ইয়ান সুরনা ৷"

আমরা সেই ডাকে সাড়া দিলাম আযাদারীর মাধ্যমে ৷ কিন্তু সকিফা হলের সেই জাহেলিয়াত 'আযাদারীকে বেদাত ফতোয়া দিলো এবং সেই জাহেলিয়াতটি বর্তমানে কুৎসিত ভাবে আজ প্রকাশিত হলো আমেরিকা-জেরুজালেম-ওহাবী ৷ যার অপর নাম সুফিয়ানী ৷

দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হাওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .